ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের অংশ হিসেবে টেক্সাসের এক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের দর্শনার্থীদের সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার নামে চিড়িয়াখানার আরশোলা বা তেলাপোকার নামকরণ করার সুযোগ দিচ্ছে।
এরপর মীরক্যাট নামে এক ধরণের বনবিড়ালের খাদ্য বানানো হবে সেই সব তেলাপোকাকে।
চিড়িয়াখানায় মীরক্যাটের বেষ্টনীর মুখে লেখা থাকবে নামকরণ হওয়া সেই সব সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার নাম, পরে যা সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করা হবে।
আয়োজক সারাহ বোরেগো বলছেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের প্রথাসিদ্ধ উদযাপনের বিপরীতে এই আয়োজন 'ব্যতিক্রমী এবং মজার'।
"আমাদের সবারই প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকা আছে, যাদের সাথে ঘটে যাওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোর কথা আমরা ভুলিনি। এই আয়োজনের মাধ্যমে হয়ত আমরা মনের ভেতরের হতাশা কিছুটা হলেও ঝেড়ে ফেলতে পারবো।"
ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে এই অনুষ্ঠান যখন চলবে সেটি সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে এই ইভেন্ট ঘোষণা করে, ইতিমধ্যেই পনের শত মানুষ এতে অংশ নেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এবং এখনো বহু মানুষ অংশ নেবার আগ্রহ প্রকাশ করে লিখছেন। এর মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে এমনকি জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও আবেদন করছেন।
এরই মধ্যে এই আয়োজন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারেও।
কেমন হবে এই আয়োজন?
সাবেক প্রেমিক প্রেমিকার নামের প্রথম অংশটি কেবল উল্লেখ করা যাবে এই প্রতিযোগিতায়।
চিড়িয়াখানার মূল ফটকে বড় স্ক্রিনে দেখা যাবে সেসব নাম, একই সাথে সামাজিক মাধ্যমেও প্রকাশ করা হবে নাম।
মিস বোরেগো মনে করেন এই আয়োজনে যুক্ত হবার জন্য মানুষের যে ব্যাপক আগ্রহ, তার ফলে এটাই প্রমাণ হয় যে কত মানুষ ভ্যালেন্টাইনস ডের প্রথাগত উদযাপনের ওপর বিরক্ত।
এছাড়া চিড়িয়াখানার এই অভিনব উদযাপন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ আপত্তি জানায়নি, এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও নয়। যদিও এখনো এ নিয়ে 'বিতর্ক বা সমালোচনার সুযোগ রয়েছে' বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।
তেলাপোকার ভাগ্যে কী ঘটবে?
হতাশ বা ক্রুদ্ধ বা ক্ষুব্ধ প্রেমিক-প্রেমিকার হতাশার বোঝা নিয়ে একদিনের জন্য তেলাপোকাগুলো নিজেদের উৎসর্গ করবে।
কয়েক হাজার তেলাপোকা মীরক্যাট এবং বানরের পেটে যাবে। "মানুষ যেমন কুকি খায়, সেরকম একবারে একটি করে তেলাপোকা খাওয়ানো হবে।"
তবে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই অন্য কয়েকটি চিড়িয়াখানা এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী চিড়িয়াখানায় নিজের সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার নামে বিষাক্ত সাপের নামকরণ করার সুযোগ দিচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
তবে, সেজন্য নিয়ম হচ্ছে, কেন তাদের 'সাবেক' এর নামে বিষাক্ত সাপের নাম হবে সেটি প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করতে হবে।