গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। শুক্রবার দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর স্পিকার সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিনি জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ আর সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর শহীদদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চীফ হুইপ ও হুইপগণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

পরে বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধের বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি। এরপর চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী এমপি এর নেতৃত্বে হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি, পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, ইকবালুর রহিম এমপি, মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, সামশুল হক চৌধুরী এমপি এবং আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধের বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চীফ হুইপ ও হুইপগণ ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শান্তি মণি চকমা, গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন সরদার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাসসহ চীফ হুইপের নির্বাচনী এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্পিকার বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন ও স্বাক্ষর করেন।
সম্পর্কিত খবর

ফকিরহাট গাড়ির ধাক্কায় পাণ গেল বাইসাইকেল চালকের
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের মূলঘর এলাকায় রাজপাট-সোনাখালী মোড় নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাইসাইকেল চালক মো. আতিয়ার রহমান (৪৫) বাগেরহাটের যাত্রাপুর এলাকার মৃত ইমান উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিসমিল্লাহ ফিড মিলস্ লিমিটেডের কর্মচারী ছিলেন।
মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ওসি শেখ নুরুজ্জামান জানান, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আতিয়ার রহমান রাতে ডিউটি করে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। মূলঘর এলাকায় রাজপাট-সোনাখালী মোড়ে এসে পৌঁছলে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান। এ সময় দ্রুতগামী অপর একটি অজ্ঞাত গাড়ি তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়া সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তবে ঘাতক অজ্ঞাত পরিবহন দুটিকে জব্দ করা সম্ভব হয়নি বলে এ কর্মকর্তা জানান।

অজানা ভাইরাসে মরছে মাছ, লোকসানের শঙ্কা
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী

দেশের বাজারে তাজা মাছের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে রুই, কাতল, মৃগেল ও কার্প জাতীয় যেসব তাজা মাছ বিক্রি হয়, তার বেশির ভাগই যায় রাজশাহী থেকে। ট্রাকে করে বিশেষ কায়দায় এসব মাছ পুকুর থেকে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন আড়তে পাঠান রাজশাহীর চাষিরা। এরপর আড়ত থেকে সেই মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন।
পুকুরে মাছ চাষ করে এভাবে বাজারজাত করে রাজশাহীর শত শত বেকার যুবক এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকে হয়েছেন কোটিপতি। তবে এ বছর অনেক ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছে মাছের অজানা এক ভাইরাসের কারণে। বেশির ভাগ পুকুরে শীতের পরে মাছ ধরার জন্য বা দেখার জন্য জাল ফেললেই মাছ মরতে শুরু করেছে।
কৃষকরা জানান, চুন, লবণসহ একের পর এক জীবাণুনাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ও নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও মাছ মরা রোধ করা যাচ্ছে না। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ মরে যাচ্ছে। সকালে পচা মাছ ভেসে উঠছে।
রাজশাহীর দুর্গাপুরের বর্ধনপুর বিলে মাছ চাষ করেন আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, এবার শীত মৌসুমের পরে মাসখানেক আগে তাঁর একটি পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন।
দুই ট্রাক মাছ ধরার চার-পাঁচ দিন পর থেকে ওই পুকুরে মাছ মরে সকালে ভাসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক দিন পাঁচ-সাতটি করে মাছ মরছিল। কয়েক দিনের মাথায় সেটি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি করে বাড়তে শুরু করে। মাছ মরা রোধে চুন-লবণ, ভিটামিন সি ছিটানোসহ একের পর এক অ্যান্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
কয়েক দিনের মাথায় পুকুরের অন্তত অর্ধেক মাছ মরে যায়। বাধ্য হয়ে আবারও জাল দিয়ে সব মাছ তুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। তবে এর আগে অন্তত তিন লাখ টাকার মাছ তাঁর পুকুর থেকে মরে পচে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দুর্গাপুরের মাড়িয়া বিলে মাছ চাষ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও দাবি করেন, এবার শীতের পরে তাঁর পুকুরে জাল ফেলার পর থেকে শত শত মাছ মরে গেছে। নানা ধরনের পরিচর্যা করেও মাছ মরা থামাতে পারেননি তিনি। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিনতেই তাঁর প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর পরও কমপক্ষে চার লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এতে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এমনিতেই মাছ চাষে খরচ বেড়েছে। এর ওপর হঠাৎ করে এ বছর মাছ মরে যাওয়ায় অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়েছি। পুকুরে জাল দেওয়ার পর এবার যেভাবে মাছ মরেছে, এর আগে কখনো এভাবে মাছ মরতে দেখিনি। কী ভাইরাস ধরছে কেউ বলতেও পারছে না। কিন্তু মাছ মরা থামানো যাচ্ছে না। এখনো দু-একটি করে মরছেই।’
গোদাগাড়ীর কমলাপুর বিলের মাছ চাষি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘এবার শীতের পরে পুকুরে জাল দিয়ে আমার অন্তত দুই লাখ টাকার মাছ গেছে। এভাবে আমাদের বিলে অন্তত ৪০টি পুকুরে মাছ মরেছে। এখনো মরছে। কিন্তু মৎস্য অফিস থেকে কোনো কার্যকর ভূমিকা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
চাষিরা বিভিন্ন কম্পানির মাছের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের পরামর্শ মতে অথবা নিজেই নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে মাছ মরা রোধে পরিচর্যা করছেন। এর পরও আমাদের বিলেই এখন পর্যন্ত অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ মরে গেছে অজানা ভাইরাসে। এতে আমাদের যেন মাথায় হাত পড়েছে। অনেক চাষি আর্থিক সংকটের কারণে পুকুরে এখন নতুন করে মাছের পোনাও দিতে পারছেন না।’
মোহনপুরের মাছ চাষি লিটন সরকার বলেন, ‘শীতের পরেই সাধারণত আমরা পুরনো মাছ ধরে নতুন করে পুকুরে মাছ সেট করি। আবার অনেক পুকুরে শুধু মাছ দেখার জন্যও জাল দেই। এবারও তাই করেছি। কিন্তু শীতের পরে এবার জাল দিলেই বেশির ভাগ পুকুরের মাছে ভাইরাস ধরছে। মাছের পেটের নিচে বা শরীরে লাল দাগ দেখা দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো মাছের নাভি ফুলে থাকছে। মাছ মরতে শুরু করলে কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে চাষিরা পুরনো মাছ সব বিক্রি করে দিচ্ছেন।’
রাজশাহীর মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এভাবে জেলার বাগমারা, পবা, তানোর, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘায়ও শত শত পুকুরের মাছ মরে গেছে অজানা ভাইরাসে।
তবে ভাইরাসে মাছ মরার কোনো খবর রাজশাহীর মৎস্য অধিদপ্তরে নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য অবসরে যাওয়া বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল ওহাব। গত ২৭ মার্চ তিনি অবসরে যান। কিন্তু এখন খরার কারণে পুকুরগুলোতে পানির অভাব দেখা দেওয়ায় অক্সিজেনসংকটের কারণে মাছ মরতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। এর জন্য পুকুরে পানিসেচের ব্যবস্থাও করতে বলেন তিনি।

ঈদে বাজি ফাটানো নিয়ে রাজৈরে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ২৫
রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

মাদারীপুরের রাজৈরে ঈদে বাজি ফাটানোয় বাধা দেওয়ার জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বেপারিপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের লাভলুর ছেলে সালাউদ্দিন (১৮), হায়দার আকনের ছেলে সাগর আকন (২৩), মাহবুব মোল্লার ছেলে ওমর মোল্লা (২২), হুমায়ুন খানের ছেলে ইমন খান (২০), হাবি শেখের ছেলে সাব্বির শেখ (১৮), রাজৈর থানার পুলিশ সদস্য জুয়েনসহ ৯ জন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, তদন্ত ওসি সঞ্চয় কুমার ঘোষ ও এসআই তারেকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী গত ২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফাটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা এতে বাধা দেয়।
এ ঘটনার জেরে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমাদের পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে প্রভাব পড়বে না
অনলাইন ডেস্ক

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, এই ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য যেত। এখন যে এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের রপ্তানিসক্ষমতাকে আমরা বাড়িয়ে তুলতে পারব।
গতকাল যশোর শহরের টাউন হল ময়দানে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সব স্তরের কর্মীকে নতুন উদ্যোমে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় এবং আমানত সংগ্রহে জোর দিতে হবে।