<p>গবেষণায় দেখা গেছে আামাদের দেহের দাম কোটি কোটি টাকা। এটা কোনো জোকস নয়। বিশেষ করে কালোবাজারে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দাম আকাশছোঁয়া। আসুন জেনে নেওয়া যাক মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কত টাকায় বিক্রি হয় কালোবাজারে।</p> <p><strong>১. কিডনি</strong><br /> কালোবাজারে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় কিডনি। কালো বাজারে মানব দেহের যত ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হয় তার ৭৫ শতাংশই কিডনির দখলে। একটি কিডনি বিক্রি হয় প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ টাকায়।</p> <p><strong>২. লিভার</strong><br /> এক গবেষণায় দেখা গেছে লিভার রোগে অন্য আরো যে কোনো রোগের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। বেশিরভাগ সময়ই লিভারের রোগ ধরা পড়ে গিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে। যার ফলে দ্রুত কালোবাজার থেকে লিভার কিনে নিয়ে রোগীরা নিজেদের চিকিৎসা করান। একটি লিভারের দাম পড়ে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা প্রায়।</p> <p><strong>৩. হৃদপিণ্ড</strong><br /> আইনী প্রক্রিয়ায় হৃদপিণ্ড দান করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে। এছাড়া ডাক্তারের বিশাল খরচতো আছেই। ফলে রোগীরা কালোবাজার থেকেই লিভার কিনে নিয়ে চিকিৎসা করান। কালোবাজারে একটি হৃদপিণ্ড বিক্রি হয় প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ টাকায়।</p> <p><strong>৪. কর্নিয়া</strong><br /> চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেলে লোকে অন্ধ হয়ে যায়। কালোবাজারে একটি কর্নিয়া বিক্রি হয় প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়।</p> <p><strong>৫. বোন ম্যারো বা হাড়ের মজ্জা</strong><br /> আইনগতভাবে বোন ম্যারো শুধু দানই করা যায়। কিন্তু কালোবাজারে মাত্র এক গ্রাম বোন ম্যারো বিক্রি করেই যে লাখপতি হওয়া যায়! এর দাম প্রায় ১৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।</p> <p><strong>৬. ডিম্বাণু</strong><br /> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী মানুষের ডিম ক্রয় ও বিক্রয় বেআইনী নয়। কিন্তু এর প্রতিস্থাপনে যে খরচ হয় তা অনেক বেশি। কিন্তু কালোবাজারের বদৌলতে এর খরচ অনেক কমে এসেছে। একটি ডিম্বাণুর দাম ১০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা প্রায়।</p> <p><strong>৭. করোনারি আর্টারি</strong><br /> হৃদরোগ যেহেতু সবচেয়ে বেশি হওয়া রোগগুলির একটি ফলে এর বাজারও বেশ বড়। যদিও করোনারি আর্টারির প্রতিস্থাপন আইনীভাবে ঘটে না তথাপি কালোবাজারে এর চাহিদাও বেশ। একটি করোনারি আর্টারির দাম পড়বে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা প্রায়।</p> <p><strong>৮. ক্ষুদ্রান্ত্র</strong><br /> এই অঙ্গটির প্রতিস্থাপন বেশ জটিল এবং খুব বিরল। যাদের ক্ষুদ্রান্ত্র অপসারণ করা হয়েছে বা যাদের অন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে তাদের দেহে এই প্রতিস্থাপনটি করা হয়। একটি ক্ষুদ্রান্ত্রের দাম পড়বে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা প্রায়।</p> <p><strong>৯. গলব্লাডার বা পিত্তকোষ</strong><br /> পিত্তথলিতে পাথর হলে সেটি প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে দেহ থেকে গলব্লাডার ফেলে দেওয়ার পর তা প্রতিস্থাপনের ঘটনা বেশ বিরল। তথাপি এর চাহিদাও আছে বেশ কালোবাজারে। একটি পিত্তকোষ বিক্রি হয় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকায়।</p> <p><strong>১০. রক্ত</strong><br /> রক্ত সাধারণত দানই করে লোকে। তবে রক্তব্যাংকে ঘাটতির ফলে কালোবাজারে এর কেনা-বেচা হয়। ভারতে কথিত রক্তের খামারে নাকি লোককে আটকে রেখে নানা সময়ে রক্তদানে বাধ্য করা হয়। এক ব্যাগ রক্ত ৩ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।</p> <p><strong>১১. একজোড়া চোখের মনি</strong><br /> একটি কর্নিয়া এবং একজোড়া চোখের মনির দাম প্রায় সমান। খুব খারাপ পরিস্থিতিতে এই অঙ্গের প্রতিস্থাপন করা হয়। কালোবাজারে একজোড়া চোখের মনির দাম প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা পড়ে।</p> <p>তাহলে এখন একটি মানবদেহের মোট দাম কত হতে পারে?</p> <p>১ কোটি ৭২ লাখ<br /> ১ কোটি ৩৮ লাখ<br /> ১ কোটি ৩ লাখ<br /> ১ লাখ ৩১ হাজার<br /> ১৯ লাখ ৭৬ হাজার<br /> ১০ লাখ ৭৪ হাজার<br /> ১ লাখ ৩১ হাজার<br /> ২ লাখ ১৭ হাজার<br /> ১ লাখ ৫ হাজার<br />        ৩০ হাজার<br /> ১ লাখ ৩১ হাজার<br /> = ৪ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার</p> <p>অর্থাৎ, একটি মানবদেহ থেকে নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে বিক্রি করলে এর আর্থিক মূল্য হতে পারে সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি। তার মানে আপনার দেহটির আর্থিক মূল্য কম করে হলেও সাড়ে চার কোটি টাকা!</p>