<p>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর কোটাবাড়ী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এলাকার একদল বখাটে যুবক এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় রঘুনাথপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর  মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কালীপূজা উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাতে রঘুনাথপুর দক্ষিণপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একদল বখাটে যুবক দল বেধে ওই অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান শেষে তারা ফেরার পথে অনুষ্ঠানে যোগদানকারি মেয়েদেরকে উত্যক্ত করে। এ সময় মেয়েদের সাথে থাকা পুরুষরা তাদেরকে বাধা দেয় ও তিরস্কার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রঘুনাথপুর উত্তর পাড়ার সরু শেখের ছেলে সজীব শেখের নেতৃত্বে বখাটে যুবকরা গভীর রাতে কোটাবাড়ী সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে হামলা চালায় এবং মন্দিরের সরস্বতী, কার্তিক, দূর্গা ও অসুরের মূর্তি ভাঙচুর করে।</p> <p>ওই মন্দিরের পূজারী গীতা বিশ্বাসসহ বেশ কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা জানান, রাতে হৈ হুল্লো শুনে ঘর থেকে বের হই। তারপর দেখি ৮-১০ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে ছুটাছুটি  করছে। এ সময় অত্মরক্ষার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরা মেয়েরা বিভিন্ন বাড়ির  মধ্যে ঢুকে আশ্রয় নেয়। এক পর্যায় লাঠিসোটাধারী ওই যুবকরা মন্দিরে হামলা চালায় ও মূর্তি ভাঙচুর করে।</p> <p>মন্দির কমিটির সম্পাদক রিপন বিশ্বাস বলেন, আমরা এ ঘটনায় মর্মাহত ও ক্ষুদ্ধ। আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।<br />  <br /> এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে এলাকার হিন্দু জনগণ বিভোক্ষ মিছিল করে জেলা শহরে আসে এবং প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা হাতে হাত ধরে সেখানে মানববন্ধন করে।<br />  <br /> এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা জানান, এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি তপন বিশ্বাস বাদী হয়ে মূর্তি ভাঙচুর মামলা ও সুধীর বিশ্বাস বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে।</p> <p>এ ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের এএসপি (সার্কেল) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দোষীদের খুজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।</p>