<p>ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় একটি বাড়ির পানির ট্যাংকির দেওয়াল ধসে একজন নারী পোশাক শ্রমিক ও তার সাত বছরের ছেলে সন্তান মারা গেছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মরদেহ দুইটি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আহত আরও একজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাংলাবাজার এলাকায় বাছির উদ্দিন পলানের  ছেলে নুরুল হক পলানের নির্মিত একটি শ্রমিক কলনিতে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>নিহত পোশাক শ্রমিক সেলিমা বেগম (২৮) শিল্পাঞ্চলের নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর ছেলে সিয়াম হোসেন ক্লাস ওয়ানে লেখাপড়া করত। তারা দুজনই গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার কামালিয়াপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার স্ত্রী এবং ছেলে। </p> <p>নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, সোমবার ভোরে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় তাদের। ছুটে এসে তারা দেখেন সেলিমার ঘরের ভিতরে উপচে পানি ঢুকছে। তার ঘরের ওপরে পানির ট্যাংকির দেওয়াল ধসে পড়েছে। তারা তাৎক্ষণিক একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও মা ও ছেলেকে বের করতে পারেননি।</p> <p>এ ব্যাপারে ডিইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হুমায়ন কবির জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে ধসে পড়া দেওয়ালের নিচে চাপা পড়া মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বলভাবে তৈরির কারণে পানির ট্যাংকির দেওয়াল ধসে পড়ে। এরপর দেওয়ালটি নীচের টিনের চাল ভেঙ্গে সরাসরি ঘুমন্ত মা ও ছেলের ওপর পড়ে। এতে সেলিমা মাথায়, কানে ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তার ছেলে সিয়াম পানির চাপ এবং দেওয়ালের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনায় তাদের ব্যবহৃত খাটটিও ভেঙ্গে মাটিতে মিশে যায়।</p> <p>আশুলিয়া থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, টিনশেড আধাপাকা কক্ষের সাথে থাকা পানির ট্যাংকির দেওয়াল ভোর রাতের দিকে হঠাৎ করে একটি কক্ষের উপর ধসে পড়ে। এতে করে ঘটনাস্থলেই দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যান মা ও ছেলে। গুরুতর আহত হন সেলিমার ভাই টুটুল (৩০)। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।</p>