স্কুল বাসের বাংকার

&lt;p&gt;মানুষের গোটা ইতিহাসেই আণবিক বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুটি। তিন দিনের ব্যবধানে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকি শহরে দুটি আণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্রথম, সেই শেষ। কিন্তু সেই ভয়াবহতা এখনো ভুলতে পারেনি মানুষ। হয়তো সে কারণেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা আর লাগেনি। কিন্তু যদি সত্যি সত্যি লেগেই যায়, তখন আণবিক বোমার হাত থেকে মানুষ বাঁচবে কী করে?&lt;/p&gt; &lt;p&gt;সে ভাবনা থেকেই কাজটা করেন ব্রুস বিচ। কানাডার হর্নিংস মিলসে তাঁর বাড়ির পেছনে যে বিস্তৃত জমি আছে, তার নিচে বানিয়েছেন ১০ হাজার বর্গফুটের এক বিশাল বাংকার। তা-ও ৩৫ বছর আগে। অবশ্য তাঁর সে ভাবনার পালে আগেই জোর হাওয়া দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। হ্যাঁ, ব্রুসের আদিনিবাস ছিল আমেরিকায়। সে দেশের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের উইনফিল্ডে। পরে ষাটের দশকের শুরুতেই কাজের খোঁজে পাড়ি জমান শিকাগোতে। সেখানে কাজ করতেন কন্ট্রাক্টর ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। তত দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। আণবিক বোমার ভয়াবহতাও দেখে ফেলেছে মানুষ। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার তখনো অবসান হয়নি। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি দেশবাসীকে বলে রাখলেন আণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতে। যুদ্ধ শুরু হলে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সবাই যেন বাড়ির উঠানে মাটির নিচে ঘর বানিয়ে রাখে। সেখানে টিনে ভরা খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে।&lt;br /&gt; &lt;img alt=&quot;&quot; src=&quot;/ckfinder/userfiles/images/01-1(44).jpg&quot; /&gt;&lt;br /&gt; পরে অবশ্য আর আমেরিকায়ই থাকেননি ব্রুস। ১৯৭০ সালে চলে আসেন কানাডায়। বিয়েও করেন। স্ত্রী জিনের পৈতৃক নিবাস আবার কানাডার মর্নিংস হিলে। জিনদের জমিজমার পরিমাণ দেখার পরই ব্রুসের মাথায় বাংকার বানানোর ভাবনাটা উঁকি মারে। কারণ আণবিক বোমার আতঙ্ক তাঁর জন্য নতুন তো নয়ই, মূলত সে কারণেই দেশ ছেড়ে এসেছেন। সত্যিই যদি আণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, আমেরিকা আক্রান্ত হলে কানাডাও তো আর বাদ পড়বে না। কাজেই জমি যখন পাওয়াই গেছে, তখন কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়লেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ব্রুস এই বাংকার বানানোর কাজ শুরু করেন ১৯৮০ সালে। আর বানিয়ে ফেলেন মাত্র দুই বছরের মধ্যেই। কখনো যদি সত্যিই আণবিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তখন তাতে প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষের আশ্রয় মিলবে এখানে। পরিকল্পনাটা অবশ্য খুবই সহজ। প্রথমে ৪২টি স্কুল বাস জোগাড় করেন। একেকটা বাসের জন্য তাঁকে গুনতে হয়েছিল ৩০০ ডলার করে। তারপর জমি খুঁড়ে মাটির নিচে বসিয়ে দেন স্কুল বাসগুলো। শেষে সেগুলোর ওপর প্রথমে কংক্রিটের স্তর, তার ওপর মাটির স্তর দিয়ে ঢেকে দেন। ব্যস, হয়ে গেল সুরক্ষিত বাংকার। স্বামী-স্ত্রী মিলে সে বাংকারের নাম দিলেন &lsquo;আর্ক টু&rsquo;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;শুনতে