আফ্রিকার বৃহত্তম বোতল বাড়ি
নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ হচ্ছে এই বাড়ি। প্লাস্টিক, বালি ও কংক্রিট মিশিয়ে তৈরি এই বাড়িই মহাদেশটিতে সবচেয়ে বড়। এখন পর্যন্ত বাড়িটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৬ হাজারেরও বেশি পলিথিলিন টেরেফথালেট বোতল। বোতলগুলো বর্জ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে,অনেকে স্বেচ্ছায় দানও করেছেন।
বোতল বাড়ি : বুলেটপ্রফ এবং ভূমিকম্প-প্রতিরোধী
কালের কণ্ঠ অনলাইন
ভিন্ন ধরনের রিসাইক্লিং
প্রায় ১৯ কোটি মানুষের দেশটিতে প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্লাস্টিক বোতল মাঝেমধ্যেই দেশটির শহরগুলোর পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করে। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরো বাজে রূপ নেয়। বছরে উৎপাদিত ৩ দশমিক ২ টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশটিতে নেই তেমন কার্যকর ব্যবস্থা।
প্রকল্পের উদ্যোক্তা
নির্মাণ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া আহমেদ জার্মানিতে ২৭ বছর ধরে বাস করেছেন, চাকরিও করেছেন। নিজের দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত। দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বানানো এ ধরনের কিছু বাড়ি থেকেই এই ধারণা পান আহমেদ।
বেকারত্ব নিরসন
নাইজেরিয়ার ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের এক চতুর্থাংশেরই কোনো নিয়মিত আয় নেই। অনেককেই শেষ পর্যন্ত জীবনধারণে বেছে নিতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি বা চুরি। আহমেদ বলছেন, ‘‘এদের অনেকে রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়, কেউ জড়িয়ে পড়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে।
সাধারণ কিন্তু কার্যকর
নির্মাণ প্রক্রিয়া বিস্ময়করভাবে সহজ। প্লাস্টিকের খালি বোতল বালি এবং পাথরকুঁচি দিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে সেগুলোকে একটার ওপর একটা সাজিয়ে কাদা দিয়ে আটকে দেয়া হয়। এই পদ্ধতি যে শুধু পরিবেশবান্ধব তাই নয়, খরচও অনেক কম। এতে নির্মাণ খরচ প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব।
প্রশিক্ষণ, দক্ষতা
ইটের বাড়ি বানানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সিইবা। কিন্তু গত সাত বছর ধরে তিনি ইটের বদলে বাড়ি বানাচ্ছেন বোতল দিয়ে। ডয়চে ভেলেকে সিইবা বলেন, ‘‘প্রথমে বোতল দিয়ে বাড়ি বানাতে খুব অস্বস্তি লাগতো। কিন্তু একবার কৌশল শিখে গেলে সব সহজ হয়ে যায়।’’
বুলেটপ্রফ এবং ভূমিকম্প-প্রতিরোধী
বোতল বাড়ির আরেক বড় সুবিধা- স্থায়ীত্ব। বালিভর্তি বোতলগুলো প্রায় অবিনশ্বরই বলা চলে। দক্ষিণ অ্যামেরিকার হন্ডুরাসে বানানো এমন কিছু বাড়ি ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পেও অক্ষত ছিল। নির্মাতাদের দাবি, এই বাড়িগুলো বুলেটপ্রুফ।
অসীম সৃষ্টিশীলতা
আবুজা প্রকল্পে নানা আকারের ও বর্ণের প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়। ফলে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইনে বাড়ি বানাতেও কোনো বাধা নেই। উত্তর নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী বৈশিষ্ট্যের সাথে নানা রং ও নকশা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে অপূর্ব কিছু বাড়ি।
দক্ষ প্রশিক্ষক
জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সাত বছর আগে নাইজেরিয়ার কিছু নির্মাণ শ্রমিককে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আহমেদ। তাঁর সেই শিক্ষার্থীদের অনেকেই এখন পরিণত হয়েছেন দক্ষ প্রশিক্ষকে। এখন বোতল বাড়ি নির্মাণকাজে আগ্হীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
- ডিডাব্লিউ থেকে
সবিশেষ
গায়ক পাখি বাঁচাতে আলজেরীয় উদ্যোগ
অনলাইন ডেস্ক
গোল্ডফিঞ্চ মূলত পরিযায়ী পাখি। এটি পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় পাখি। সুরেলা কণ্ঠে গান গাইতে পারে বলে এই পাখির কদর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উত্তর আফ্রিকান দেশ আলজেরিয়ায়। ওখানে এই পাখি ‘মাকনিন’ নামে পরিচিত।
