২০ নভেম্বর, ২০১৫। ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট চোখে পড়ল হাসান জুবায়েরের। পোস্টটি দিয়েছে স্পেনের ‘উই আর ওয়াটার ফাউন্ডেশন’। কৌতূহল মেটাতে তাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে এলেন জুবায়ের।
হ্যাপি ওয়ার্ল্ড
- স্পেনের একটি প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে বাংলাদেশের এনিমেটেড ফিল্ম হ্যাপি ওয়ার্ল্ড। এর পেছনের চার তরুণের গল্প শোনাচ্ছেন জামিল মাহমুদ। ছবি তুলেছেন মোহাম্মদ হানজালা
notdefined

সবার আগে গল্প নির্বাচন করলেন তাঁরা। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, আফ্রিকার একটি মরুময় এলাকায় পানির খোঁজে বেরিয়ে পড়ে একটি কিশোর, বয়স বড়জোর সাত-আট বছর।
এর পরের অংশে ঢাকার একটি বস্তির ছেলে বইখাতা হাতে নিয়ে পানির দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে গেল। সারা দিন অপেক্ষা করেও পানি নিতে পারল না। ততক্ষণে ক্লাসের সময় পেরিয়ে গেছে।
তিন মিনিটের এই শর্টফিল্ম তারা থ্রিডি সফটওয়্যারে তৈরি করেছেন। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ করেছেন মাহমুদুর, চিত্রনাট্য ও নির্দেশনা দিয়েছেন জুবায়ের। সাউন্ড সিস্টেম করেছেন হায়াত এবং বিভিন্ন চরিত্রের ডিজাইনসহ খুঁটিনাটি কাজ করেছেন তারেক। টানা তিনটি মাসের পরিশ্রমে তৈরি হলো ‘হ্যাপি ওয়ার্ল্ড’।
সব কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁরা উই আর ওয়াটার ফাউন্ডেশনে চলচ্চিত্রটি জমা দিলেন। ৮৮টি দেশ থেকে ৩০০ শর্টফিল্ম জমা পড়ে। ২ জুন স্পেনের বার্সেলোনা শহরের বোকা গ্যালারিতে ফেসবুকের ভোট ও জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তে এনিমেশন ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছে ‘হ্যাপি ওয়ার্ল্ড’।
এই খুশির খবরটি দিয়ে দলনেতা জুবায়ের বললেন, ‘কল্পনাও করিনি চ্যাম্পিয়ন হব। কেবল আমরাই নয়, বিশ্বের সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের এনিমেশন সেরা হবে, সেটি ফেস্টিভাল কমিটিও ভাবেনি। আমাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে, সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তরুণরা সবই করতে পারে। আর এখানে একটি এনিমেশন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও গড়ে উঠতে পারে।’
সম্পর্কিত খবর