গ্রামীণফোন ‘০১৩’, বাংলালিংক ‘০১০’

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
গ্রামীণফোন ‘০১৩’, বাংলালিংক ‘০১০’

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে নতুন নম্বর স্কিম পেতে যাচ্ছে মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। নতুন করে আবেদন করলে সেই মতে ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত অপারেটরটিকে নম্বর স্কিম দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, বাংলালিংকও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পেতে যাচ্ছে নতুন নম্বর স্কিম। একই প্রক্রিয়ায় অপারেটরটিকে নম্বরটি দেওয়া হতে পারে।

‘০১৭’- এর পাশাপাশি গ্রামীণফোন নতুন কোড নম্বর (নম্বর স্কিম) ‘০১৩’ বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অপারেটরগুলোর প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যদি দেখি তাদের নতুন সিরিজ (নম্বর স্কিম) প্রয়োজন তাহলে বিষয়টি ইতিবাচক হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়ার পরেও গ্রামীণফোনকে নম্বর স্কিম দেওয়া হয়নি- হয়তো সে সময়ে তাদের ততটা প্রয়োজন ছিল না।

এখন হয়তো আসলেই প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠালে আমরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখবো।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে গ্রামীণফোন ০১৩ নম্বর স্কিম বরাদ্দ পায়। অপারেটরটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই নম্বর স্কিম বরাদ্দ দেয়।

সে সময় অপারেটরটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন, বলেছিলেন, ‘আমরা নম্বর স্কিমের অনুমোদনপত্র পেয়েছি। কিছু উন্নয়ন কাজ করতে হবে বিশেষ করে নেটওয়ার্কের। এটা শেষ হলেই শিগগিরই আমরা ০১৩ চালু করতে পারবো।’ তিনি আরও জানান, গ্রামীণফোনের জন্য ‘০১৭’ নম্বর স্কিমে বরাদ্দকৃত ১০ কোটি নম্বর বিক্রি প্রায় শেষের পথে রয়েছে।

কিন্তু বরাদ্দ পেলেও সে সময় গ্রামীণফোন ‘০১৩’ চালুর চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সৈয়দ তালাত কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আবারও আবেদন করবো। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবার আবেদন করলে নতুন নম্বর স্কিম বরাদ্দ পাবে গ্রামীণফোন। ‘০১৭’ নম্বর স্কিমে কিছু নম্বর এখনও খালি রয়েছে (রিসাইক্লিংয়ের পরে)। সেগুলো দিয়েই এখন আমাদের কাজ চলছে। তবে আর বেশিদিন পারা যাবে না।’

জানা গেছে, অপারেটরটি নতুন নম্বর স্কিমের বিপরীতে ২ কোটি নম্বর বরাদ্দ চেয়েছিল। এবার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে অপারেটরটি ‘০১৩’-এর বিপরীতে ১০ কোটি নম্বর বরাদ্দ পেতে পারে।

এদিকে আরেকটি কম্পানি বাংলালিংক নতুন নম্বর স্কিম চেয়ে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় বিটিআরসিতে। ‘০১০’ নম্বর স্কিমের জন্য আবেদন করে অপারেটরটি। ওই চিঠিতে বাংলালিংক উল্লেখ করেছিল, অপারেটরটির (১ সেপ্টেম্বর ২০১৬) গ্রাহক ৩ কোটি ১০ লাখ হলেও আদি সংস্থা সেবা টেলিকম এর সময়কাল থেকে অপারেটরটির ৮০ শতাংশ নম্বর ব্যবহার (বিক্রি) হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ নম্বরও শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা ‘০১০’ বরাদ্দ চায়।

অপারেটরটির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমরা তখন ০১০ নম্বর স্কিম চেয়েছিলাম। এবারও আনুষ্ঠানিকভাবে এই নম্বরটিই চাইবো।’

উল্লেখ্য, একটি নম্বর স্কিমের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অপারেটর ১০ কোটি সিম (নম্বরসহ) বিক্রি করতে পারে। যার নম্বরগুলো হয় ১১ ডিজিটের। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ই্উনিয়ন (আইটিইউ) প্রদত্ত স্ট্যান্ডার্ড এটিই। দেশে বর্তমানে ০ থেকে ১০ -এর মধ্যে ‘০১২’, ‘০১৩’, ‘০১৪’ ও ‘০১০’ নম্বর স্কিম খালি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও নাইজেরিয়ায় একাধিক নম্বর স্কিমের প্রচলন রয়েছে বলে জানা গেছে। যেসব দেশে জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি সেসব দেশে একাধিক নম্বর স্কিম ব্যবহার হয়ে থাকে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল
সংগৃহীত ছবি