খুব সহজ মনে হলেও আয়োজনটা কিন্তু কম বড় নয়। পুরো বাংকারের আয়তন প্রায় সাড়ে ১২ একর। প্রবেশমুখে আছে দুটি গেট আর একটি দরজা। এই বাধা পেরোলে তবেই পৌঁছা যাবে রিসিপশনে। শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষের থেকেই নয়, নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে আণবিক সংক্রমণ থেকে বাঁচারও। বাংকারের ভেতরে ডিকন্টামিনেশন (দূষণমুক্ত করা হয় যেখানে) রুম আছে। রাখা আছে রেডিয়েশন স্যুট। কেউ মারা গেলে সত্কারের জন্যও যাতে তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে বের হতে না হয়, সে জন্য বাংকারে মর্গও বানানো আছে। পাশাপাশি বাংকারের দিনগুলোতে সময় কাটানোর জন্য অনেকগুলো দাবার বোর্ডও রাখা আছে।|&lt;br /&gt; &lt;img alt=&quot;&quot; src=&quot;/ckfinder/userfiles/images/01-2(36).jpg&quot; /&gt;&lt;br /&gt; আছে খাবারও। তবে এখন আর পর্যাপ্ত খাবারের মজুদ নেই। সে জন্য অবশ্য আণবিক যুদ্ধ না লাগাকেই দায়ী করা যেতে পারে। কেননা টিনে সংরক্ষিত খাবারের তো মেয়াদ বলে একটা জিনিস থাকে! মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্রুস-জিনকে যে কত্ত খাবার ফেলে দিতে হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। এখন তাই খাবারের সম্পূর্ণ মজুদও তাঁরা আর রাখেন না। আগে ভেতরেই গম ভাঙার ব্যবস্থা ছিল। সে জন্য একটা ছোটখাটো গম ভাঙার মেশিনই বানিয়ে ফেলেছিলেন এই দম্পতি। প্যাডেলচালিত সেই মিলের জন্য যে সাইকেলটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি অবশ্য এখনো আছে। তবে নিতান্ত জীর্ণদশায়। আর মজুদ করা আছে প্রচুর পরিমাণ টয়লেট টিস্যু।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;এত কিছু করেও বাংকারটি খুব একটা বাসযোগ্য করে তুলতে পারেননি ব্রুস। একে তো তাঁরা দুজনই পুরনো দিনের মানুষ। নতুন সব প্রযুক্তির সঙ্গে নিত্যদিনের ব্যবহারেই তাল সামলাতে পারেন না। বাংকারের জন্য সেসবের ব্যবস্থা করা তো তাঁদের জন্য খুবই কঠিন। এমনকি নিরাপত্তার জন্য যে ক্যামেরা লাগানো আছে, সেটিও এখনো আদিকালের কম্পিউটার দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো, যতই সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক না কেন, বাংকার তো আর বাড়িঘর নয়। ওটার ভেতরটা ভীষণ স্যাঁতসেঁতে। আর কেমন একটা গুমোট হয়ে থাকে সব সময়। খুব একটা আলো প্রবেশের বন্দোবস্তও নেই। বাতাসের জলীয়বাষ্প ছাদে গিয়ে জড়ো হয়। ফলে ছাদে আর দেয়ালে চিতি পড়ে গেছে। দেয়ালগুলো থেকে একটা বাজে গন্ধ বের হয়ে ঘরগুলোতে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। সেগুলো তাই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অবশ্য ব্রুস-জিনকে কাজটা একা একা করতে হয় না। প্রায়ই সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় মানুষকে অনুরোধ করেন তাঁদের সঙ্গে এসে কাজ করার জন্য। তাতে সাড়াও মেলে। তবে দিন দিন সে উত্সাহেও ভাটা পড়ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ আর দ্বিতীয়বার বাংকারমুখো হয় না। তবে জনাপঞ্চাশেক লোক ঠিকই প্রতি সপ্তাহে এসে হাজির হয়। তাঁদের সঙ্গে কাজ করে। কারণ এর বিনিময়ে এই লোকগুলোর জন্য আছে আর্ক টুতে জায়গার নিশ্চয়তা। যদি সত্যিই আণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, সবার আগে এই বাংকারে তাদেরই আশ্রয় মিলবে।&lt;/p&gt;

