<p>সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে দরিদ্র মানুষের অর্থ আত্মসাতসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ভূক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।</p> <p>অভিযোগ করার কারণে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ওই ইউপি সদস্য পাল্টা চাঁদাবাজি মামলা করে  পুলিশি হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে চলছে উত্তেজনা।</p> <p>লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল সরকারিভাবে ঘর দেওয়া, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ এক থেকে ১৫ হাজার  পর্যন্ত টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছেন। এমনকি করোনার কারণে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারা দেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে যে প্রণোদনা দেয়া হয় সে তালিকাতেও তিনি দুর্নীতির আশ্রয় এন। সেখানে তিনি এলাকার দরিদ্র মানুষের কাছে জাতীয়পত্র নিয়ে নিজের নিকটজনদের নামের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন।</p> <p>অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল অলিদহ গ্রামের মৃত. ছোরমান আলীর স্ত্রী হাজেরা খাতুনকে বিধবা ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নামে তিন হাজার টাকা ও মৃত. হযরত আলীর স্ত্রী ছালেকা খাতুনের কাছে এক হাজার টাকা, মো. আব্দুল হামিদ শেখের স্ত্রী মোছা. রাহিমা খাতুনকে ভিজিডি কার্ড দেয়ার কথা বলে এক হাজার পাঁচ শ টাকা, মো. আব্দুল মোমিন শেখের স্ত্রী মোছা. ছাকেরা খাতুনকে ঘর দেয়ার নামে ১৫ হাজার টাকা, মৃত. গুজরত আলীর ছেলে মো. জিল্লার প্রামানিকের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার নাম করে পাঁচ হাজার টাকা ও মৃত. মোকছেদ আলী ছেলে মো. শহিদুল ইসলামকে ঘর দেয়ার নামে ১০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছেন। </p> <p>কিন্তু এক বছরের অধিক সময় প্রেরিয়ে গেলেও তারা কোনো প্রকার কার্ড না পেয়ে তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি হুমকীসহ নানা ভয়-ভীতি দেখান।</p> <p>নিরুপায় হয়ে এসব ভূক্তভোগীরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দেয়ার পর গত এক জুলাই অভিযোগকারীসহ এসব ঘটনার প্রতিবাদকারী পাঁচজনের নামে ওই ইউপি সদস্য সলঙ্গা থানায় নিজেই বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী মো. আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পরপরই মেম্বর নজরুল ইসলাম মন্ডল তাদের বিরদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।</p> <p>অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার সত্য-মিথ্যা তদন্তেই প্রমাণ হবে।</p> <p>উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে আটটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।</p>