<p> নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের নৃসিংহ গ্রামে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়েছে মুক্তিযোদ্ধা তরিলক্ষ রায়ের বাড়িসহ দুটি পরিবারের বাড়ি। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আগুনে ওই পরিবার দুটির সর্বস্ব পুড়ে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকায়।</p> <p> ওই গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী দিনমজুর লিটন চন্দ্র রায় (২০) রবিবার দুপুরে বলেন, 'প্রতিবেশী হরি কিশোর রায়ের বাড়িতে আমি কাজ করছিলাম। এ সময় তরিলক্ষ রায়ের বাড়িতে আগুন দেখে দৌড়ে আসি। এসে দেখতে পাই তিনজন মহিলা ও একজন পুরুষ পালিয়ে যাচ্ছে। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে ধাওয়া করে ওই পুরুষসহ একজন মহিলাকে আটক করে এলাকার লোকজন।' তারা ওই এলাকায় অচেনা মুখ বলে জানায় এলাকাবাসী।</p> <p> মুক্তিযোদ্ধা তরিলক্ষ রায় বলেন, 'বাড়িতে আমি এবং আমার স্ত্রী থাকি। আমার স্ত্রী শ্যামলী রায় এলাকার কোকই বড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রবিবার সকালে সে স্কুলে গেলে আমি বাড়ির বাইরে কাজে বের হই। এর ১০ মিনিটের ব্যবধানে আমার বাড়ির সর্বস্ব পুড়ে যায়।' এমন অগি্নকাণ্ডকে নাশকতা বলে দাবি করেন তিনি। নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে রক্ষা পায় প্রতিবেশী পাঁচটি পরিবার।</p> <p> এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামে প্রায় ২০ দিন ধরে অন্তত চারবার বাড়িসহ খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। এলাকাবাসী এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু রবিবার ১০ মিনিটের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধা তরিলক্ষ রায়ের পাঁচটি ও সুবাস চন্দ্র রায়ের দুটি ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।</p> <p> নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা বলেন, 'ঘটনাটি কিভাবে সংঘটিত হয়েছে আমরা পরিষ্কার নয়। মামলা হলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিনি বলেন, এলাকাবাসী যে দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে তাঁরা হলেন জয়গুন নামের এক বেদে, তাঁর স্বামীর নাম টেপুর আলী, বাড়ি সাভারে। অন্যজন জেলা সদরের পলাশবাড়ী গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের এক ফেরিওয়ালা।</p> <p> জয়গুনের স্বামী টেপুর আলী বলেন, 'আমরা পেশার তাগিদে ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে অবস্থান করছি। আমার স্ত্রী সে সময়ে ওই এলাকায় ফেরি করতে গিয়েছিল।'</p> <p>  </p>