আলজেরীয়দের কাছে পাখিটি এতটাই প্রিয় যে প্রায় প্রতিটি বাড়ির খাঁচায় এই পাখির দেখা মেলে। ভাবা যায়, ২০২১ সালের এক পরিসংখ্যান মতে, আলজেরিয়ায় খাঁচায় বন্দি মাকনিনের সংখ্যা ছিল ৬০ লাখেরও বেশি। পাখিটির জনপ্রিয়তা এখান থেকে হয়তো অনুধাবন করা যায়।
দেশটিতে এই পাখি শিকার ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় সেই ২০১২ সালে।
কিন্তু আইন মানা হয়নি। কেউ মানতেও চায় না। রঙিন পাখা আর বাহারি লেজের এই পাখি এই পাখি পোষা আলজেরীয়দের জাতীয় শখে পরিণত হয়েছে। আর এই শখ মেটাতে গিয়ে পাখিটি এখন বিপন্নের কাতারে চলে এসেছে।
পাখিটি রক্ষায় কয়েক বছর ধরে বেশ সোচ্চার দেশটির পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তারা নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে পাখিটি রক্ষায়। দেশটির ওয়াইল্ড সংবার্ড প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের ভলান্টিয়ার জেইনাল আবিদিন চিবুত বলেন, ‘পাখিগুলোকে যখন আপনি খাঁচায় রাখবেন তখন এগুলো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগবেই। এগুলোর পেটের নাড়িভুঁড়ি ফুলে যাবে। এগুলোর খাদ্যাভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন আসায় এমনটা হয়।
মাকনিন পাখিকে আলজেরিয়ানরা স্বাধীনতার প্রতীক মানলেও পাখিটিকে তারা খাঁচায় পুষতে বেশ পছন্দ করে। উনিশ শ পঞ্চাশের দশকে এই পাখিকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেশটির কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীরা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই পাখির প্রতি ভালোবাসার অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মার্চ মাসে তারা একটি শোভাযাত্রারও আয়োজন করে। পরিবেশবাদী ও পাখিপ্রেমীরা বলছেন, ‘আমরা খাঁচায় বন্দি মাকনিন পাখিগুলোকে যেদিন মুক্ত করে দিতে পারব সেদিনই ওরা প্রকৃত স্বাধীন হবে। সূত্র : এরাব নিউজ
ভূতের গল্পে শ্রোতাদের হৃদয় জয়
শাফি-উল মাওলা
মানুষ আসলে ভয় পেতে ভালোবাসে, এই বিষয়টি বেশ পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করেছিলেন এক রেডিও জকি। তীব্র ভয় চেপে ধরলেও, কোনো রকমে ফোনটি রেডিও নেটওয়ার্কে কানেক্ট করে অধীর উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রায় কয়েক কোটি মানুষ একসাথে শুনতেন শ্রোতাদের জীবনেই ঘটে যাওয়া নানা অস্বাভাবিক ঘটনা, যার কোন ব্যাখ্যা ছিল না।
হ্যাঁ, বলছিলাম আর জে রাসেলের ভূত এফ এম এর কথা। এই শোটি যেন বাংলায় রেডিওর স্বর্ণযুগকে আরও কিছুটা দীর্ঘায়িত করেছিল।
কিন্তু হঠাৎ, বছর চারেক আগে, অজানা কারণেই এই শোটি সমাপ্তি টানেন রাসেল। টানা ১০-১১ বছর নিয়মিত শোনার পর শ্রোতারা বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হন এই সংবাদে। আর আঘাত পাবে না কেন? ভূত এফ এম ছিল শ্রোতাদের কাছে এক নিয়মিত সূচি। সারা সপ্তাহের ক্লান্তিকে ভুলে যেতে তারা চাইতেন প্রচণ্ড শিহরণ, আর সেই শিহরণের জন্যই তো এই শোটির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
সেই সূত্র ধরেই ভূত এফ এম বন্ধ হওয়ার পর নানা মাধ্যমে আর জে রাসেলকে ফিরে আসার অনুরোধ করতে থাকেন শ্রোতারা। এদিকে, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততা যে বেশ চেপে ধরেছিল তাকে, তবুও তিনি শ্রোতাদের আহ্বান ফেলতে পারেননি। তাই সবশেষে, আবারো শো নিয়ে ফিরলেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, তবে নাম পরিবর্তন হয়ে গেলো ভূত এফ এম থেকে "ভূতডট কম"।
একদম শূন্য থেকে শুরু হয়েছিলো এই নতুন যাত্রা।
রাসেলকে নতুন রূপে পেয়ে আনন্দিত তার শ্রোতারা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শ্রোতাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় তারা কতটা অধীর আগ্রহে থাকেন রাসেলের গলায় ভূতের গল্প শোনার জন্য। রাসেলও থাকেন সেই অপেক্ষাতেই, কখন তিনি প্রিয় শ্রোতাদের শোনাবেন নানা ঘটনা।
