এসিডিটিতে সবাই কমবেশি ভুগে থাকে। পাকস্থলীতে এসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণই এই সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রচলিত ও বিজ্ঞানসম্মত কিছু নিয়ম এ সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে—
১. ক্যাফেইনযুক্ত তরল চা পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এর পরিবর্তে হারবাল চা পান করা যেতে পারে।
এসিডিটিতে সবাই কমবেশি ভুগে থাকে। পাকস্থলীতে এসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণই এই সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রচলিত ও বিজ্ঞানসম্মত কিছু নিয়ম এ সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে—
১. ক্যাফেইনযুক্ত তরল চা পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এর পরিবর্তে হারবাল চা পান করা যেতে পারে।
২. প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে। সঙ্গে এক চামচ মধু যোগ করলে মন্দ হয় না।
আরো পড়ুন : রোগবালাইয়ে রক্ষাকবচ আঙুর...
৩. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা, তরমুজ অথবা শসা রাখতে হবে। তরমুজের জুস এসিডিটির বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে।
৪. ডাবের পানি এসিডিটি সমস্যার জন্য এক চমৎকার উপশম।
৫. নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা যেতে পারে।
৬. ঘুমোতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নিতে হবে।
আরো পড়ুন : নিরামিষে সুস্থতা...
৭. দুটি খাওয়ার মাঝে দীর্ঘ বিরতি দেওয়া যাবে না।
৮. আচার, প্রচুর মসলাযুক্ত খাবার আর ভিনেগার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
৯. কয়েকটি পুদিনা পাতা পানিতে ফেলে সিদ্ধ করতে হবে। খাবার গ্রহণ শেষে এক গ্লাস ওই পানি খেলে উপকারে আসে।
১০. লবঙ্গ মুখে পুরে চুষতে থাকলে খুব ভালো কাজ দেয়।
১১. মুখের ভেতর শুকিয়ে গেলে ভালো মানের চুয়িংগাম মুখে নেওয়া যেতে পারে। মুখ-নিঃসৃত লালা হজমের জন্য উপকারী। আর হজমের কাজ ঠিকমতো হলে এসিডিটির পরিমাণ কমে যাবে।
১২. আদা হজমশক্তি বাড়ায়। রান্নায় এটির ব্যবহার উপকার দেয়।
১৩. এক গ্লাস পানিতে চিনি আর লেবু মিশিয়ে দুপুরের খাবারের এক ঘণ্টা আগে পান করতে হবে। এতে করে খাবার সময় বা পরে তেমন একটা অস্বস্তি বোধ হয় না।
১৪. সব ধরনের সবজি খেতে হবে।
১৫. প্রচুর পানি পান করতে হবে।
-- টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে ইমরোজ বিন মশিউর
সম্পর্কিত খবর
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে, কিডনির সমস্যা এড়াতে চাইলে শুধু খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে নজর দিলেই চলবে না। নিয়মিত কয়েকটি কাজ করতে হবে। তবেই কিডনি ভালোভাবে কাজ করবে। তার ফলে শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন দূর হবে।
তাই কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে উঠে কোন কোন কাজ করা জরুরি, দেখে নিন একনজরে।
কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। কিডনি যাতে বিকল না হয়, সঠিকভাবে কাজ করে, তার জন্য প্রতিদিন সকালে কয়েকটা কাজ করা প্রয়োজন।
সূত্র : এবিপি লাইভ
বাজারে এই সময়ে প্রায় অনেক সবজিরই দাম কম। তার মধ্যে টমেটো অন্যতম। সব রকমের তরকারিতে এই সবজি দেওয়া যায়। আবার সালাদ হিসেবে কাঁচাও খেয়ে থাকেন অনেকে।
টমেটো সংরক্ষণের কৌশল
আস্ত টমেটো : টমেটো কিনে আনার পর ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর বোঁটার দিকটা সামান্য কেটে নিন এবং ঠিক তার উল্টো দিকের অংশটা ছুরি দিয়ে কাটা চিহ্নের মতো করে দাগ দিয়ে নিন। এই অবস্থায় একটি জিপলক ব্যাগে এগুলো ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
টুকরো করে : মাছ বা মাংসের তরকারিতে টমেটোর টুকরো দিতে চাইলে টুকরো করে সংরক্ষণ করতে পারেন। এ জন্য টমেটো চার ভাগ করে কেটে নিন। একটি কাচ অথবা স্টিলের পাত্রে টিস্যু বিছিয়ে টমেটোর টুকরোগুলো রাখুন। একটার সঙ্গে যেন আরেকটা না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখুন।
পিউরি হিসেবে : টমেটো টুকরো করে কেটে সেদ্ধ করে নিন। ভালো করে বেটে নিয়ে একটি আইস ট্রেতে সেই মিশ্রণটি ঢালুন। ফ্রিজারে রেখে বরফ বানিয়ে তারপর একটি এয়ারটাইট ব্যাগে ভরে রাখুন ফ্রিজারে।
লক্ষণীয়
