ইউরোপের দেশগুলোর একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অভিন্ন মুদ্রা, সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসাহীন চলাচলের সুযোগ, সীমান্তবিহীন বাজারব্যবস্থা, অভিন্ন কৃষিনীতি, পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি প্রণয়ন প্রভৃতি লক্ষ্য নিয়ে গঠন করা হয় ইইউ। এর বেশির ভাগ সদস্যদেশই সেন্ট্রাল ইউরোপ ও পূর্ব ইউরোপের। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী ও তত্ত্বাবধায়ক সংগঠন।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আল-আমিন খান

সদস্য : অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইরিশ প্রজাতন্ত্র, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালটা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য-এই ২৮টি দেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত।
যেভাবে প্রতিষ্ঠিত : ১৯৫১ সালের ১৮ এপ্রিলে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ-এই ছয়টি দেশ প্যারিস ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সাধারণ বাজার প্রতিষ্ঠা চুক্তি অর্থাৎ প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৫২ সালের ২৫ জুলাই ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সাধারণ বাজার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কার্যক্রম : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সমষ্টিগতভাবে কাজ করে থাকে। এর মূল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-ইউরোপিয়ান কাউন্সিল, যেটি সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের নিয়ে গঠিত। এটিই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিনির্ধারক ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে। এর প্রধান প্রেসিডেন্ট। বছরে কয়েকবার সদস্যদের মিটিং বসে। সদস্য দেশগুলোর ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো ইউরোপিয়ান কমিশন। এটি সবার সাধারণ স্বার্থ নিশ্চিত করে থাকে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি দেশ থেকে একজন করে কমিশনার নিয়োগ পেয়ে থাকেন। তাঁদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কাউন্সিল। এটি কাউন্সিল অব মিনিস্টার নামে পরিচিত, যা ২৮টি দেশের জাতীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও নতুন সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ : আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি শক্তি। অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম এ প্রতিষ্ঠানটি। তবে ইউরো জোনের অর্থনৈতিক সংকট ইইউয়ের ভূমিকাকে সংকুচিত করে দিয়েছে। গ্রিসের ঋণ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে আগে থেকেই। এখন এর সঙ্গে যোগ হলো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না, তা যাচাই করে দেখার জন্য ২০১৭ সালে একটি গণভোটের আয়োজন করবেন। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনি এই গণভোটটি ২০১৬ সালেই করতে চান। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধারের কাজটি অত সহজ নয়। একটি দেশের সমস্যায় অন্য দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক সংকট যদি ইইউ কাটিয়ে উঠতে না পারে, তাহলে এটা বলা যায়, আগামী এক দশকের মধ্যে এক ভিন্ন ইউরোপের চেহারা দেখা যাবে।
একনজরে
সদর দপ্তর : ব্রাসেলস
সদস্য সংখ্যা : ২৮
সরকারি ভাষা : ২৪টি
কমিশনের প্রেসিডেন্ট : জঁ-ক্লদ জাংকার
পরিষদের প্রেসিডেন্ট : ডোনাল্ড টাস্ক
আইন প্রণয়নকারী সংগঠন : পরিষদ ও পার্লামেন্ট
নোবেল পুরস্কার লাভ : ২০১২
অভিন্ন ইউরো মুদ্রা চালু : ১৯৯৯
ইউরো মুদ্রার জনক : রবার্ট মুন্ডেল (কানাডা)
সর্বশেষ ইউরো মুদ্রা গ্রহণকারী দেশ : লিথুনিয়া (১৯তম)
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তর : ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানি

ভাইভা অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পে সমস্যা কী কী?
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যানে পড়াশোনা করেছেন মো. রাকিবুল ইসলাম। তিনি ৪১তম বিসিএসে কর ক্যাডারে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ভাইভা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ জুন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ

