<p>দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে নতুন নম্বর স্কিম পেতে যাচ্ছে মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। নতুন করে আবেদন করলে সেই মতে ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত অপারেটরটিকে নম্বর স্কিম দেওয়া হবে।</p> <p>অন্যদিকে, বাংলালিংকও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পেতে যাচ্ছে নতুন নম্বর স্কিম। একই প্রক্রিয়ায় অপারেটরটিকে নম্বরটি দেওয়া হতে পারে।</p> <p>‘০১৭’- এর পাশাপাশি গ্রামীণফোন নতুন কোড নম্বর (নম্বর স্কিম) ‘০১৩’ বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।</p> <p>এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অপারেটরগুলোর প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যদি দেখি তাদের নতুন সিরিজ (নম্বর স্কিম) প্রয়োজন তাহলে বিষয়টি ইতিবাচক হবে।’</p> <p>মন্ত্রী বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়ার পরেও গ্রামীণফোনকে নম্বর স্কিম দেওয়া হয়নি- হয়তো সে সময়ে তাদের ততটা প্রয়োজন ছিল না। এখন হয়তো আসলেই প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠালে আমরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখবো।’</p> <p>প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে গ্রামীণফোন ০১৩ নম্বর স্কিম বরাদ্দ পায়। অপারেটরটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই নম্বর স্কিম বরাদ্দ দেয়। সে সময় অপারেটরটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন, বলেছিলেন, ‘আমরা নম্বর স্কিমের অনুমোদনপত্র পেয়েছি। কিছু উন্নয়ন কাজ করতে হবে বিশেষ করে নেটওয়ার্কের। এটা শেষ হলেই শিগগিরই আমরা ০১৩ চালু করতে পারবো।’ তিনি আরও জানান, গ্রামীণফোনের জন্য ‘০১৭’ নম্বর স্কিমে বরাদ্দকৃত ১০ কোটি নম্বর বিক্রি প্রায় শেষের পথে রয়েছে।</p> <p>কিন্তু বরাদ্দ পেলেও সে সময় গ্রামীণফোন ‘০১৩’ চালুর চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সৈয়দ তালাত কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আবারও আবেদন করবো। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবার আবেদন করলে নতুন নম্বর স্কিম বরাদ্দ পাবে গ্রামীণফোন। ‘০১৭’ নম্বর স্কিমে কিছু নম্বর এখনও খালি রয়েছে (রিসাইক্লিংয়ের পরে)। সেগুলো দিয়েই এখন আমাদের কাজ চলছে। তবে আর বেশিদিন পারা যাবে না।’</p> <p>জানা গেছে, অপারেটরটি নতুন নম্বর স্কিমের বিপরীতে ২ কোটি নম্বর বরাদ্দ চেয়েছিল। এবার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে অপারেটরটি ‘০১৩’-এর বিপরীতে ১০ কোটি নম্বর বরাদ্দ পেতে পারে।</p> <p>এদিকে আরেকটি কম্পানি বাংলালিংক নতুন নম্বর স্কিম চেয়ে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় বিটিআরসিতে। ‘০১০’ নম্বর স্কিমের জন্য আবেদন করে অপারেটরটি। ওই চিঠিতে বাংলালিংক উল্লেখ করেছিল, অপারেটরটির (১ সেপ্টেম্বর ২০১৬) গ্রাহক ৩ কোটি ১০ লাখ হলেও আদি সংস্থা সেবা টেলিকম এর সময়কাল থেকে অপারেটরটির ৮০ শতাংশ নম্বর ব্যবহার (বিক্রি) হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ নম্বরও শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা ‘০১০’ বরাদ্দ চায়।</p> <p>অপারেটরটির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমরা তখন ০১০ নম্বর স্কিম চেয়েছিলাম। এবারও আনুষ্ঠানিকভাবে এই নম্বরটিই চাইবো।’</p> <p>উল্লেখ্য, একটি নম্বর স্কিমের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অপারেটর ১০ কোটি সিম (নম্বরসহ) বিক্রি করতে পারে। যার নম্বরগুলো হয় ১১ ডিজিটের। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ই্উনিয়ন (আইটিইউ) প্রদত্ত স্ট্যান্ডার্ড এটিই। দেশে বর্তমানে ০ থেকে ১০ -এর মধ্যে ‘০১২’, ‘০১৩’, ‘০১৪’ ও ‘০১০’ নম্বর স্কিম খালি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও নাইজেরিয়ায় একাধিক নম্বর স্কিমের প্রচলন রয়েছে বলে জানা গেছে। যেসব দেশে জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি সেসব দেশে একাধিক নম্বর স্কিম ব্যবহার হয়ে থাকে।</p>