<p>যদি আপনি জিমে কঠোর ব্যায়ামের রুটিন পালন করেন তবে পেশির ব্যথা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। পেশির ব্যথা মানেই আপনি নিজেকে খুব কঠিন করে তুলছেন অথবা আপনি এমন কিছু করছেন যা এর আগে করেননি।</p> <p>ব্যায়াম কিংবা কঠোর খেলাধুলার পর এটি সাধারণত হয়েই থাকে। কিন্তু যদি এটি আপনার প্রতিদিনই হয়ে থাকে তবে এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।</p> <p>পেশির ব্যথা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু- উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। কয়েক দিন পরই সাধারণত এ ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। যদি তা না হয় তবে আপনি কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করতে পারেন :</p> <p>ইপসম সল্ট<br /> ইপসোম লবণ ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ এবং পেশির ব্যথা নিরাময়ে একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ম্যাগনেসিয়াম টিস্যু থেকে ব্যথা সৃষ্টিকারী তরল বের করে দেয়। এক কাপ ইপসোম লবণ এক গামলা উষ্ণ পানিতে মেশান। এরপর ওই পানিতে ব্যথাযুক্ত পেশি ডুবিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ না পানি ঠাণ্ডা হয়। এটি আপনি সপ্তাহে তিনবার করতে পারেন। পেশির ব্যথায় এটি জাদুর মতো কাজ করবে।</p> <p>হৃদরোগের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীদের এই চেষ্টা করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। </p> <p>আপেল সিডার ভিনেগার<br /> অ্যাপল সাইডার ভিনেগারও পেশির ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী। কিছুটা স্বাভাবিক পানিতে এক চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মেশান। এটি আপনি পান করতে পারেন আবার আক্রান্ত স্থানে লাগানেও পারেন। প্রদাহবিরোধী এবং অ্যালকালিশিং উপাদান থাকার কারণে আপেল সাইডার ভিনেগার পেশির ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করে।</p> <p>এসেনশিয়াল অয়েল<br /> কিছু এসেনশিয়াল অয়েলও পেশির ব্যথায় উপকারী। এ জন্য আপনি লেমনগ্রাস, পিপারমিন্ট, মারজোরাম এসেনশিয়াল অয়েল চেষ্টা করতে পারেন। টেনশনের জন্যও মারজোরাম, পিপারমিন্ট, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল অত্যন্ত উপকারী। দুই-এক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে এক চা চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসেজ করলে উপকার পাবেন।</p> <p>চেরি রস<br /> চেরি ফলের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেশির ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করে। কঠোর পরিশ্রমের পর এটি আপনি স্মুদিতেও মিশিয়ে নিতে পারেন।</p> <p>সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া </p>