<p>ডিউটিরত অবস্থায় মোবাইলে গল্পে ব্যস্ত ছিলেন এক মহিলা ট্রাফিক পুলিশকর্মী। সেই ছবি তুলে সাধারণ মানুষ ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সোশাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেছিলেন এক তরুণী। তার জেরে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর হাতে মার খেলেন তিনি। জুটল গালিগালাজ। আক্রান্তের নাম লিজা দাস। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের রাধানগরে। তিনি কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল মোড়ে একটি ফার্মেসিতে কম্পিউটারের কাজ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর নদিয়ার কৃষ্ণনগরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি এর প্রতিকার চেয়ে ওই মহিলা ট্রাফিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে নদিয়ার ঘূর্ণি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এক পদস্থ পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।</p> <hr /> <p>আরো পড়ুন: <a href="http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2018/01/19/591492" title="">'চেহারা পাল্টেছে তাতে কি, বেঁচে তো আছি'</a></p> <hr /> <p>লিজার অভিযোগ, ফার্মেসিতে কাজ করতে গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি খেয়াল করেন ফার্মেসির সামনের রাস্তায় এক মহিলা ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ট্রাফিক সামলানোর কাজে ফাঁকি দিয়ে রাস্তার ধারে মোবাইলে গল্পে মশগুল ছিলেন। সেইসময় রাস্তায় ছিল ভীষণ জ্যাম। হেলমেটহীন লোকজন বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন তা দেখে তিনি সেই ছবি তুলেছিলেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের পোস্ট করে ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর রোষের মুখে পড়েন।</p> <hr /> <p>আরো পড়ুন: <a class="title hidden-xs hidden-sm" href="http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2018/01/19/591439" title="">এবার উড়ন্ত ফ্লাইটে বিয়ে দিলেন স্বয়ং পোপ (ভিডিও)</a></p> <hr /> <p>এরপর গত ১৩ জানুয়ারি যে ফার্মেসিতে লিজা কাজ করেন সেখানে হাজির হন ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মী। তিনি সঙ্গে আরও কয়েকজন পুলিশকর্মীদের নিয়ে এসে ওই মহিলাকে শাসাতে থাকেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। লিজা এর প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে তাঁর গালে সপাটে চড় মারেন ওই মহিলা ট্রাফিক পুলিশকর্মী।এই ঘটনায় নিজেকে চরম অপমানিত বোধ করছেন লিজা দাস নামে ওই মহিলা। পুলিশের কাছেই লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়ে তিনি এর প্রতিকার চেয়েছেন। তার প্রশ্ন একটাই, সোশাল মিডিয়ায় ওই ছবি পোস্ট করে তিনি কোন অন্যায় করেছেন কিনা ? এই ঘটনায় লিজার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।</p> <p> </p>