স্কটল্যান্ডের একটি রহস্যময় বাড়ির নাম র্যালেখিন হাউস। এ বাড়ির ভৌতিক বিষয়গুলো কারো অজানা ছিল না। বহু মানুষই একবার সে বাড়িতে গেলে পরবর্তীতে আর কখনোই ওই পথে যাননি। এমন চরম আতংক গ্রাস করত তাদের।
সে বাড়ির ভূতের কীর্তিকলাপ ছিল সাংঘাতিক। কিন্তু সবাই যে, ভীতু তা কিন্তু নয়। কিছু সাহসী মানুষও রয়েছে এ পৃথিবীতে। আর তেমনই এক ব্যক্তির নাম টমাস হেডেন। তিনি ভূতে বিশ্বাস করতেন না। ফলে ভূতের বাড়ির কথা শুনে তিনি মোটেও ভয় পাননি। বরং ভালোভাবে না দেখেই বাড়িটি কিনে নেন। উদ্দেশ্য সেখানে বসবাস করবেন এবং সবাইকে দেখিয়ে দেবেন যে, ভূত বলতে কিছু নেই।
তাই সব জেনেশুনেই টমাস হেডেন দুই ছেলে টম আর রবিন ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িটা কিনে থাকতে শুরু করলেন। প্রথম রাত থেকেই শুরু হলো প্রেতাত্মাদের উৎপাত। বেশ গরম ছিল সেদিন। মাঝরাতে কোথা থেকে হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো। শোনা গেল কারা যেন কথা বলছে, সিঁড়িতে পায়ের শব্দ, দুমদাম আওয়াজ। এ সময় হেডেন খুব একটা ভয় না পেলেও তার পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে যায়।
এক পর্যায়ে ভয়ে হেডেনের ছেলে রবিন অজ্ঞান হয়ে গেল। এর পর ঢংঢং করে ঘণ্টা বাজতে শুরু করল। পর মুহূর্তে দরজায় জোরে জোরে ধাক্কার শব্দ। দরজা-জানালা নিজে নিজে খুলে যাচ্ছে। সারা বাড়িতে কাদের যেন শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শোনা যেতে লাগল।
একসময় ভয় গ্রাস করতে থাকে হেডেনসহ সবাইকেই। এমন ভূতুড়ে পরিস্থিতিতে কতখনই বা ঠিক থাকা যায়! বাড়ির সবাই অজ্ঞান হয় গেলেন। পর দিন পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে হলো। এরপর আর কখনো ওই বাড়ির দিকে যাননি তারা।
কালের কণ্ঠের লেখক-পাঠকদের অংশগ্রহণে এই বিভাগ। এতে থাকবে অতিপ্রাকৃতিক অভিজ্ঞতার গল্প, সেইসব গল্প-কাহিনী-অভিজ্ঞতা যার তাৎক্ষণিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলে না। তবে এর প্রতি সাধারণের আকর্ষণ তীব্র। কারণ, মানুষ প্রিয়জনের মুখ দেখে যেমন আনন্দ পায়, বারবার তা দেখতে ভালোবাসে, তেমনি ভয় পেতেও ভালোবাসে। আসুন ডুব দেই ভয় আর রহস্যের জগৎ ‘হরর ক্লাবে’
লেখা পাঠান এই ঠিকানায়: horrorclub@kalerkantho.com
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের