ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্গানিক খাবার জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর!

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
অর্গানিক খাবার জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর!

অর্গানিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে উৎপাদিত খাবারকে সবসময় স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। তবে এই পদ্ধতি জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 

গবেষণায় বলা হয়েছে, অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাবার জলবায়ুর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।

কেননা, এ জন্য অনেক বেশি জমি প্রয়োজন হয়।

গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা জলবায়ুর ওপর প্রভাব পরিমাপ করতে অর্গানিক পদ্ধতির  পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। তাঁদের লক্ষ্য অর্গানিক ও সাধারণ পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদনের ফলে জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে তুলনা করা।

গবেষকদলের প্রধান বলেন, 'আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সুইডেনে অর্গানিক পদ্ধতিতে মটরশুটি উৎপাদনের ঘটনা সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি প্রভাব পড়েছে জলবায়ুর ওপর।

এর কারণ হলো, প্রতি হেক্টর জমিতে অর্গানিক উৎপাদন অনেক কম। কারণ সেখানে সার ব্যবহার করা হয়নি। ফলে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে উৎপাদিত পণ্যের সমপরিমাণের জন্য অর্গানিক উৎপাদনের জন্য অনেক বেশি জমি প্রয়োজন হচ্ছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয় এভাবে, অর্গানিক উৎপাদনের কারণে যে বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় তাতে বনাঞ্চল উজাড় হয়।

বনাঞ্চল উজাড় হলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। 

এমনকি, অর্গানিক মাংস ও ডেয়ারি পণ্যের সঙ্গে জলবায়ুর বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে যা ক্ষতিকর। কারণ হিসেবে বলা হয়, 'অর্গানিক মাংস ও ডেয়ারি পণ্যের জন্য অর্গানিক পশুখাদ্য প্রয়োজন। এর জন্যও প্রয়োজন হয় বাড়তি জমি। অর্থাৎ অর্গানিক গম কিংবা মটরশুটি উৎপাদনের একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় অর্গানিক মাংস কিংবা ডেয়ারি পণ্য উৎপাদনে।

ফলে, এ ক্ষেত্রেও একইভাবে জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।' 

গবেষণার এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল 'সাইকিয়াট্রি'-তে। 

সূত্র : এএনআই 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘যন্ত্রণাদায়ক যৌন সম্পর্কে’ বাধ্য করেন স্বামী, মুখ খুললেন স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘যন্ত্রণাদায়ক যৌন সম্পর্কে’ বাধ্য করেন স্বামী, মুখ খুললেন স্ত্রী
সংগৃহীত ছবি

বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্বামী এবং জোর করে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলেন। 'রিপলিং' নামে সিঙ্গাপুরের বহু বিলিয়ন ডলারের একটি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রসন্ন শঙ্করের বিরুদ্ধে ফের সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ। 

সংবাদ সংস্থা দ্য সান ফ্রান্সিসকো স্ট্যান্ডার্ডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রসন্নের স্ত্রী দিব্যা শশীধরের আদালতে জমা করা নথি, ইমেল, ছবি এবং অন্যান্য রেকর্ড সামনে আসতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এছাড়াও ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দিব্যা অভিযোগ করেন, কীভাবে তার স্বামী তাকে লাগাতার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন।

এমনকি বাইরে থেকে লোক ধরে এনে জোর করে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এবং নগ্ন ভিডিও প্রচারের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। 

ওই সাক্ষাৎকারে দিব্যা জানিয়েছেন, তার ওপর স্বামীর অত্যাচার লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর জন্য তাকে ক্যারিয়ারও বিসর্জন দিতে হয়। শুরু হয়েছিল বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দিয়ে।

ধীরে ধীরে তা গড়িয়েছে আরো কয়েক ধাপ। 

প্রথমে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রসন্ন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে মুখ খুলেছিলেন তিনি। এ বার স্ত্রীকে ধর্ষণ, একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, নিজের শিশুপুত্রকে অপহরণ— এমনই নানা পাল্টা অভিযোগে প্রসন্নের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দিব্যা।

সিঙ্গাপুরের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘রিপলিং’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রসন্ন। জনপ্রিয় পত্রিকা ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রসন্নের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং ছেলের হেফাজতের মামলা চলছিল তার।

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে ব্যবসায়ী দাবি করেছেন যে, দিব্যা তার বিরুদ্ধে সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তোলার কারণে তাকে পালাতে হয়েছে। ছেলে তার সঙ্গে ভাল আছে এবং সুখে আছে।

