<p>পবিত্র রমজানের শুরু থেকে রাজধানীর অন্যতম বিক্রয়কেন্দ্র কাপ্তান বাজারে বিক্রি হচ্ছিল পচা মাংস। মাংসের ওজন বাড়াতে একই সঙ্গে পানিতে চোবানো হতো। ওজনে কম দেওয়ার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য অমান্য করে গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ ব্যাপারে ক্রেতারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়।</p> <p>র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে অভিযোগের প্রমাণ পায় এবং প্রতারক ব্যবসায়ীদের শাস্তি ও জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন র‌্যাব-১০-এর একটি টিম, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রতিনিধি ও জেলা বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। গুলিস্তানের বড় মাংসের বাজারের মধ্যে অন্যতম এই কাপ্তান বাজারে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়।</p> <p>র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, কাপ্তান বাজারে ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে চার মণ পচা মাংস জব্দ করা হয়েছে। ১৬ জনকে আটকের পর পাঁচজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  তিনি জানান, রমজান উপলক্ষে সিটি করপোরেশন থেকে গরু ও মহিষের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও ভোক্তাদের অভিযোগ, তা মানছেন না মহানগরীর বেশির ভাগ মাংস ব্যবসায়ী। নির্ধারিত দাম উপেক্ষা করে বেশি দামে তারা মাংস বিক্রি করছে।</p> <p>ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, কাপ্তান বাজারের ফরহাদ মাংসের দোকানের রতন ও কাউসার হামিদ নামে দুজনকে দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আলিম মুন্সির খাসির মাংসের দোকানের রুবেল শেখকে দুই মাসের কারাদণ্ড; মনু মিয়ার খাসির গোশতের দোকানের মো. নাজিম ও হায়দারকে দুই মাসের কারাদণ্ড; বিল্লাল এন্টারপ্রাইজের মো. রকি ও বুলুকে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড; মনিরের মাংসের দোকানের মনির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড; জসিম গরুর গোশতের দোকানের নয়ন মিয়াকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড; ত্রিরত্ন গরুর মাংসের দোকানের হাজি মো. রুবেল চিশতীকে এক লাখ টাকা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাট মিয়ার পিওর খাসির মাংসের দোকানের হাজি মো. শওকত আলীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড; আকবর স্টোর মাংসের দোকানের মিলু শেখ, আলিম বিফ শপের আরমান, আজগর মাংসের দোকানের মো. আজগর ও লাল বাবুর মাংসের দোকানের গুলজার খানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং জনপ্রিয় চায়ের দোকানের মো. শাহ আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই মাসের কারাদণ্ড অনাদায়ে দেওয়া হয়েছে।</p> <p> </p>