<p>নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় মো. আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের এক লাইনম্যানকে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছেন গ্রাহক। এ ঘটনায় মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. নাজমুল হাসান বাদী হয়ে বুধবার খালিয়াজুরি থানায় মামলা করেছেন। </p> <p>পুলিশ অভিযুক্ত গ্রাহক হারুন আলম শাহকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।</p> <p>বুধবার খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান মামলার প্রধান আসামি হারুন আলমকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা গাঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।</p> <p>পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস থেকে খালিয়াজুরি উপজেলার নূরপুর বোয়ালী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। আট মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি হারুন আলম শাহ। বকেয়া বিল না দেওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মঙ্গলবার দুপুরে নূরপুর বোয়ালী গ্রামে যায় মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি দল। এই দলে এজিএম নাজমুল হাসান, সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মাসুদ করিম ও লাইনম্যান আরিফুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন ছিলেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর ক্ষোভে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালান হারুন আলম শাহ ও তার চাচাতো ভাই শামীমসহ আরো কয়েকজন। তাদের মারধরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন লাইনম্যান আরিফুল। এ সময় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এজিএমসহ অন্যদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তবে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আহত লাইনম্যানকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় রাতেই এজিএম নাজমুল হাসান বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরো পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে খালিয়াজুরি থানায় মামলা করেন। </p> <p>মদন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, আট মাসের বিল বাকি হারুন আলম শাহর। বকেয়া পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে লাইনম্যান আরিফুলের ওপর হামলা চালান তারা। আরিফুল বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।</p>