স্ত্রীর দায়ের করা অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে চেন্নাই পুলিশ তাকে হেনস্থা করছে বলেও দাবি করেছেন প্রসন্ন।

প্রসন্নের দাবি, কোনও এফআইআর ছাড়া ‘অবৈধ ভাবে’ তাঁর মোবাইল ফোনের অবস্থান, গাড়ি, ইউপিআই এবং আইপি নজরে রাখছে পুলিশ।

স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে থাকার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরেই নাকি প্রসন্নের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন দিব্যা। কত খোরপোশ দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন দু’জনে মিলে। তবে অভিযোগ, টাকার অঙ্কে সন্তুষ্ট হননি দিব্যা। এর পরেই দিব্যা ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেন বলে দাবি করেন প্রসন্ন।

যদিও দিব্যার দাবি একেবারেই ভিন্ন। তার অভিযোগ, যৌনকর্মীদের সঙ্গে লাগাতার সঙ্গম করতেন প্রসন্ন। কখনও কখনও যৌনকর্মীদের বাড়িতেও নিয়ে আসতেন। আবার কখনও দিব্যাকে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোর করতেন প্রসন্ন। প্রতিবাদ করলে উল্টে তাকে ‘উদারমনস্ক’ হতে বলতেন প্রসন্ন। দিব্যার উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখার জন্য প্রসন্ন বাড়িতে একাধিক সিসিটিভিও বসিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

এ ছাড়াও অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াতেন প্রসন্ন। তবে কোথাওই বেশি দিন থাকতেন না। ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো স্ট্যান্ডার্ড’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য এ বিষয়ে যাবতীয় ছবি, ভিডিয়ো এবং নথি প্রমাণ হিসাবে দেখিয়েছেন দিব্যা।

দিব্যার দাবি, প্রসন্নের সঙ্গে সংসার করা তাঁর কাছে ‘দুঃস্বপ্নের মতো’। সংবাদমাধ্যমে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ২০১৬ সালে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পরই প্রসন্ন তাঁকে ‘যন্ত্রণাদায়ক যৌনমিলনে’ বাধ্য করেছিলেন। প্রসন্ন নাকি বলেছিলেন যে, পুরুষদের ‘প্রধান চাহিদা’ সঙ্গম। দিব্যা রাজি না হওয়ায় প্রসন্ন হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ দিব্যার।
দিব্যার কথায়, ‘‘প্রসন্ন আমায় বলত, যৌনতা আমার জন্য একটি প্রাথমিক চাহিদা। তোমাকে এটা করতে হবে। তুমি কতটা ব্যথায় ভুগছ তা কোনও ব্যাপার নয়।’’

দিব্যা আরো বলেছেন, ‘‘আক্ষরিক অর্থেই আমায় প্রসন্ন বলত, যদি তুমি এটা না করো, তা হলে আমি বাইরে গিয়ে সঙ্গম করব।’’

‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো স্ট্যান্ডার্ড’-এর প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দিব্যাকে লেখা প্রসন্নের একটি ইমেল উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেই মেলে প্রসন্ন তাকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তাদের দর জিজ্ঞাসা করার কথা বলেছিলেন। অন্য একটি ইমেলে স্ত্রীকে ‘উদারমনস্ক’ হওয়ার পরামর্শও নাকি তিনি দিয়েছিলেন।

অন্য দিকে, ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো স্ট্যান্ডার্ড’কে দেওয়া অন্য একটি ইমেলে প্রসন্ন লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে দিব্যার তোলা অভিযোগ ভুয়ো। উদারমনস্ক হওয়ার প্রস্তাব যখন দিয়েছিলেন তখন তাদের বিয়ে পানসে হয়ে গিয়েছিল। তাতে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। আর সে কারণেই তিনি রাগের মাথায় ওই কথা বলেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘অন্যায় ভাবে’ গ্রেফতারের ভয়ে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রসন্ন। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে প্রসন্নের দাবি, তার ছেলে নিরাপদে এবং সুখে থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে।

সম্পর্কে এমন তিক্ততা তৈরি হলেও প্রসন্ন এবং দিব্যার সম্পর্কের শুরুর দিনগুলো ছিল মধুর। ২০০৭ সালে প্রথম দেখা হয় যুগলের। দু’বছর পর তাদের প্রেমপর্ব শুরু হয়। প্রসন্ন এবং দিব্যা— দু’জনেই মেধাবী। দীর্ঘ দিন একে অপরের থেকে দূরে ছিলেন যুগল। প্রসন্ন সিলিকন ভ্যালিতে একটি অ্যাপ তৈরির কাজ করছিলেন। অন্য দিকে, দিব্যা উচ্চশিক্ষার জন্য কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন।