জরুরি অথচ বেশ পুরনো। এমন ই-মেইল খুঁজতে গিয়ে আমরা প্রায় সময়ই হয়রান হই। তবে এবার আর সে কষ্ট করতে হবে না। জিমেইল নিয়ে এল ফিচার।

‘এআই-পাওয়ার্ড’ সার্চের এই ফিচারটি সহজেই প্রয়োজনীয় অথচ অনেক পুরনো ই-মেইল খুঁজে দেবে।

সার্চ অপশনে কিওয়ার্ডের সাহায্যে পুরনো ই-মেইল খোঁজা বেশ জনপ্রিয় পন্থা। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতি আরো আকর্ষণীয়। এখানে মাথায় রাখা হয় ঘনঘন ক্লিক করা ই-মেইল, নিয়মিত মেইল চালাচালি হয় এমন ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি।

এর সাহায্যে সার্চ করলে সময় বাঁচবে এবং দ্রুত কাঙ্ক্ষিত ই-মেইল খুঁজে পাওয়া যাবে।

‘মোস্ট রিলেভ্যান্ট’ সার্চ রেজাল্ট এবার বিশ্বজুড়েই ব্যক্তিগত জিমেইল অ্যাকাউন্টের জন্য চালু হয়েছে। ওয়েব ও জিমেইলের অফিসিয়াল অ্যাপ সর্বত্রই তা পাওয়া যাবে। অ্যাপের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস, দুই ধরনের ডিভাইসেই এটি পাওয়া যাবে।

ইউজাররা ‘মোস্ট রিলেভ্যান্ট’ এবং ‘মোস্ট রিসেন্ট’ এই দুই অপশন থেকে বেছে নিয়ে সার্চ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

কিভাবে এআই-এর সাহায্যে এই সার্চ করা হয়

গুগল জানিয়েছে, মূলত তিনটি বিষয় খেয়ালে রাখা হয়।

  • কারা আপনাকে নিয়মিত মেইল পাঠায়।
  • কোন ইউজারকে আপনি বেশি ই-মেইল পাঠান।
  • আপনার আগের ই-মেইল সার্চ।

কিভাবে এই সার্চ অপশনকে ‘গেম চেঞ্জার’ মনে করা হচ্ছে

দৈনিক শতাধিক মেইল ঢুকতে থাকে ইনবক্সে। ফলে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ খুঁজে বের করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। এই কঠিন চ্যালেঞ্জ সহজেই সামলে নিতে পারবে এআই-নিয়ন্ত্রিত সার্চ অপশন। এর ফলে জিমেল আরো স্মার্ট হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরনো সকল মেইলের তালিকার ভেতর থেকে যা আপনাকে খুঁজে দেবে সেই প্রয়োজনীয় ই-মেইলটি, যেটি আপনি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত।

আরো পড়ুন
গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস

গরমে হার্ট ভালো রাখতে ৫ টিপস

 

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

সাবমেরিন ক্যাবলে সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাবমেরিন ক্যাবলে সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড উভয় ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কমবে।

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব জানান, সরকার ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য কাজ করছে।

জনগণের যেন সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট পায়, সে জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে দাম কমানো এর মধ্যে অন্যতম। এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পর্যায়ে সব ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমবে।

এ ছাড়া, ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম (DWDM) সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এর ফলে টেলিকম কোম্পানিগুলোর ট্রান্সমিশন খরচ ৩৯ শতাংশ কমবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরো বলেন, 'ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন।'

ফয়েজ আহমদ তৈয়ব জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঘুমানোর আগে রিলস দেখার অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঘুমানোর আগে রিলস দেখার অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও বা রিলস দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা অনেকেই রাত জেগে রিলস দেখে সময় কাটাই। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর আগে টানা রিলস দেখা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরই নয়, প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর আগে টানা রিলস দেখার ফলে বাড়ছে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

হাইপারটেনশনের ঝুঁকি

সম্প্রতি চিনের এক মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বয়সের ৪ হাজার ৩১৮ জনের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। গবেষকদের মূল লক্ষ্য ছিল, ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কোনো সম্পর্ক আছে কি না।

সেই গবেষণাতেই রিলস দেখার সঙ্গে হাইপারটেনশনের ঝুঁকির যোগসূত্র খুঁজে পান তারা। বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

মানসিক চাপ

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর রিলসের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে অনেকদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন গবেষকরা। করোনা সংক্রমণের সময় সামাজিক মাধ্যমে রিলসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত রিলস দেখা মনের ওপর চাপ ফেলে। জেন জি ও জেন আলফার কনসেনট্রেশন ধরে রাখতে না পারার পিছনেও এই রিলসকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। পাশাপাশি এর প্রভাবে চিন্তার খোরাক কমে যাওয়া, সৃজনশীল চর্চার পরিধি এবং স্থায়িত্বেরও ব্যাঘাত ঘটে চলেছে ক্রমাগত।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

রিলস ও ডুমস্ক্রোলিংয়ের বদ অভ্যাসের জেরে ব্রেন রট হওয়া খুব স্বাভাবিক। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিলস দেখার পরিণাম আরো ভয়াবহ।

রিলস দেখার ফলাফল

স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, টেলিভিশন কিংবা ভিডিয়ো গেম- স্ক্রিনের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকা কারো পক্ষেই ভালো নয়। এসব কাজের সময় শরীর যেটুকু নড়াচড়া করে, রিলস দেখার সময় সে সবের কোনো অবকাশই থাকে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিলস দেখেন। দীর্ঘক্ষণ একইভাবে থাকার কারণে শরীর আড়ষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে রক্ত চলাচলও স্তিমিত হয়ে পড়ে। এর জেরে শরীরে হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা দানা বাঁধে স্বাভাবিক ভাবেই।

আরো পড়ুন
সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়াতে যা করবেন

সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়াতে যা করবেন

 

আবার এইভাবে দীর্ঘক্ষণ রিলস দেখার সময় শরীরের সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভিডিও দেখার সময় হৃৎস্পন্দন তুলনামূলক বেড়ে যায়। টানা একই কাজ করলে এর প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।

প্রতিকার

প্রতিকার হিসেবে গবেষকদের পরামর্শ, যতই রিলস দেখুন না কেন, তাতে আসক্ত হয়ে পড়া চলবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রিন টাইম ঠিক করে নিন। প্রয়োজনে স্মার্ট দূরে রেখে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম যেমন ভালো হবে, শরীরও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে।

আরো পড়ুন
আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

আলু-পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখলে কী ক্ষতি

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেরই রাতভর মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যাস আছে। আর আধুনিকতার এই যুগে প্রায় সবার ঘরেই উচ্চ গতির ইন্টারনেট ওয়াই-ফাই আছে। আর তারা সেই ওয়াই-ফাই চালু করে রাখেন সব সময়।

আবার ফোন না দেখলেও ওয়াই-ফাই চালু থাকা অবস্থাতেই ফোনটি মাথার কাছে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে।

ওয়াই-ফাই রাউটার সবসময়েই চালু থাকে। এর প্রভাব শরীরে কিভাবে পড়তে পারে, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। একটা সময়ে বলা হতো, ওয়াই-ফাই থেকেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। কিন্তু আদৌ কি তা সম্ভব? কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

২০১১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছিল, ওয়াই-ফাই থেকে যে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বের হয়, তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ওই তরঙ্গ দেহকোষে ঢুকলে তা থেকে কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হতে পারে। যা পরে ক্যান্সার কোষের জন্ম দিতে পারে। ক্রমাগত ওই তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের মধ্যে থাকলে নানাভাবে শরীরের ক্ষতি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছিল হু।

কিন্তু বর্তমান সময়ের গবেষণা বলছে, ওয়াই-ফাই থেকে যে চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি হয় তা শরীরের ক্ষতি করে না। ওই বিকিরণ রেডিও-টিভির মতোই ‘নন-আয়োনাইজড’। অর্থাৎ সেই বিকিরণ কোষের ক্ষতি করবে না অথবা ডিএনএ-র ওপর ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলবে না।

ব্রিটেনের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারও একই কথা জানিয়েছে। ওয়াই-ফাই থেকে ক্যান্সার হওয়ার কোনো রকম ঝুঁকিই নেই।

আরো পড়ুন
আমলকী চায়ের যত গুণ

আমলকী চায়ের যত গুণ

 

তবে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণা বলছে, ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে যে ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক’ তরঙ্গ বের হয়, তা মানুষের মস্তিষ্কের জন্য বিপজ্জনক। এমন অনেক মানুষজনকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা ওয়াই-ফাই চালু রেখে মাথার কাছে ফোন নিয়ে ঘুমান, তাদের অনিদ্রা, মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকি রক্তচাপেও হেরফের দেখা গেছে।

গবেষকদের পরামর্শ, ঘুমানোর সময়ে ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ করে দিন। যখন ব্যবহার করছেন না, তখন ব্লুটুথ স্পিকার বা রাউটার বন্ধ রাখুন। আর অবশ্যই ফোনটি মাথার কাছে নিয়ে ঘুমাবেন না, রাউটারও যেন মাথার কাছাকাছি না থাকে।

আরো পড়ুন
ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