<p>চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রগ্রেস রেলের আটটি ব্রডগেজ লোকো (ইঞ্জিন)। ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম ধাপে এর আটটি আজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।</p> <p>আজ শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে ইঞ্জিনগুলো নিয়ে একটি জাহাজ এসে পৌঁছালে তা খালাসের কাজ শুরু হয়।</p> <p>রেলের সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ট্রায়ালের পর ইঞ্জিনগুলো রেলের বহরে ‍যুক্ত হতে মাসখানেক লাগবে।</p> <p><img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/Zesan/85255.jpg\" style=\"float:right; height:596px; margin-left:10px; margin-right:10px; width:328px\" /></p> <p>প্রগ্রেস রেলের ব্রডগেজ ৪০টি লোকো ক্রয়ে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।</p> <p>রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর মো. নূরুল ইসলাম সুজন এসব লোকো কেনার চুক্তি করেন ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি।</p> <p>লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকটে বহুদিন ধরেই ধুঁকছে রেল। ইঞ্জিনের অভাবে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা করতে পারছে না রেলওয়ে। এতে করে চলন্ত অবস্থায় প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে ইঞ্জিনগুলো। এ ছাড়া ইঞ্জিন পুরনো হওয়ায় নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। এর ফলে ক্রমাগত শিডিউল বিপর্যয় ঘটায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।</p> <p>এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি নতুন মিটারগেজ ইঞ্জিন রেলবহরে যুক্ত হয় ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তবে সে ইঞ্জিনগুলো নিম্নমানের হওয়ায় তা এখন চালানো হচ্ছে না। কবে নাগাদ সেগুলো চালানো হবে সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলওয়ে।</p>