বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম টাওয়ার হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত কেপিসি বেঙ্গল টাওয়ার

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম টাওয়ার হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত কেপিসি বেঙ্গল টাওয়ার

রাজধানীর উপশহর পূর্বাচলে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৩০ তলা ভবনের সম্ভাব্য উচ্চতা হবে ২১৪৫ ফুট। প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হবে রাজউকের উপশহর পূর্বাচলে। প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরের রাজউক ঘোষিত সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) এলাকায় এটি নির্মাণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন নির্মিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই শ’ তলা এই ভবনের উচ্চতা হবে ৩২৮০ ফুট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছে দুবাই। ১৬৩তলা এই ভবনের উচ্চতা ২৭১৭ ফুট।

এ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য সুউচ্চ ভবনের মধ্যে রয়েছে সাংহাইয়ের ১২৩তলা সাংহাই টাওয়ার এবং সৌদির মক্কায় ১২০তলা মক্কা রয়াল ব্লক টাওয়ার। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুম্বাইতে ১১০তলা একটি ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে ইতিমধ্যে।

বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স হিসেবে ঢাকার ভবনই হবে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ভবন। এ ছাড়া উচ্চতা ও আয়তনের দিক দিয়ে এটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ তৃতীয় বৃহত্তম ভবন।

প্রস্তাবিত ভবনটির নাম হবে ‘কেপিসি বেঙ্গল টাওয়ার।’

ভবনটি ঘিরেই বাংলাদেশ তথা উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দেশের প্রশাসনিক সকল কর্মকাণ্ড সম্পাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার ২০১৭ সালের মধ্যেই ভবনটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

ভবনটি নির্মাণের পাশাপাশি ওই এলাকায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনে একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সামঞ্জস্য রক্ষায় ভবনটির আশপাশে আরও ৩০ থেকে ৪০তলা কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নাহিদ-আসিফকে, চিহ্নিত করলেন নিজেরাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নাহিদ-আসিফকে, চিহ্নিত করলেন নিজেরাই
এই দুই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। ছবি: সংগৃহীত

আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে যে বন্দিশালায় রাখা হয়েছিল উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে সেটি তারা চিনতে পেরেছেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়গুলো তুলে ধরেন তিনি।

জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুই সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা নাহিদ এবং আসিফও। সেখানে সশরীরে উপস্থিত থেকে ডিজিএফআইয়ের সেই দুই টর্চারসেল চিনতে পারার কথা জানান তারা।

আরো পড়ুন
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পুলিশের সংখ্যা জানাল জাতিসংঘ

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পুলিশের সংখ্যা জানাল জাতিসংঘ

 

ফেসবুক পোস্টে সুচিস্মিতা তিথি লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ।

এই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।

আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি।

দেয়ালের উপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

আওয়ামী শাসনামল ছিল ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী শাসনামল ছিল ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ : প্রধান উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার এই আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বত্র।’

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। আয়নাঘর পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ও ভুক্তভোগীদের পরিবার রয়েছেন।

 

আরো পড়ুন

আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

 

অধ্যাপক ইউনূস জানান, 'গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এই আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে।' এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, 'আপনারা সবাই সঙ্গে ছিলেন, কাজেই আমার আর নতুন করে কিছু বলতে হবে না।

আপনারা সবই দেখেছেন। এক কথায় যদি এর বর্ণনা দিতে হয় তবে বলতে হয় এক বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ বলে যেটা আছে সেটাকে বহু গভীরে নিয়ে গেছে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। নৃশংষ প্রতিটি জিনিসি।
যতবারই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়।'

আরো পড়ুন

সুনামগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট, গ্রেপ্তার ৬

সুনামগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট, গ্রেপ্তার ৬

 

তিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াতের’ সঙ্গে তুলনা করেন। আয়নাঘরে যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হতো সেটাকেও জাহেলি যুগের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, 'নৃশংস অবস্থা প্রতিটি জিনিস যে হয়েছে এখানে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য লাগে যে, এটা কি আমাদেরই দেশ, আমাদেরই জগৎ?'

