<p>‘আমার সকল ব্যস্ততা ঈদের নাটক নিয়ে’—আলাপচারিতার শুরুতেই বললেন ফারিয়া। কী কী নাটকের কাজ করছেন? ‘এই তো ঝামেলায় ফেলে দিলেন। কোনো নাটকের নাম মনে থাকে না। পছন্দের চরিত্রগুলোর কথা মনে থাকে। চঞ্চল চৌধুরী ভাইয়ের সঙ্গে সকাল আহমেদ ভাইয়ের পরিচালনায় একটা নাটক করলাম। বেশ ভালো লাগল। আরেকটি করলাম আবু হায়াত মাহমুদের—টানাপোড়েন।’ ‘টানাপোড়েন’-এ ফারিয়ার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। সম্প্রতি আরেকটি নাটক করলেন তৌসিফের বিপরীতে—‘সুচিত্রা রহস্য’।</p> <p>কথা প্রসঙ্গে বললেন ২৬ মার্চে প্রচারিত নাটক ‘তোমার ভয় নেই মা’র কথা। ১৯৭১ সালের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারিয়া। তাঁর বিপরীতে রওনক হাসান। নাটকটিতে ফারিয়ার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়, এ কারণেই আলাদা করে বললেন এটির কথা। যাঁরা ফারিয়ার কাজকর্মের খোঁজখবর রাখেন তাঁরা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ইদানীং দারুণ সব নাটকের প্রধান চরিত্রগুলো করছেন তিনি। ফারিয়া বলেন, ‘শুরুর দিকে চাইলেই ভালো নাটক পাওয়া যেত না। নিজেকে প্রমাণ করতেও তো সময় লাগে। ২০১৫ সালের কোরবানির ঈদ থেকে রেগুলার অভিনয় করছি। প্রথম দুই বছরে সিরিয়াস চরিত্রগুলোতে কেউ আমাকে নিয়ে ভাবতে পারতেন না। এ বছর থেকে দেখলাম সবাই ভিন্ন ভিন্ন সব চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। এই যেমন শিহাব শাহীন ভাইয়ের একটা নাটকের শুটিং করলাম। একটা মেয়ের জীবন নিয়েই পুরো নাটক। এমনটা আগে কখনো করিনি।’</p> <p>‘দেবী’র টিজারে এক ঝলক পাওয়া গেল ফারিয়াকে। এই ছবি নিয়ে ফারিয়ার উচ্ছ্বসিত হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। একে তো তিনি হুমায়ূন আহমেদের অন্ধভক্ত। পরিচালক অনম বিশ্বাসের বেশ কিছু টিভিসি দেখেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, জয়া আহসানেরও ফ্যান তিনি। ‘ছবিটা থেকে আমার বড় প্রাপ্তি, জয়া আপুর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরেছি। আমি শুরু করার আগেই জয়া আপু নাটক করা বন্ধ করে দিয়েছেন। ওনার সঙ্গে যে কখনো অভিনয়ের সুযোগ পাব সেটাও জানতাম না’, বললেন ফারিয়া।</p> <p>ছবির নিলু চরিত্রটা ভীষণ প্রিয় ফারিয়ার। তাই চরিত্রটা করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়নি একটুও। “শুটিংয়ের আগে নার্ভাস ছিলাম। তিশা আপু যেমন আমার অনেক প্রিয়, তেমনি জয়া আপুও। তিশা আপুর সঙ্গে প্রথম যখন অভিনয় করতে গেছি, খুব সমস্যা হচ্ছিল। আমি সংলাপ ভুলে যাচ্ছিলাম। ‘দেবী’র শুটিংয়ের আগেও চিন্তিত ছিলাম, তেমন কিছু আবার হয় কি না! কিন্তু জয়া আপু এত কমফোর্টেবল করে ফেলেছিলেন আমাকে, অভিনয় করতে গিয়ে কোনো সমস্যাই হয়নি”—বললেন ফারিয়া।</p> <p>গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবী ছেড়ে গেলেন বাবা মীর আবদুল্লাহ। এত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রায়ই বিষণ্ন হয়ে পড়েন ফারিয়া। পরিবারের ছোট মেয়ে হওয়ায় বাবার সঙ্গে বন্ডিংটা একটু বেশিই ছিল। ‘আমার মনে হয় বাবা হারানোর কষ্টটা আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না। তাঁর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব ছিল আমার। প্রায় প্রতিদিনই আমি হুটহাট আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি’, কথাগুলো বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদেই ফেললেন ফারিয়া।</p> <p>চলে যেতে হলো অন্য প্রসঙ্গে। ‘দেবী’র পর নতুন সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন? ফারিয়া বলেন, ‘বেশ কয়েকটা। কিন্তু কোনোটাতেই মন সায় দেয়নি।’</p>