চেয়ারম্যান : আপনার পড়াশোনা তো ফলিত পরিসংখ্যানে। বলুন ৭, ৭, ৭-এর ভ্যারিয়েন্স কত?
—শূন্য।
আচ্ছা বলুন, গ্রামীণ এলাকায় আইসিটি সেক্টরের উন্নতির উপকারিতাগুলো কী কী?
—স্যার, এতে সরকারি সেবাপ্রাপ্তি সহজলভ্য হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষার সংস্পর্শে আসবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে আইসিটি প্রসারে প্রতিবন্ধকতা কী কী?
—লোডশেডিং সমস্যা একটা বড় ইস্যু। ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তার ও গতি নিশ্চিত করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের মাঝে ডিজিটাল লিটারেসির অভাব আছে।
এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
—সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এগুলো দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এক্সটার্নাল-১ : অটোমেশনের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ কী কী?
—এ ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি একটা চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া অটোমেশন হলে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে, এতে বেকারত্ব বাড়বে।
চেয়ারম্যান : বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পে সমস্যাগুলো কী কী?
—ট্যুরিস্ট নিরাপত্তার অভাব, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব, অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ইত্যাদি।
সমস্যার সমাধান কী হতে পারে?
—স্যার, ট্যুরিস্ট পুলিশদের আরো সক্রিয় ও তৎপর হতে হবে। পরিকল্পিত উপায়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট তৈরি করতে হবে।
এক্সটার্নাল-১ : ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও সিমুলেশন কী?
—স্যার, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রকৃতপক্ষে বাস্তব নয়, কিন্তু বাস্তবের মতো। আর সিমুলেশন হচ্ছে বাস্তব অবস্থা বোঝার জন্য একটা কম্পিউটার মডেলিং। বিমান চালনা শেখানোসহ বিভিন্ন কাজে সিমুলেশনের ব্যবহার হয়।
এক্সটার্নাল-২ : আচ্ছা বলো, আইন ও অধ্যাদেশের পার্থক্য কী?
—স্যার, আইন সংসদে বিল আকারে পাস হয়। কোনো কারণে সংসদ কার্যকর না থাকলে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৩ ধারা অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
আইনের ক্ষেত্রে ‘পিও’ বলতে কী বোঝ? এর সঙ্গে অধ্যাদেশের পার্থক্য বলো।
—দুঃখিত, স্যার। (সঠিক উত্তর—সংবিধান বা সংসদ কার্যকর না থাকলে প্রেসিডেন্ট যে আদেশ দেন সেটাই প্রেসিডেন্ট’স অর্ডার বা পিও।)
এসআরও বলতে কী বোঝ?
—স্যার, এসআরও হচ্ছে স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার। সরকার সংসদে প্রণীত আইন ব্যাখ্যার জন্য এসআরও জারি করতে পারে। এ ছাড়া সরকারি সব আইন, বিধি, প্রবিধিতে একটি এসআরও নম্বর দেওয়া হয়।
বাংলা সাহিত্যে পঞ্চকবি কারা?
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন ও অতুলপ্রসাদ সেন।
তাঁদের কেন পঞ্চকবি বলা হয়? পঞ্চপাণ্ডবদের সঙ্গে তাঁদের পার্থক্য কোথায়?
—স্যার, পঞ্চকবিগণ কবিতা লেখার পাশাপাশি একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। অন্যদিকে পঞ্চপাণ্ডব তাঁরাই (অমিয় চক্রবর্তী, জীবননান্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু , বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত), যাঁরা রবীন্দ্র ধারার বাইরে এসে আধুনিক কবিতার সৃষ্টি করেছিলেন।
এক্সটার্নাল-১ : সাবরাং-এর নাম শুনেছ?
—জি স্যার। এটা টেকনাফে অবস্থিত একটা উদীয়মান পর্যটন এলাকা।
এক্সটার্নাল-১ : ‘সম্ভাব্যতা’ ব্যাখ্যা করো।
—স্যার, পরিসংখ্যানের ভাষায় অনুকূল ফলাফলকে মোট ফলাফল দিয়ে ভাগ করলে সম্ভাব্যতা পাওয়া যাবে। এর মান ০-১। উদাহরণস্বরূপ—একটা মেডিক্যাল কলেজে আসনসংখ্যা ৫টি। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ২০ জন। তাহলে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা ৫/২০।
[চেয়ারম্যান স্যার বললেন, ‘ঠিক আছে, আপনার ভাইভা শেষ, আপনি আসুন।’]

পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের দুই বিজ্ঞপ্তিতে ৪২৪ পদ
- পর পর দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিতে পদ সংখ্যা ৯০ ও অন্যটিতে ৩৩৪টি। আবেদন করা যাবে অনলাইনে ৪ মে ২০২৫ পর্যন্ত। পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্ন বিশ্লেষণ, প্রস্তুতি ও বিস্তারিত নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ

নিয়োগ পরীক্ষা ধরন
নবম ও দশম গ্রেডের পদের ক্ষেত্রে এমসিকিউ পদ্ধতির প্রিলিমিনারি, লিখিত (রচনামূলক) ও মৌখিক এই তিন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। ১১তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের প্রার্থী নির্বাচনে লিখিত, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী গ্রেড ও পদভেদে প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ/সংক্ষিপ্ত) পরীক্ষাও হতে পারে।
বিগত প্রশ্ন বিশ্লেষণ
২০২২ সালের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রশ্নপ্রত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১ ঘণ্টায় মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
গ্রেডভিত্তিক পরীক্ষার প্রস্তুতি
পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ও অন্যান্য সরকারি চাকরির একই গ্রেডগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার বিগত প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত বাংলা, সাধারণ গণিত, তথ্য-প্রযুক্তি, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপরই প্রশ্ন করা হয়। সাধারণত কর্মকর্তা নিয়োগে আইবিএ বা বিআইবিএম-এর মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওপরের পদগুলোর ক্ষেত্রে বিসিএস বা ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার মতোই প্রস্তুতি নিতে হবে। ভালো প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন।
পদের বিবরণ ও যোগ্যতা
একটি বিজ্ঞপ্তিতে ৩ ধরনের পদে (নবম ও দশম গ্রেড) নেওয়া হবে ৯০ জন। ১. উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা—২৩টি পদ। ১ম শ্রেণির স্নাতকোত্তর/২য় শ্রেণির স্নাতক (সম্মান)সহ স্নাতকোত্তর/২য় শ্রেণিতে ৪ বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান)। ২. সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকতা—৬৫ জন। স্নাতকোত্তর অথবা ২য় শ্রেণিতে ৪ বছর মেয়াদের স্নাতক (সম্মান)। ৩. গবেষণা কর্মকর্তা-২ জন। অর্থনীতি বা পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতকোত্তর। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে ১৮ ধরনের পদে (১১তম থেকে ২০তম গ্রেড) নেওয়া হবে ৩৩৪ জন। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর (২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে)।
বেতন-ভাতা যেমন
জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ও মাসিক বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন লিংক
http://brdb.teletalk.com.bd

