<p>নোবেল বিজয়ী নারীশিক্ষা ও অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই বিশ্বসেরা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের সঙ্গে নারীদের শিক্ষার প্রসারে একজোট হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পে বছরে এক লাখ নারীকে শিক্ষার আলোয় আনতে সহায়তা করা হবে।</p> <p>অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক প্রায় চার মাস আগে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে শিক্ষারত মালালার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানেই তারা একত্রে নারীশিক্ষার এ উদ্যোগের চিন্তা করেন।</p> <p>আরো পড়ুন :<a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/world/2017/09/05/539283\"> পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশকে অনুসরণ করা : মালালা</a></p> <p>গত শনিবার বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সিইও টিম কুক লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একত্রে নারী শিক্ষার বিষয়ে তাদের এ দাতব্য সংস্থা গঠনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।</p> <p>মালালা ও টিম কুক জানিয়েছেন, নতুন এ উদ্যোগের আওতায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান, লেবানন, তুরস্ক ও নাইজেরিয়ার নারীদের জন্য প্রাথমিকভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এতে প্রয়োজনীয় অর্থেরও সংস্থান করবে তাদের দাতব্য সংস্থা।</p> <p>আরো পড়ুন : <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/world/2017/04/08/484301\">মালালা জাতিসংঘের শান্তির দূত মনোনীত</a></p> <p>সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টকে এ ফাউন্ডেশন গঠনের তথ্য জানান টিম কুক। তিনি বলেন, ‘আমি গত বছরের অক্টোবরে অক্সফোর্ডে গিয়ে মালালার সঙ্গে দেখা করি।’</p> <p>টিম বলেন, মালালা প্রাথমিক আলোচনাতেই নারী শিক্ষার জন্য এ সংস্থা গঠন করতে রাজি হয়। মালালা ফান্ড নামে এ সংস্থায় অ্যাপলের পক্ষ থেকে নারী শিক্ষার বিস্তারে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।</p> <p><img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/hotjobs/malala-2.jpg\" style=\"height:362px; width:600px\" /></p> <p>(নারী শিক্ষার কথা বলায় পাকিস্তানে তালেবানরা হত্যার চেষ্টা করে মালালাকে। গুলিবিদ্ধ মালালাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১২ সালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার ছবি এটি)</p> <p>সারা বিশ্বে অ্যাপলের বহু ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে বহু বিশেষজ্ঞও। আর তাদের ব্যবহার করে এ ফাউন্ডেশনকে নারী শিক্ষায় এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন টিম কুক।</p> <p>এ বিষয়ে টিম কুক বলেন, ‘আমরা শিক্ষার বাজারে গত ৪০ বছর ধরে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই এ কাজ চলছে। আর অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসেরও এতে খুব প্রাধান্য ছিল। এ কারণে আমরা এক্ষেত্রে দক্ষ জনবল গড়ে তুলেছি যেন আমাদের পণ্য শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়।’</p> <p>কিন্তু কিভাবে কাজ করবে অ্যাপল ও মালালার এ উদ্যোগ? এ প্রসঙ্গে কুক বলেন, তার আগ্রহ রয়েছে দুর্গমতম অঞ্চলের নারীদের শিক্ষায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করায়।</p> <p>সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট</p>