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিনা কারণে জঙ্গি আখ্যায়িত করে মানুষকে তুলে এনে এসব টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো।’ 
তিনি বলেন, ‘এখন শুনি সারা বাংলাদেশ জুড়েই আরো সাতশ-আটশ আয়নাঘর আছে।

আমার ধারণা ছিল শুধু এখানেই আছে। এগুলার সংখ্যাও নিরূপণ করা যায় না, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে।’

উপস্থিত ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। শেখ হাসিনার আমলে গুমের শিকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেম এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।

আরো পড়ুন

আবু সাঈদ পুলিশের ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের শিকার

আবু সাঈদ পুলিশের ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের শিকার

 

দুইজন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম নিজেরাও এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন এবং তারা ওই রুম চিহ্নিত করেছেন বলে জানান।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ঢাকা শহরের তিনটি স্থানে পরিদর্শন করেন, যেগুলি আগে অত্যাচার কক্ষ এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হত।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমান উত্তরায় র‌্যাবিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ কম্পাউন্ডে ছোট্ট আয়নাঘর, গোপন কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে তাকে আট বছর ধরে শেখ হাসিনার পোষা নিরাপত্তা বাহিনী গোপনে রেখেছিল। আজ তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের কাছে ঢাকায় আয়নাঘর পরিদর্শনকালে তার অগ্নিপরীক্ষার কথা বর্ণনা করেন।

মন্তব্য

জুলাই অভ্যুত্থানের অপরাধীরা এখনো দায়মুক্তি উপভোগ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই অভ্যুত্থানের অপরাধীরা এখনো দায়মুক্তি উপভোগ করছে
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানের অপরাধীরা এখনো দায়মুক্তি উপভোগ করছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের নৃশংসতা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন সাবেক সরকার দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছিল তখন প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করে আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থকরা। হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোর আদিবাসী জনগণও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে।

যদিও বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ১০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে, তবে অনেক প্রতিশোধমূলক সহিংসতা এবং এসব গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণের পরেও অপরাধীরা এখনো দায়মুক্তি উপভোগ করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম দিকের বিক্ষোভের সম্মুখসারিতে থাকার কারণে, নারী ও সহনেতৃত্ব প্রদানকারীরা নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হন। প্রতিবেদনে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিষয়টি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে শারীরিক আক্রমণ এবং ধর্ষণের হুমকি রয়েছে— যার লক্ষ্য ছিল নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা। 

প্রতিবেদনটি এও খুঁজে পেয়েছে যে, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করেছে এবং তাদেরকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিক অবস্থায় আটক এবং অত্যাচার করেছে।

নথিভুক্ত মৃত্যুর ঘটনাগুলোর একটি এমন ছিল, যেখানে ধানমন্ডিতে একজন ১২ বছর বয়সী বিক্ষোভকারীকে প্রায় ২০০টি ধাতব গুলি ছোঁড়ার কারণে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের কারণে মারা যায়। এছাড়াও, নিহতদের মধ্যে ছিল খুব ছোট শিশু যাদেরকে তাদের মা-বাবারা বিক্ষোভে নিয়ে গিয়েছিলেন অথবা যারা পথচারী হিসেবে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে এমন একটি ঘটনা রয়েছে, যেখানে একজন ছয় বছর বয়সী বালিকাকে তার বাড়ির ছাদে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। 

প্রতিবেদনটি এমন ঘটনাগুলোও নথিভুক্ত করেছে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে প্রত্যাখ্যান বা বাধাগ্রস্ত করেছে, রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং হাসপাতালগুলো থেকে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ভয় দেখিয়েছে এবং হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করেছে; যা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করে যে, আইনানুগভাবে বিক্ষোভকারীদের শনাক্ত করার এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহিংসতার মাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল তা গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

 

প্রতিবেদনটি কিছু বিস্তারিত পরিসরে সুপারিশ করেছে— যেমন নিরাপত্তা ও বিচার খাতের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রণীত দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় বৃহত্তর পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা। 

সবশেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, আমার কার্যালয় এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় জবাবদিহিতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

মন্তব্য

সারা দেশে কতগুলো আয়নাঘর আছে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সারা দেশে কতগুলো আয়নাঘর আছে?
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সারা বাংলাদেশজুড়ে আয়নাঘর আছে। যার সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি। এ রকম ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে—সেগুলো আজকে শুনলাম।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

 এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আরো পড়ুন
সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল গ্রেপ্তার

সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল গ্রেপ্তার

 

জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল এখানে আয়নাঘর বলতে যে কয়েকটা আছে তাই। কিন্তু এখন শুনলাম, আয়নাঘরের ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে।

কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে—নৃশংস অবস্থা। প্রতিটি জিনিস যে এখানে হয়েছে যতই শুনি ততই অবিশ্বাস্য মনে হয়।
এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ?’

আরো পড়ুন
চট্টগ্রামে গভীর রাতে ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টি থেকে আটক ২৫

চট্টগ্রামে গভীর রাতে ‘কাপল ড্যান্স’ পার্টি থেকে আটক ২৫

 

তিনি আরো বলেন, ‘যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে। আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) তার একটি নমুনা।

আরো পড়ুন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা

 

গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হত তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