গরমে ঠাণ্ডা বেলের শরবত দেহ ও মনকে যেমন চনমনে করে, তেমনি শরীরেরও বিভিন্ন উপকার করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, আলসারের মতো রোগ দমন করে এবং রক্ত পরিষ্কার করে এই বেল। বেলের গুণাগুণ বলার অপেক্ষা রাখে না। বেলের শরবত আমাদের অনেকের কাছে খুবই প্রিয়।
তবে বাজারে বা ফুটপাতে যে পদ্ধতিতে বেলের শরবত তৈরি হয় তা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই বাড়িতেই শরবত বানিয়ে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস খেতে পারেন। এর ফলে ফিট থাকবেন সারা দিন। আজ জানুন বেলের শরবত তৈরির সহজ ৫টি রেসিপি।
বেল-দইয়ের শরবত
উপকরণ
প্রণালী
প্রথমে বেলের খোসা ফাটিয়ে নিন। চামচের সাহায্যে ফল বের করুন। এবারে চামচ বা হাতের সাহায্যে ম্যাশ করে দানা আলাদা করে ফেলুন। ঠাণ্ডা পানি ঢেলে পুনরায় আলতো করে ম্যাশ করুন।
এবার রসে চিনি, দই ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে পানি যোগ করতে পারেন। সার্ভিং গ্লাসে প্রথমে আইস কিউব দিয়ে তার ওপর শরবত ঢেলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
বেল-পুদিনার শরবত
উপকরণ
প্রণালী
খোসা থেকে ফল বের করে হাতে চটকে দানা আলাদা করে ফেলুন।
ছাঁকা রসে চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। গ্লাসে আইস কিউব আর পুদিনা পাতা কুচির ওপর শরবত ঢেলে পরিবেশন করুন। চাইলে পরিবেশনের আগে সামান্য লবণ দিতে পারেন, না দিলেও ক্ষতি নেই।
বেল-জিরার শরবত
প্রণালী
প্রণালী
বেলের খোসা ভেঙে ফল বের করে নিন। একটি বাটিতে বেল ঢালুন এবং বেলের দ্বিগুণ পরিমাণ পানি দিয়ে দিন। এবারে ম্যাশ করুন। ম্যাশড বেল ছাঁকনিতে নিয়ে চামচের সাহায্যে রস চিপে বের করুন। এবারে রসে প্রয়োজনমতো ঠাণ্ডা পানি বা আইস কিউব মিশিয়ে নিন। তারপর লবণ ও জিরা গুঁড়া দিয়ে দিলেই ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বেলের শরবত তৈরি।
বেল-গুড়ের শরবত
প্রণালী
প্রণালী
বেল ৩টা ভেঙে নিন। এরপরে বড় চামচ দিয়ে ভেতরের ফল বের করে বাটিতে রাখুন। এতে ১ কাপ পানি মেশান এবং ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পরে একটি ভেজিটেবল ম্যাশার দিয়ে বেল ম্যাশ করে নিন।
এবারে একটি বড় ছাঁকনিতে ম্যাশ করা বেল ছাঁকুন। ছাঁকার সময়ে চামচ দিয়ে জোরে জোরে পিষবেন যাতে দানা আর ছোবা আলাদা হয়ে যায়। আর অবশ্যই একটু একটু করে পানি মেশাবেন ছাঁকার সময়ে, আধা কাপ থেকে পৌনে এক কাপের মতো।
রস পুরোপুরি ছাঁকা হয়ে গেলে এতে গুড় বা সম পরিমাণ চিনি মেশাবেন। মিষ্টির পরিমাণ চাইলে কমবেশি করতে পারবেন। আর রসে পানির পরিমাণও বাড়াতে বা কমাতে পারেন। এরপরে জিরা গুঁড়া, এলাচ গুঁড়া ও বিট লবণ দিয়ে দিন। এবার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
বেলের শরবত
উপকরণ
প্রণালী
বেলের খোসা ভেঙে ভেতরের ফলটা বের করে একটি বাটিতে রাখুন। এবারে এর সাথে ২ গ্লাস পানি মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। বেল নরম হওয়ার জন্য এভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা পর একটি পটেটো ম্যাশার দিয়ে পানিতে থাকা বেলকে ম্যাশ করুন। এতে দানা আর ছোবা আলাদা হয়ে যাবে। এবারে একটি বড় ছাঁকনিতে বেল ছেঁকে ছোবা আর দানা আলাদা করে ফেলুন। যে রসটা থাকবে তাতে আরো ১-২ গ্লাস পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আইস কিউব নিন। একে একে চিনি, বিট লবণ, আর জিরা গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার বেলের শরবত।
গ্রীষ্ম না আসতেই তীব্র গরম পড়তে শুরু করেছে। রোদের তাপে তেতে থাকছে বাড়িঘর। ফলে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তেতে থাকছে ঘরের বিছানাও। অনেকের বাড়িতে এসি থাকলেও এখনো সবার এসি কেনার সামর্থ্য হয়নি।
গরমে বিছানাকে ঠাণ্ডা করে রাখবেন যেভাবে
কুলিং কম্বল
বিছানা ঠাণ্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কুলিং কম্বলে।
কুলিং ম্যাট্রেস প্যাড
খুব হালকা কাপড়ে তৈরি, বিছানা ঠাণ্ডা করতে ব্যবহৃত হয় কুলিং ম্যাট্রেস প্যাড। এটি সহজেই বিছানায় সেট করা যায়। দরকার মতো ওয়াশিং মেশিনেও পরিষ্কার করা যায়। রাতভর এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা বুঝে বিছানা শীতল করবে, এমনকি এটি ‘ময়েশ্চার উইকেনি’ পদ্ধতিতে ঘামও শুষে নেয়।
পর্দা বন্ধ রাখুন
ঘরের মধ্যে সহজে যাতে রোদ প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ঘর দিনের বেলা ঘরের পর্দাগুলো বন্ধ রাখুন।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা