<p>বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে পুনরায় ভোটের দাবিকে অযৌক্তিক বলেছেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে দুই পক্ষের আইনজীবী নেতারা এ দাবি করেন।</p> <p>বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া, এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, আবেদ রাজা, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংবাদ সম্মেলনের পরপরই একই স্থানে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।</p> <p>উল্লেখ্য, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ ও তদারককারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ১৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদে ১২টি পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। আর মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছেন বিএনপিপন্থী প্রার্থীরা।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বার কাউন্সিলের বিধান থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের দিন প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে ফলাফল শিট দেওয়া হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেআইনি।</p> <p>খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বর্তমান সদস্য ৯ হাজার ৯২ জন। কিন্তু বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটার করা হয়েছে মাত্র ৮৫৩ জনকে। ফলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হাজার হাজার সদস্য এ নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকারবঞ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর অনুমতি বা অনুরোধ ছাড়াই ভোটার তালিকা জেলা আইনজীবী সমিতির ভোটকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।</p> <p>বিএনপিপন্থী এই আইনজীবী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি কিংবা সংশ্লিষ্ট সমিতির পরিচয়পত্র দেখে ভোট দেওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও এটা মানা হয়নি। এসব ছাড়াই অনেককে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>তবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে শ ম রেজাউল করিম বলেন, একজন ব্যক্তির একাধিক সমিতিতে ভোট দেওয়ার প্রবণতা রোধ করার জন্যই বার কাউন্সিল ওই সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব সমিতিকে নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছিল, কে কোন সমিতিতে ভোট দেবেন তার অপশন দিন। সে অনুযায়ী যাঁরা অপশন দিয়েছেন তাঁদের সেই সমিতিতে রাখা হয়েছে। আর যাঁরা অপশন দেননি তাঁদের মূল (মাদার) সমিতিতে রাখা হয়েছে। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।</p> <p>রেজাউল করিম বলেন, তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসত্য। কারণ এ নির্বাচনে সব প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন জুডিশিয়াল অফিসার। নির্বাচনে ভয়াবহ পরাজয়ের গ্লানি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিপক্ষ ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে অসত্য বক্তব্য দিয়েছে।</p>