ভূত এফ এম দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হরর রেডিও শো হিসেবে খ্যাত ছিল। তবে শোটি বন্ধ হওয়ার পর, পরবর্তী সময়ে দেশে আরও নানা হরর শো শুরু হলেও, তা ভূত এফ এম এর মত শ্রোতাপ্রিয় বা বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে ওঠেনি।
সবিশেষ
মহাকাশ সেক্টরে শীর্ষে যেতে চায় সৌদি আরব
অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশ সেক্টরেও পিছিয়ে থাকতে চায় না সৌদি আরব। তারা উদ্ভাবন, টেকসই প্রকল্প আর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে মহাকাশ সেক্টরে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে। এরই মধ্যে দুই সৌদি নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। এটি একটি শক্তিশালী মহাকাশ খাত তৈরি করার জন্য সৌদি আরবের উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি পদক্ষেপ।
জানা গেছে, ক্যান্সার, ক্লাউড সিডিং, মহাকাশে মাইক্রোগ্রাভিটি নিয়ে গবেষণা করতে সৌদি নভোচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন।
সৌদি তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিয়াদে ‘সেন্টার ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন’ (সিফোরআইআর) নামে একটি প্রকল্প উদ্বোধন করছে। সৌদি স্পেস এজেন্সির তত্ত্বাবধানে তারা সেন্টার ফর ফিউচার স্পেসেস নামেও আরেকটি সংস্থা চালু করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণায় এই দুটি প্রকল্প বেশ সাড়া জাগাবে।
বিশেষত এই প্রকল্প দুটি হাতে নেওয়ার পর থেকে মহাকাশ খাতে সৌদি নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও পাচ্ছে।
সৌদি আরব ২০৩০ সালের মধ্যে তার অর্থনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সিফোরআইআর প্রকল্পটি এরই অংশ। তেলনির্ভর দেশ সৌদি আরব তার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য ও বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সৌদি আরবের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ প্রকল্প সম্পর্কে সদ্যঃসমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে নিকোলাই খ্রিস্টোভ মন্তব্য করেছেন, ‘বুঝতে পারছি, মহাকাশ শিল্প খুব দ্রুত বিবর্তিত হতে যাচ্ছে।
সেন্টার ফর ফিউচার স্পেসেস নামের সংস্থাটিতে সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। তবে এই সংস্থার একটি মৌল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি টেকসই মহাকাশ কর্মসূচি গড়ে তোলা। সূত্র : এরাব নিউজ
নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তার দাবিতে প্রচারিত এই ছবিটি কি আসল?
অনলাইন ডেস্ক
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একই ছবি ব্যবহার করে তৈরি ফেস দ্য পিপলের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে কেউ কেউ দাবি করছেন, উপজেলা জামায়াতের আমিরের বাড়ি থেকে নিক্সন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে ছবিটি আসল নয়, সম্পাদিত।
এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার অন্য এক ব্যক্তির ছবিতে ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে নিক্সনের মুখ সংযোজন করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলোচিত ছবিটির সঙ্গে সম্প্রতি কক্সবাজারের সাবেক কাউন্সিলর এহেসান উল্লাহকে আটকের ছবির হুবহু মিল পাওয়া যায়। মিল থাকা বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের চেহারা ও অবস্থান, আটক ব্যক্তির পোশাক। শুধু এহেসানের মুখের স্থানে নিক্সন চৌধুরীর ছবি সংযোজন করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবিতে ফেস দ্য পিপলের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডের বিষয়ে ফেস দ্য পিপল জানিয়েছে, এটি তাদের ফটোকার্ড নয়। একইসঙ্গে নিক্সন চৌধুরী গ্রেপ্তারের বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন গ্রেপ্তার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।