২০১৩ সালে পুনরায় একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন প্রসন্ন এবং দিব্যা। একসঙ্গে নেদারল্যান্ডসে ছিলেন তারা। দিব্যার পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৫ সালে সান ফ্রান্সিসকোয় চলে যান প্রসন্ন। সেখানে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর হিসাবে একটি স্টার্টআপ সংস্থায় যোগ দেন। ২০১৭ সালে সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তদন্তে দেখা যায় যে, সংস্থাটি বিনিয়োগকারীদের ঠকাচ্ছে। এর পরেই প্রসন্ন পদত্যাগ করেন।

২০১৭ সালের প্রথম দিকে ‘রিপলিং’ তৈরি করেন প্রসন্ন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিপলিংয়ের ৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। সংস্থা সাফল্যের মুখ দেখার পর এখন কোটি কোটি টাকার মালিক প্রসন্ন। সহকর্মীদের দাবি, প্রসন্ন ‘কোডিং গড’ এবং একজন অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ গুরুতর।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
স্মরণ

নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৭৫৬ সালের ৯ এপ্রিল (আজকের দিনে) মুর্শিদাবাদে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

১৬৭১ সালের ১০ মে জন্মগ্রহণ করেন আলীবর্দী খাঁ। তাঁর আসল নাম মির্জা মুহাম্মদ আলী।

তার পিতার নাম মির্জা মুহম্মদ মাদানি। তিনি ১৭৪০ সাল থেকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত (১৭৫৬) বাংলা, বিহার ও উড়িশ্যার নবাব ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানা।

আরো পড়ুন

সারা দেশে নতুন কর্মসূচি দিল বিএনপি

সারা দেশে নতুন কর্মসূচি দিল বিএনপি

 

তিনি মুঘল দরবার কর্তৃক খান উপাধি পেয়েছিলেন।

একসময় তিনি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র আজম শাহের অধীনে কাজ করতেন।

আজম শাহের মৃত্যুর (১৭০৭) পর তিনি বাংলায় চলে আসেন। সেখানে চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়ে উড়িশ্যা যান। সেখানে গিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নবাব সুজাউদ্দীন খাঁর অধীনে চাকরি পান।

১৭২৮ সালে নবাব সুজাউদ্দীন খাঁ তাকে গুরুত্বপূর্ণ আকবরনগর চাকলার (প্রশাসনিক বিভাগ) ফৌজদার নিয়োগ করেন এবং আলীবর্দী উপাধিতে ভূষিত করেন।

আরো পড়ুন

ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ : এ্যানি

ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ : এ্যানি

 

১৭৩২ সালে তিনি বিহারের শাসনভার পান। ওই সময় বাংলার নবাব ছিলেন সুজাউদ্দীন খাঁ। ১৭৪০ সালে নবাব সরফরাজকে পরাজিত করে বাংলার নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি।

তাঁর শাসনামলে মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়।

তিনি মারাঠাদের সফলভাবে দমন করেন।

দীর্ঘদিন যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত থাকার কারণে আলীবর্দীর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছিল। ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল তিনি মুর্শিদাবাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের খোশবাগে তার সমাধি অবস্থিত।

মন্তব্য

১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া প্রাণীর প্রত্যাবর্তন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া প্রাণীর প্রত্যাবর্তন
সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘কলোসাল বায়োসায়েন্সেস’ বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত কোনো প্রাণীকে পুনর্জীবিত করার দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রায় ১২,৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া বিশালাকৃতির ‘ডায়ার উলফ’ নেকড়েকে ক্লোনিং ও জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

কলোসালের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডায়ার উলফের মতো দেখতে তিনটি শাবক তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি পুরুষ শাবক ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্ম নিয়েছে এবং একটি স্ত্রী শাবক ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি জন্ম নিবে।

নেকড়ে শাবক দুইটির নাম দেওয়া হয়েছে রোমিউলাস ও রেমিউস।

এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে ১৩ হাজার বছর পূর্বের ডায়ার উলফের পুরোনো একটি দাঁত ও ৭২ হাজার বছর আগের একই প্রাণীর পুরোনো একটি খুলির ডিএনএ। সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির সাহায্যে এ প্রজাতির নেকড়ের কোষে ১৪টি জিনে ২০টি পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বর্তমানে এই তিনটি শাবক গোপন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছে।