দরজার ওপাশে

স্কুল বাসের বাংকার

notdefined

notdefined

সর্বশেষ সংবাদ

এআই নীতিমালা : সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

কমলা রঙে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

৭ বছর পর জানা গেল জলহস্তীটা আসলে স্ত্রী

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস : ৪ বছরে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে ৪ গুণ

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা, ৫০ শতাংশ লিখিত

ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধিদল : রিজার্ভ ও রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ

তীব্র তাপপ্রবাহের পরিধি আরো বেড়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু

‘সুযোগ’ রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : গুরুত্ব পাচ্ছে স্থানীয় বাস্তবতা

এখন চাল আমদানির প্রয়োজন নেই

২০২৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৯তম হবে বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন : বরুড়ার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর

চার বছরে ম্যালেরিয়া রোগী চার গুণ বেড়েছে, উচ্চঝুঁকিতে তিন জেলা

চালককে হত্যা অটো ছিনতাই, ১৪ দিন পর মূলহোতা গ্রেপ্তার

পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করল পাষণ্ড স্বামী

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন

বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত ধরে অঝোরে কাঁদলেন কৃষকরা

প্রধান আসামি কাশেম জিহাদী কোথায়? জামিনে মুক্তদের মহড়া

তিন অডিটরকে খুশি করতে চাঁদা দিতে হলো ৫৭ নার্সকে

তীব্র তাপপ্রবাহের এলাকা আরো বেড়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ, শপথ আজ

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

পুকুর খননের সময় তালতলীতে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু

খুলনা জেলার গোড়াপত্তনের দিন আজ

ডিএমপির এক এডিসি ও তিন এসির বদলি

চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত: বিক্ষোভ চলছে, চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

‘কৃষিতে পানি সংকট মোকাবেলায় কৃত্রিম বৃষ্টি নিয়ে কাজ চলছে’

কসবায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন

সর্বাধিক পঠিত

আদালতের রায়ে ‘মা’ হিসেবে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

বিএনপি-জামায়াতের দখলে চলে গেল কি শিল্পী সমিতি?

‘অটোগ্রাফ’ দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন অভিনেত্রী!

ক্যামেরায় শরীর জুম করার অভিযোগ, খেপলেন নোরা

সোনার দাম ভরিতে কমল ২১০০ টাকা, আজ থেকেই কার্যকর

হজ নিয়ে শঙ্কা, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দুষছেন এজেন্সি মালিকরা

বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা, নতুন সিনেমার শুটিং শুরু

‘চরম ন্যক্কারজনক, বিচার চাই’, এফডিসির ঘটনায় রিয়াজ

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দল ঘোষণা

ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে

দলীয় নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা : কাদের

সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির জয়, বিতর্ক শুরু

রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনেও গ্রামে লোডশেডিং

গাজীপুরে রিসোর্ট-খামারের দখলে থাকা পৌনে ৯ একর বনভূমি উদ্ধার

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার গ্রেপ্তার

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া

‘ভালো কিছুই হবে’, শাকিবের ‘তুফান’ প্রসঙ্গে চঞ্চল

যেভাবে শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা

সালমানের বাড়িতে গুলি : নদী থেকে উদ্ধার আরো এক বন্দুক

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে শঙ্কা

তিন অডিটরকে খুশি করতে চাঁদা দিতে হলো ৫৭ নার্সকে

স্বরূপকাঠিতে ঘরে একা পেয়ে শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

ব্যাটিং নিয়েই ভাবনা বাংলাদেশের

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা, ৫০ শতাংশ লিখিত

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ

চার শিরোপায় চোখ পিএসজির

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন