<p>বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিশেষ দৃষ্টি এ দেশের সম্ভাবনাময় তেল, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে। তবে এ দেশে ব্যবসা নিবন্ধন বিধি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর উদ্বেগ আছে। ওই কম্পানিগুলো আশা করছে, বাংলাদেশ সরকার এগুলোর সুরাহা করবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানায়।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহাল প্রসঙ্গে ওই দূতাবাস কর্মকর্তা বলেন, খুব সম্ভবত ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশ জিএসপি পুনর্বহালের জন্য আবেদনই করেনি। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো আবেদন জমা নেই। জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফার কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ যে অগ্রগতি দেখিয়েছে, ওয়াশিংটন তার প্রশংসা করে। ওয়াশিংটন আশা করে, শ্রম ও ইপিজেড আইন সংস্কারের ফলে সত্যিকার অর্থেই অগ্রগতি হবে।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মকর্তা আরো বলেন, 'শ্রম আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ইউনিয়ন নিবন্ধন বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা আছে। আইন সংস্কার করে তা আন্তর্জাতিক মানের এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্বীকৃত মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করতে হবে।'</p> <p>ইপিজেড শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন সংস্কারের যে পরিকল্পনা বাংলাদেশ বিবেচনা করছে, তা বাস্তবায়িত হলে সত্যিকার অর্থেই অগ্রগতি হবে।</p>