<p>গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। বাবার মৃত্যুতে দারুণভাবে শোকাহত সন্তানেরা। ছোট ছেলে সম্রাট সবসময়ই বাবার সাথে থাকতেন। বলা যায় বাবার ন্যাওটা। বাবার মৃত্যুতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সম্রাট।</p> <p>সম্রাট যেন বারবার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছেন। বাবার সাথে অনেক স্মৃতিময় সময় রয়েছে সম্রাটের। তেমনি একটি দুর্লভ চিত্র পোস্ট করেছেন সম্রাট। রাস্তার পাশে রকে বসে বাবা তাঁকে পরমযত্নে খাইয়ে দিচ্ছেন। আর সম্রাট তাকিয়ে আছেন ক্যামেরার দিকে।</p> <p>রাজ্জাকের মৃত্যতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগত হঠাৎ করে স্তব্ধ হয়ে গেছে। শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। রাজ্জাক শুধু একজন অভিনেতাই ছিলেন না। অভিনয়ের মাধ্যমে হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি। হয়ে উঠেছিলেন এ দেশের চল্পচ্চিত্র জগতের অভিভাবক।</p> <p>বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাক 'নায়করাজ' নামে সুপরিচিত। ষাটের দশকের মাঝের দিকে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ষাটের দশকের বাকি বছরগুলোতে এবং সত্তরের দশকেও তাঁকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।</p> <p>রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরস্বতী পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।</p> <p>১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এ ছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেছেন।</p>