ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

আপনার হার্ট রেট আর রক্তচাপ কী একই?

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
আপনার হার্ট রেট আর রক্তচাপ কী একই?

হৃদযন্ত্রের সমস্যা আর উচ্চ রক্তচাপ- একটি আরেকটির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি (এটি পুরো শরীরের ক্ষতি করে) এবং এখানে আপনার সংখ্যাটি জানতে হবে। কিন্তু আপনার হার্ট রেট কী একই জিনিস? যদি আপনার 'হাই রেস্টিং হার্ট রেট' থাকে, তবে বুঝতে হবে এটি আপনার রক্তচাপ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে নির্দেশ করছে।

রক্ত চাপ, হার্ট রেট এবং এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা নিচে দেওয়া হলো : 

রক্ত চাপ কি?
উচ্চ রক্তচাপ কেন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তা বোঝার জন্য, আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরে কী ঘটছে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন'র মতে, আপনার রক্তনালীর ভেতর দিয়ে ক্রমাগত রক্তের ধারা বয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারা হৃদযন্ত্রে গিয়ে মিলিত হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন তখনই হয় যখন আপনার ধমনী বেষ্টনীর বিপরীতে রক্তের চাপ অনেক বেশি থাকে। এতে ধমনী প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর এই চাপই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়।

রক্তচাপ পরীক্ষায় দুটি সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়। এতে সবসময় সিস্টোলিক চাপ ওপরে এবং ডায়াস্টলিক চাপ নিচে লিখে প্রকাশ করা হয়। যেমন ১২০/৮০। প্রথম সংখ্যাটি ১৪০ এর ওপরে এবং পরের সংখ্যাটি ৯০ এর বেশি হলে বুঝতে হবে আপনি হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ভেতর আছেন।

হার্ট রেট কি?
হার্ট রেট হচ্ছে আপনার হৃদযন্ত্রের কম্পন প্রতি মিনিটে কতবার অনুভূত হয় সেই সংখ্যা। আপনার রেস্টিং হার্ট রেট জানতে, প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তারপর, দুই আঙুল রাখুন হাতের কব্জির কেন্দ্রে অবস্থিত রেডিয়াল ধমনীতে। ১৫ সেকেন্ডে কম্পনগুলো গণনা করুন। এবার ওই কম্পন সংখ্যাকে ৪ দিয়ে গুণ করলে পেয়ে যাবেন আপনার রেস্টিং হার্ট রেট।

সাধারণত, প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার কম্পনের মধ্যে রেস্টিং হার্ট রেট পুরোপুরি স্বাভাবিক। ক্রীড়াবিদ বা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬০ এর কম হতে পারে।

এই দুইয়ের মধ্যে সবসময় সম্পর্ক বিদ্যমান?
যেহেতু দুই অবস্থাই জানতে হয় হৃদযন্ত্র দিয়ে, তাই মনে হতে পারে এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক আছে। কিন্তু ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক নোটস'র মতে, এটি আসলে একটি মিথ যে আপনার হার্ট রেট এবং রক্তচাপ পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ এবং হার্ট রেট-এর একই সময় ওঠানামা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আপনি উভয় হার একইরকম দেখে মনে করতে পারেন এটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার হার্ট রেট এবং রক্তচাপ সংখ্যা দুটোই নিজস্ব গতিতে বাড়তে পারে। একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। 

উচ্চ রক্তচাপ উচ্চ হার্ট রেটের চেয়ে বিপজ্জনক
সামান্য উচ্চ রক্তচাপ মাত্রা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনি না পারলেও আপনার রক্তনালী এই প্রভাব অনুভব করবে। অর্থাৎ, হাইপারটেনশন উচ্চ হার্ট রেটের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। সুতরাং, বিষয়টি স্পষ্ট হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

সূত্র : চিটশিট 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মূত্রথলির ক্যান্সার : জীবন বাঁচাতে চাই সচেতনতা ও চিকিৎসা

শেয়ার
মূত্রথলির ক্যান্সার : জীবন বাঁচাতে চাই সচেতনতা ও চিকিৎসা
লেখক

বাংলাদেশে ক্যান্সারজনিত বিভিন্ন রোগের মধ্যে মূত্রথলির ক্যান্সার তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিত রোগ। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করেন এমন ব্যক্তি, অথবা যারা চামড়া, রঙ বা রাসায়নিক জাতীয় শিল্পকারখানায় কাজ করেন তাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

মূত্রথলি হলো এক ধরনের থলির মতো অঙ্গ, যেখানে কিডনি থেকে তৈরি হওয়া প্রস্রাব কিছু সময় জমা থাকে।