যেখানে ১০ ফুট উঁচু বেড়া, ড্রোন, নিরাপত্তাকর্মী ও লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়া কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ম্যামথ, ডোডো ও তাসমানিয়ান টাইগারকে ফিরিয়ে আনার প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তবে ডায়ার উলফের পুনর্জন্ম নিয়ে তাদের কাজ এখন পর্যন্ত গোপন ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিজ্ঞানের নতুন একটি দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

তবে এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। 

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিপন্ন প্রাণীদের রক্ষায় বেশি জোর দেওয়া উচিত। তাদের মতে, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীকে ফিরিয়ে আনার অর্থ হচ্ছে প্রকৃতির নিজস্ব ভারসাম্য নষ্ট করা। যদিও কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ভবিষ্যতে সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো প্রাণী ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে।

সূত্র : সি এন এন

মন্তব্য

সভ্যতা ও বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশের ‘শীতল পাটি’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সভ্যতা ও বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বাংলাদেশের ‘শীতল পাটি’
সংগৃহীত ছবি

‘আসুক আসুক মেয়ের জামাই, কিছু চিন্তা নাইরে, আমার দরজায় বিছাই থুইছি, কামরাঙা পাটি নারে’—পল্লি কবি জসীম উদ্দিন তাঁর নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থে কামরাঙা নামক শীতল পাটির বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন।

শীতল পাটি বাংলা সুপ্রাচীন এক কুটির শিল্পের নাম। আমাদের সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ এই শীতল পাটি। বাংলাদেশের শীতল পাটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আগেকার দিনে গরমের সময়ে যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন হাত পাখা যেমন ব্যবহৃত হতো তেমনি শীতল পাটিও ছিল ঘরে ঘরে। কাঁথা বা তোশকের উপরে এই পাটি বিছিয়ে দেয়া হতো এবং এতে গা এলিয়ে দিলে হৃদয় মন সব শীতল হয়ে যেতো বলেই এর নাম শীতল পাটি। এই শীতল পাটির প্রধান উপাদান হলো মোরতা এবং এটি একটি নল খাগরা জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছ জঙ্গলে, ঝোঁপে ঝাড়ে, রাস্তার ধারে, পাহাড়ের পদতলে আপনা- আপনি জন্মায়।

এই গাছ থেকে এর বাকল পাতলা করে কেটে সংরক্ষণ করে বোনা হয় শীতল পাটি। 

শীতল পাটি বিভিন্ন ডিজাইনে বোনা হয়। বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণে কখনো ফুল, পাখি, লতাপাতা কখনো বা জ্যামিতিক আকৃতি আবার মসজিদ, মন্দিরের আকৃতিতেও বোনা হয়। কখনো বা রং ছাড়াও বোনা হয়।

অসম্ভব ধৈর্য আর চমৎকার নৈপুণ্যের কাজ করে থাকেন কারিগরেরা। নারী-পুরুষ একসাথে এ কাজ করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে নারীরাই শীতল পাটি বোনার কাজ করেন।

অতীতে জমিদার বাড়ি, সরকারি অফিস-আদালতে শীতল পাটির ব্যবহার ছিল। বর্তমানে শীতল পাটির ব্যবহার পূর্বের তুলনায় কমে গেছে।

কিন্তু শৌখিন মানুষের ঘরে এখনো শীতল পাটি লক্ষ্য করা যায়। যেমন সাজসজ্জার উপকরণ, সুকেস, ব্যাগ, চশমার খাপ ইত্যাদিতে শীতল পাটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের উপকরণ হিসেবে শীতল পাটির ব্যবহার হয়ে আসছে বহুযুগ ধরে। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, পটুয়াখালী, সিলেট ও ঝালকাঠি অঞ্চলে এখনো শীতলপাটি তৈরি হয়। তবে সব থেকে উন্নত ও উৎকৃষ্ট মানের শীতল পাটি পাওয়া যায় চট্টগ্রাম ও সিলেটে। বর্তমানে শীতল পাটি উৎপাদন কম হওয়ার কারণ কারিগরেরা ন্যায্য মূল্য পায়না বলে অন্য পেশার সাথে তারা জড়িত হচ্ছে। যদি সরকারি ভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কারিগরদের সুযোগ- সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় তবে আমাদের এই ঐতিহ্য টিকে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

লেখক : বিলকিস নাহার মিতু
শিক্ষার্থী, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