<p> ৭৭ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। তারপরও পাকিস্তানকে অল আউট করতে পারেনি টাইগাররা। মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জান বাজি রেখে খেলার লড়াইয়ে লড়ার মতো একটা পুঁজি গড়তে পেরেছে পাকিস্তান। ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করেছে তারা। টাইগারদের লক্ষ্য তাই ২৪০ রান।<br /> অল্প রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েও কেন বাংলাদেশ পারলো না পাকিস্তানকে অলআউট করতে? এর একটা জবাব সহজেই পাওয়া যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং থেকে। হারিস সোহেল ষষ্ঠ উইকেটে মূল্যবান জুটি গড়েছেন সাদ নাসিমের সাথে। আর সাদ নাসিমের সাথে যোগ দিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকেই ওয়াহাব রিয়াজ শেষ করেছেন ৫০ ওভার। কোনো অবস্থাতেই হাল ছাড়েনি পাকিস্তান।<br /> হাল ছাড়ার মতো অবস্থাও অবশ্য তাদের ছিল না। কারণ প্রথম ওয়ানডে জিতেছে টাইগাররা। এক ম্যাচ বাকি রেখেই স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ ৩ ম্যাচের সিরিজ জিতে নেওয়ার। তাই বড় লজ্জার হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর সাথে লড়াই করার মতো কিছু পেয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে তাদের বোলাররা মাঝারি মানের সংগ্রহ সামনে রেখে দারুণ লড়েছে। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে ঠেকিয়ে দেবার।<br /> টস জিতেছিলের পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী। সরফরাজকে নিয়ে ওপেনিং জুটিটা জমিয়ে তুলতে শুরু করেছিলেন আজহার। তার ও সরফরাজের জুটিটা ভাঙতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বল তুলে দিয়েছিলেন রুবেলের হাতে। ওটি অষ্টম ওভার। আর ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই রুবেল তুলে নেন সরফরাজকে (৭)। স্লিপে সৌম্য নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ। পরের ওভারে আঘাত হানেন আরাফাত সানি। আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া বাঁ হাতি স্পিনার সানি বোল্ড করেন মোহাম্মদ হাফিজকে (০)। ৩৬ ও ৩৭ রানের সময় দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান।<br /> উইকেট পতনে কিছুক্ষণ বিরতি ছিল। মাশরাফির বোলিং পরিবর্তনের কৌশল আবার কাজে দেয়। এবার সাকিবকে নিয়ে আসেন তিনি। আর এসেই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক আজহারকে তুলে নেন সাকিব। সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আজহার ফেরার সময় তার রান ৩৬। ৮ বলের ব্যবধানে আবার আঘাত হানে টাইগাররা। এবার অন্য প্রান্ত থেকে নাসির বোল্ড করে দেন নতুন ব্যাটসম্যান ফাওয়াদকে (০)। ৫৮ ও ৫৯ রানে আবার দুই উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।<br /> হারিস সোহেল উইকেটে জমে গিয়েছিলেন। তার সাথে যোগ দেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান রিজওয়ান। তখন খুব চাপের ভেতর পাকিস্তানীরা। সেই চাপ সাকিব বাড়িয়ে দেন রিজওয়ানকে ১৩ রানে ফিরিয়ে দিয়ে।<br /> প্রথম ওয়ানডেতে শেষ ৬ উইকেট পাকিস্তান হারিয়েছিল ২৩ রানে। এবার যখন প্রথম ৫ উইকেট ৭৭ রানে হারালো তখন বাংলাদেশিদের আন্দোলিত হবার কথাই। ভাবা হচ্ছিল ৫০ ওভারও হয়তো খেলতে পারবে না পাকিস্তান। জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল কত রানে পাকিস্তান গুটিয়ে যেতে পারে সেই সম্ভাবনার বিচার করে। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে হারিসের সাথে নাদ নাসিমের ৭৭ রানের জুটি গড়ে ওঠে। এই জুটি যখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তখন আঘাত হানেন মাশরাফি। অধিনায়ক রিটার্ন ক্যাচ নেন হারিসের। ৪৪ রান করে হারিস বিদায় নেন। শেষ হয় পাকিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জুটির গল্প। কিন্তু পাকিস্তানের গল্পের তখনো অনেক বাকি।<br /> বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে স্পিনাররা সাফল্য পেয়েছেন। সাকিব, সানির পাশাপাশি নাসির, মাহমুদ উল্লাহকে ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মাশরাফি। সব মিলিয়ে স্পিনাররা রানের গতিটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও একটা সময় এসে পাকিস্তানিদের সামলানো দায় হয়ে ওঠে। সাদ নাসিম যখন ৫০ রান করেন তখন মাত্র ক্রিজে এসেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। সেই তিনি দ্রুত ছুটেছেন। ৫০ ওভার শেষে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৮৫ রান পাকিস্তানের। ওয়াহাব ৪০ বলে ৫১ রানে অপরাজিত। ৯৬ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদ নাসিম। সাকিব ২ এবং ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সানি, নাসির, রুবেল ও মাশরাফি।     <br />  </p>