৪০০ নাবিক ও এমওডিসি নেবে নৌবাহিনী

বি-২০২৫ ব্যাচে ৪০০ জন নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে।
শাখা অনুসারে পদ
সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনবল নেওয়া হবে ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) পদে ২৮৫ জন। এ ছাড়া পেট্রলম্যান পদে ১২ জন, রাইটার ১৮, স্টোর ১৮, মেডিক্যাল ১০, কুক ২৫, স্টুয়ার্ড ১৩, টোপাস ১২ এবং এমওডিসি (নৌ) পদে ৭ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
বানৌজা ঢাকা (খিলক্ষেত), বানৌজা তিতুমীর (খালিশপুর, খুলনা) এবং নৌবাহিনী ভর্তি ও তথ্যকেন্দ্রে (টাইগারপাস, চট্টগ্রাম) সব পদের বাছাই পরীক্ষা হবে। বাছাই পরীক্ষার দিন প্রার্থীর প্রয়োজনীয় সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। নির্ধারিত তারিখে সকাল ৮টার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রার্থী বাছাই করা হবে বেশ কিছু ধাপে।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘বানৌজা, শের-ই-বাংলা, লালুয়া, কলাপাড়া, পটুয়াখালী’তে যোগ দিতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা
সব পদের প্রার্থীদের সাঁতার জানা আবশ্যক। সিম্যান শাখা ও এমওডিসি (নৌ) প্রার্থীর ক্ষেত্রে উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। পেট্রলম্যান শাখার প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। অন্যান্য শাখার (কমিউনিকেশন, টেকনিক্যাল, মেডিক্যাল, রাইটার, স্টোর, কুক, স্টুয়ার্ড ও টোপাস) প্রার্থীদের উচ্চতা হতে হবে অন্তত ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সব পদের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সব পদের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বুকের মাপ ৩০-৩২ ইঞ্চি, ওজন—বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল) এসএসসি (বিজ্ঞান)/মাদরাসা (বিজ্ঞান)/ ভোকেশনাল এবং জিপিএ ৫ পয়েন্টে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ বা তার বেশি পেয়ে পাস। এসএসসি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিতধারী প্রার্থী এবং বিএন ডকইয়ার্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হতে ন্যূনতম ‘এ’ গ্রেড প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার। পেট্রলম্যান, রাইটার, স্টোর শাখার জন্য ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদরাসা ও ভোকেশনাল) এবং জিপিএ ৩.৫০ বা বেশিসহ পাস। মেডিক্যাল শাখার জন্য জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান এবং ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ বা বেশি। কুক ও স্টুয়ার্ড ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদরাসা ও ভোকেশনাল) এবং জিপিএ ২.৫০ বা বেশিসহ পাস। টোপাস শাখার জন্য অষ্টম বা সমমান পাস। এমওডিসি (নৌ) ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদরাসা ও ভোকেশনাল) এবং জিপিএ ৩ বা বেশিসহ পাস।
বয়স ও অন্যান্য
১ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী নাবিকের ক্ষেত্রে বয়স ১৭ থেকে ২০ বছর এবং এমওডিসি (নৌ)-এর ক্ষেত্রে ১৭ থেকে ২২ বছর। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি (পুরুষ) ও অবিবাহিত (বিপত্নীক বা তালাকপ্রাপ্ত নয়) হতে হবে।
আবেদন লিংক
বিজ্ঞপ্তি ও দরকারি তথ্য নৌবাহিনীর ওয়েবসাইটে
(www.joinnavy.navy.mil.bd)|
সাজিদ মাহমুদ

১৩৩০ কর্মকর্তা নেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
- দুই পদে ১৩৩০ কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)। মাঠ কর্মকর্তা পদে ১১৭৫ ও উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা পদে ১৫৫ জন নেওয়া হবে। আবেদন করতে হবে ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে। কাজের ধরন, নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ

দুই পদের কর্মকর্তাদের কাজ
‘উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তার’ মূল কাজ হলো উপজেলা পর্যায়ের গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে সেবা দেওয়া। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সরকারি কার্যালয়ের সঙ্গে কাজের সমন্বয়, কর্মী ব্যবস্থাপনা, মাঠ পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা ঋণ ও সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু সমন্বয় করতে হয়। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত মাঠ কর্মকর্তাদের কাজের নির্দেশনা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উপজেলা ও প্রান্তিক পর্যায়ে দলগতভাবে সরকারের অন্যান্য কাজের সমন্বয় করতে হয় এই পদের কর্মকর্তাদের।
‘মাঠ কর্মকর্তা’ পদের মূল কাজ—উপজেলা পর্যায়ে গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিডিবিএফের সুফলভোগী সদস্য কিংবা উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ, কিস্তি আদায় ও সমিতির মাধ্যমে সঞ্চয় সংগ্রহ।
নিয়োগ পরীক্ষান ধরন
প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ), লিখিত (রচনামূলক) ও মৌখিক—এই তিন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। পল্লী দারিদ্রৗ বিমোচন ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট এবং প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা পদের পরীক্ষার প্রস্তুতি
উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা ও একই গ্রেডের (৯ম) বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথমেই এমসিকিউ পদ্ধতির প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সাধারণত বাংলা, সাধারণ গণিত, ঋণ কার্যক্রম, তথ্য-প্রযুক্তি, অ্যানালিটিক্যাল এবিলিটি, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপরই প্রশ্ন করা হয়। একই পদ ও গ্রেডের বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র অনুশীলন করলে পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।
মাঠ কর্মকর্তা পদের পরীক্ষার প্রস্তুতি
মাঠ কর্মকর্তা পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে। তাই এসব পর্যায়ের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবইয়ের ওপর ভালো দখল রাখার চেষ্টা করুন। বাংলা ব্যাকরণে বাগধারা, ভাষা, বাক্য রচনা, এককথায় প্রকাশ, বানান, রিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, সন্ধি, সমাস, কারক, অনুচ্ছেদ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। গদ্য-পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন থাকে।
Translation, Sparts of Speech, Correction, Number, Gender, Article, Preposition, right form of verb, Changing sentence, Phrase, spelling থেকে প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষায় ভালো করতে এসব অধ্যায় বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ কোনো অধ্যায় বাদ দেওয়া যাবে না। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিতের সরল, সুদকষা, শতাংশ, ঐকিক বিষয়ে এবং নবম শ্রেণির বীজগণিতের উৎপাদক বিশ্লেষণ, মান নির্ণয়সহ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে বাড়তি জোর দিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান অংশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ওপর প্রশ্ন করা হয়। সমসাময়িক ইস্যু, ভৌগোলিক বিষয়াবলি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ নানা আলোচিত ইস্যুতে পর্যাপ্ত পড়াশোনা ও জানাশোনা থাকতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র দেখলে পরীক্ষার মান ও প্রশ্নপত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। মাঠ কর্মকর্তা পদের পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতির ওপরও সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো প্রস্তুতিতে ভালো ভূমিকা রাখবে।
পদভিত্তিক যোগ্যতা
উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা পদে আবেদন করতে হলে কমপক্ষে ২য় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর অথবা সমমানের ডিগ্রি পাস হতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। মাঠ কর্মকর্তা পদে কমপক্ষে ২য় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি পাস হতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। উপজেলা পর্যায়ে পিডিবিএফের সুফলভোগী সদস্য অথবা উদ্যোক্তাদের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত ঋণ বিতরণ, বিতরণকৃত ঋণ যথাসময়ে আদায়, সমিতির তৈরির মাধ্যমে সঞ্চয় সংগ্রহ করার কাজে আগ্রহ থাকতে হবে। দুই পদের ক্ষেত্রেই প্রার্থীর বয়স ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়স নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি-বিধান অনুসরণ করা হবে। ফাউন্ডেশনে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ‘কর্মচারী চাকরির প্রবিধানমালা’ অনুযায়ী বয়সসীমা শিথিলযোগ্য হবে।
বেতন-ভাতা
নিয়োগপ্রাপ্তদের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ‘উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা’ (নবম গ্রেড) পদে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা এবং ‘মাঠ কর্মকর্তা’ (১২তম গ্রেড) পদে ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা স্কেলে মাসিক বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন যেভাবে
একজন প্রার্থী শুধু একটি পদেই আবেদন করতে পারবে। একাধিক পদে আবেদনের সুযোগ নেই। অনলাইনে আবেদনের লিংক: http://pdbf.teletalk.com.bd