এই মূত্রথলির সবচেয়ে ভেতরের আবরণকে মেডিক্যালের ভাষায় মিউকোসা বলা হয়। সেখানেই এই ক্যান্সারের সূত্রপাত হয়। শুরুতে এটি শুধু ওই আবরণে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে মাংসপেশীর গভীরে প্রবেশ করতে পারে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় এটি ধরা না পড়ে, তাহলে রোগ জটিল হতে শুরু করে।
এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো জানা না গেলেও ধূমপান, দীর্ঘস্থায়ী ইউরিন ইনফেকশন, রেডিয়েশনের সংস্পর্শ এবং কিছু বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা এ রোগের প্রধান ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত ৫০ ঊর্ধ্ব পুরুষদের মাঝে এই রোগ বেশি দেখা যায়। 

প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাবে রক্ত আসা এই রোগের সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

এই রক্তপাত অনেক সময় ব্যথাহীন হয়ে থাকে, যার ফলে রোগী বুঝতেই পারেন না যে দেহে একটি বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কখনো কখনো তাজা রক্ত, চাকা চাকা জমাট রক্ত বা জেলির মতো কিছু পদার্থ প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, পেট বা কোমরে ব্যথা, ওজন হ্রাস ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। 

এই রোগ নির্ণয়ের জন্য একাধিক পরীক্ষা পদ্ধতি আছে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ একটি ইউরিনারি সিস্টেমের আলট্রাসনোগ্রাম দিয়েই ক্যান্সারের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। রোগের প্রকৃতি বুঝতে সিটি স্ক্যান, ফ্লেক্সিবল সিস্টোস্কোপি বা ইউরিন সাইটোলজি টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে।

কখনো কখনো প্রথম অপারেশনের সময়ই ক্যান্সারটি শুধুমাত্র আবরণে সীমাবদ্ধ কিনা বা মাংসপেশীতে ঢুকেছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এর প্রাথমিক ও প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতি হলো অপারেশনের মাধ্যমে টিউমারটি সরিয়ে ফেলা। যদি ক্যান্সার মাংসপেশীতে প্রবেশ করে তবে কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি প্রয়োজন হতে পারে। রোগের পরবর্তী ধাপে মূত্রথলি সম্পূর্ণ অপসারণের মতো জটিল সার্জারি করাও বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। দুঃখজনকভাবে, এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৬০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ক্যান্সার আবার ফিরে আসে। এই কারণে রোগীর সারাজীবন ফলোআপে থাকতে হয়। চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে প্রতি ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর আল্ট্রাসনোগ্রাম বা সিস্টোস্কোপি করানো প্রয়োজন। তবে আশার কথা হলো, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা ও ফলোআপের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি পান করা, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন প্রতিরোধে সতর্ক থাকা, রঙ বা কেমিকেল সংশ্লিষ্ট কারখানায় কাজের সময় সুরক্ষা নেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় রেডিয়েশনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এই রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়ামও দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

মূত্রথলির ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ হলেও এটি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসাযোগ্য। সচেতনতা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সময়মতো চিকিৎসা মূত্রথলির ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

লেখক

অধ্যাপক (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) ডা. এসএম শামীম ওয়াহিদ 
সিনিয়র কনসালটেন্ট- ইউরোলজি, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।

মন্তব্য

ডায়াবেটিস হলেই কি চোখের সমস্যা দেখা দেয়?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিস হলেই কি চোখের সমস্যা দেখা দেয়?
সংগৃহীত ছবি

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়াবেটিস একা আসে না, আরো নানা শারীরিক সমস্যা সঙ্গে নিয়েই আসে। এই রোগ ধরা পড়লেই শুরু হয় আতঙ্ক। ক্ষতি হয় হার্ট, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গের। আর যে অঙ্গটির ক্ষতি বেশি হয়, তা হলো চোখ।

অনেকেই শুনলে আঁতকে উঠবেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে দৃষ্টিশক্তি চলেও যেতে পারে।

২০২২ সালের এক সমীক্ষায় গবেষকেরা দাবি করেছেন, ডায়াবেটিসের কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে অথবা তা চলেও যেতে পারে। ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে এই বিষয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে অন্তত ৮ হাজার ডায়াবেটিক রোগীর মধ্যে ১২.৫ শতাংশই ভুগছেন দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়।

অনেকেরই রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে অন্তত ৪ শতাংশের অবস্থা রীতিমতো সংকটাপন্ন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার ক্ষতি হলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’। রেটিনা চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল পর্দা।

আলোকরশ্মি চোখের ভেতর ঢুকে রেটিনায় প্রতিফলিত হয়েই দৃশ্যমানতা তৈরি করে। রক্তশূন্যতা বা অক্সিজেনের অভাবে রেটিনার সূক্ষ্ম রক্তজালিকাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কখনো আবার রক্তনালির মধ্যে পানি বা তেল জাতীয় পদার্থ জমে গিয়ে ফোলা অংশ তৈরি হয়। সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়।

আবার কখনো রক্তনালিতে ছিদ্র তৈরি হয়ে সেখান থেকে রক্ত চুইয়ে বাইরে বের হয়ে আসে।

ফলে আলোকরশ্মি চোখে ঢুকতে বাধা পায়। ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। ডায়াবেটিসের কারণে এই সব সমস্যাই দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

সমস্যা শুরু হয় চোখে ব্যথা দিয়ে। দূরের জিনিস শুধু নয়, কাছের জিনিস দেখতেও সমস্যা হয়। দুই পাশের দৃশ্য দেখাতেও সমস্যা হয় অনেক সময়েই। রং বুঝতে পারবেন না রোগী, হঠাৎ চারদিক অন্ধকার দেখা, নির্দিষ্ট কোনো অংশ দেখতে না পাওয়া এবং আচমকা আলোর ঝলকানি দেখা— এসবও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ।

ডায়াবেটিক রোগীরা চোখে এই ধরনের সমস্যা অনুভব করলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ‌্যাঞ্জিয়োগ্রাফি, চোখের স্ক‌্যানের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করেন। লেজার থেরাপি, চোখের ইঞ্জেকশন বা স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে দৃষ্টিশক্তি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও হয়। ছয় মাস অন্তর চোখ পরীক্ষা করালে বিপদের ঝুঁকি অনেক কম থাকবে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

ক্লান্তি থাকার পরও ঘুম আসছে না? কারণ কী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্লান্তি থাকার পরও ঘুম আসছে না? কারণ কী
সংগৃহীত ছবি

সারা দিনের পরিশ্রম শেষে বিছানায় গা এলিয়ে দেন প্রায় সবাই। কিন্তু বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেই রাত কেটে যায় অনেকের। ঘুম আর আসে না। সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরও দুই চোখের পাতা এক হয় না।

কিন্তু ক্লান্তিতে যেখানে অঘোরে ঘুম হওয়ার কথা, সেখানে অনিদ্রায় রাত কাটে কেন? জেনে নিন কারণ।

শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত হলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ আর থাকে না। ফলে ঘুম হয় না।

শরীরে যতই ক্লান্তি থাকুক না কেন, মাথার মধ্যে হাজার চিন্তা ঘুরলে ঘুম হওয়ার কথা না। এতে শরীর ও মস্তিষ্ক কার্যত যুদ্ধ করে পরস্পরের সঙ্গে।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

এ ক্ষেত্রে তন্দ্রাভাবও আসে না আমাদের। ঘুমাতে চাইলেও নানা রকমের ভাবনা ভর করে মনে।

হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাস পড়ে ঘন ঘন। ঘুমাতে পারি না।

দৈনন্দিন জীবনযাপন যেমন হয়, শরীর তার সঙ্গে সহজাত হয়ে ওঠে। রাত জাগার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে যত ক্লান্তই হন না কেন, নির্ধারিত সময়ের আগে ঘুম আসবে না।

প্রথমেই তাই নিজের শরীরকে বুঝতে হবে।

সঠিক সময়ে ঘুমাতে চাইলে মন হালকা রাখুন। এমনি এমনি সম্ভব নয়। যত ক্লান্তিই থাকুক বিছানায় ওঠার আগে ধ্য়ান করুন। চিন্তা ভর করতে দেবেন না মাথায়।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন, ল্যাপটপ, এমনকি টিভিও চালাবেন না। এতেও শরীরের সময়জ্ঞান ঘেঁটে যায়।

ঘুমানোর আগে গোসল করলে সহজে চোখের পাতা এক হয়। খুব ভারী খাবার খাবেন না রাতে। ক্য়াফিন যুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে অভ্যাস হয়ে যাবে শরীরের। তবে কিছুতেই কিছু না হলে অবশ্যই চিকিৎসা করান।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

পুরুষদের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি, বলছে গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুরুষদের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি, বলছে গবেষণা
সংগৃহীত ছবি

মেয়েদের মতো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা কয়জন পুরুষ করেন? কেউ কেউ দাড়ি কামানোর পরে সামান্য ক্রিম বা শীতকালে একটু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু সকালে কাজে বেরোনোর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস কয়জনের রয়েছে? 

গবেষণা বলছে, পুরুষদের ত্বক মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর। যদিও পুরুষদের ত্বক মহিলাদের থেকে ২০-২৫% পুরু। তবুও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে পুরোপুরি রক্ষা পায় না।

‘আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি’ ও ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি’ গবেষণা করে জানিয়েছে, পুরুষদের ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি। কারণ তারা সাধারণত রোদে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে না। সানস্ক্রিন শুধু ত্বকঅকে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে না বরং সূর্যের ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

পুরুষেরা যেভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন
ত্বক তৈলাক্ত হলে বেশি ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সে ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। পুরুষের ত্বকের জন্য ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ প্রয়োজন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী, ‘এসপিএফ ৪০’ সানস্ক্রিনও ব্যবহার করা যেতে পারে। সানস্ক্রিন মাখার আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
তারপর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। মুখের পাশাপাশি গলা, কান, হাত, পা, শরীরের খোলা অংশেও সানস্ক্রিন লাগানো জরুরি।

রোদে বেরোনোর পর ঘামের কারণে সানস্ক্রিন কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যায়, তাই সারা দিনে দুই ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন সাথে রাখুন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