<p>যেখানে সেখানে হঠাৎ করে ঢেকুর তোলাকে সাধারণত কটু চোখেই দেখা যায়। আবার এমনও সংস্কৃতি রয়েছে যেখানে খাবারের পর ঢেকুর তোলা সুস্বাদু খাবার ও পেটপুরে খাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে। তবে মানুষের মাঝে বিকট শব্দে ঢেকুর তোলা দারুণ অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ঢেকুর তোলা দেহের সহজাত কাজ। মাঝে মাঝে এটা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। কিন্তু ঘন ঘন হওয়াটা কিন্তু চিন্তার বিষয়। এটা দেহের ভেতরের কোনো সমস্যা নির্দেশ করে। এখানে জেনে নিন, ঘন ঘন ঢেকুর ওঠার কারণ। </p> <p><strong>এসিড রিফ্লাক্স </strong><br /> অতিরিক্ত ঢেকুর কিন্তু এসিড রিফ্লাক্স কিংবা পাকস্থলীতে আলসারের লক্ষণ প্রকাশ করে। এতে বুকের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। এ ছাড়া বেশি মাত্রায় খাওয়া, স্থূলতা এবং অতি মসলাদার খাবারে ঢেকুরে ওঠে। </p> <p><strong>ক্যান্সারের আগে দেহের পরিবর্তন </strong><br /> এটা মারাত্মক বিষয় হতে পারে। কোষে ক্যান্সার গঠনের সম্ভাবনা দেখে দিলে বা এর কারণে দেহে কোনো পরিবর্তন আসলে বেশি বেশি ঢেকুর উঠতে থাকে। </p> <p><strong>পেটে অস্বস্তিকর অবস্থা </strong><br /> অন্ত্রনালীতে কোনো সমস্যা হলে ঢেকুর ওঠে বার বার। অন্ত্রনালী কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এমনটা ঘটে। আবার কেউ আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) দেখা দিলে অস্বাভাবিকভাবে ঢেকুর ওঠে। </p> <p><strong>হিয়াতাল হার্নিয়া </strong><br /> এটা এমন এক অবস্থা যখন পাকস্থলীর ওপরের অংশ ডায়াফ্রামের মধ্যে দিয়ে স্ফীত হয়ে ওঠে। ডায়াফ্রাম এমন এক পেশি যা পেট ও বুকের মধ্যে থাকে। হিয়াতাল হার্নিয়া হলে ঠিক বোঝা যায় না। তবে ঘন ঘন ঢেকুর উঠলে লক্ষণ প্রকাশ পায়। </p> <p><strong>খাবার </strong><br /> বিশেষ কিছু খাবার এবং জীবনযাপন এ সমস্যায় জর্জরিত করতে পারে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, শীম এবং কার্বোনেটেড পানীয়তে ঢেকুর ওঠে। কাজেই যারা খুব বেশি পেরেশিনাতি পড়ে যান, তারা এসব খাবার থেকে একটু সাবধান থাকবেন। <br /> সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া </p>