<p>কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ফ্রিজের চাহিদা বাড়ছে। এই সময়ে দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখের মতো ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। এবার এই চাহিদা ২৫ লাখে পৌঁছবে বলেই ধারণা করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আর এই চাহিদার ৭২ শতাংশ এককভাবে পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ওয়ালটন।</p> <p>ওয়ালটনের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর ১৮ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটন, যা গত বছরের ফ্রিজ বিক্রির তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। সামনে আসছে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম গ্রীষ্মকাল। সেই লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ ফ্রিজ উত্পাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন।</p> <p>ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, প্রতিবছর ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ একাই পূরণ করে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য বজায় রেখে চলেছে ওয়ালটন। চলতি বছরেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।</p> <p>ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, স্থানীয় বাজার চাহিদা বিশ্লেষণের আলোকে কারখানায় ফ্রিজ উত্পাদন বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহক সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ওয়ালটনের রয়েছে শতাধিক বৈচিত্র্যময় মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, টেম্পারড গ্লাস ডোর, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ৮০ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। আরো রয়েছে ১৬ মডেলের টেম্পারড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। </p> <p>চলতি বছর ফ্রস্ট ফ্রিজে নতুন যুক্ত হয়েছে ২৯টি মডেল। টেম্পারড গ্লাস ডোরের নতুন মডেল ৯টি। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের নতুন মডেল আটটি। এর মধ্যে রয়েছে তিন দরজাবিশিষ্ট ৪৫৫ লিটার ও ৪৫২ লিটারের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির দুটি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। আরো আছে সাইড বাই সাইড বা পাশাপাশি দুই দরজার ৫০১ লিটারের রেফ্রিজারেটর, ৩২৮ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ফাইভ স্টার সনদপ্রাপ্ত ৩২৮ লিটারের দুটি নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। রেফ্রিজারেটরের পাশাপাশি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রয়েছে ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার। যার মধ্যে চলতি বছরে নতুন এসেছে ছয়টি মডেল। আপকামিংয়ের তালিকায় রয়েছে ২৯টি মডেলের ফ্রিজ।</p> <p>ওয়ালটন জানায়, গত বছর স্থানীয় বাজারে প্রায় ১৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল দেশীয় এই ব্র্যান্ডের। ২০১৬ সালে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল। বিক্রির এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির আলোকে চলতি বছর ১৮ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বছরের প্রথম দুই মাসেই, অর্থাৎ জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের।</p>