আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার লিওনেল মেসির যেমন কোটি কোটি ভক্ত আছে, তেমনি সমালোচকেরও অভাব নেই। কেউ তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার তকমা দিয়ে দিচ্ছেন, আবার কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন 'শিরোপাহীন' বলে। কিন্তু ফুটবল জাদুকরের সবচেয়ে বড় সমালোচক নাকি তার ঘরেই আছে! আর সেই সমালোচক হলো মেসির ৬ বছরের ছেলে থিয়াগো। এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা মহাতারকা নিজেই এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মেসির ঘরেই তার সবচেয়ে বড় সমালোচক!
কালের কণ্ঠ অনলাইন

ক্যাম্প ন্যু-তে বৃহস্পতিবার বার্সেলোনার মরণ-বাঁচন ম্যাচ। কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিতীয় লেগের খেলা সেভিয়ার সঙ্গে। প্রথম লেগে বার্সা ২-০ ব্যবধানে হেরেছে। দারুণ কিছু করতে না পারলে মেসিদের ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এবার ছেলে থিয়াগোর সমালোচনা নিয়ে মেসি এক সাক্ষাতকারে বলেন, 'থিয়াগো আমার তিন ছেলের মধ্যে বয়সে সব চেয়ে বড়। তাই ফুটবলটা আমার বাকি দুই সন্তানের চেয়ে ভাল বোঝে। সেটা স্বাভাবিকও। ও লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্ট নিয়মিত দেখে। আর সারাক্ষণ ফুটবল নিয়ে কথা বলে।
মেসি আরও জানান, আগে তিনি বাড়িতে ফুটবল নিয়ে কথা বলা পছন্দ করতেন না। কিন্তু থিয়াগোর জন্যই এখন হেরে যাওয়া ম্যাচ নিয়েও বাড়িতে কথা বলেন, 'ব্যাপারটা আগের মতো নেই। থিয়াগোর জন্যই বাড়িতেও ফুটবল নিয়ে কথা বলতে হয়। খারাপ ফলের পর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। তখন কিছুই ভালো লাগে না। মনে হয় না, সেই ম্যাচ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু থিয়াগোর জন্যই হেরে যাওয়া ম্যাচ নিয়েও কথা বলতে বাধ্য হই। কেন জিততে পারলাম না, ওর কাছে আমাকে ব্যাখ্যা করতেই হয়।'
সম্পর্কিত খবর

অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া নাসিরের
ক্রীড়া ডেস্ক

২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ৭ এপ্রিল মাঠে ফিরেন নাসির হোসেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেদিন রূপগঞ্জের হয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩১ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন। বোলিংটা যেমন তেমন হলেও ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রান করে আউট হন নাসির।
তবে ব্যাট হাতে আজ তা পুষিয়ে দিয়েছেন নাসির। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ৮৪ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৯১.৬৭ স্ট্রাইক রেটে ৭৭ রান করেন নাসির। অল্পের জন্য ধরা দেয়নি তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগার।
এদিন রূপগঞ্জ আগে ব্যাটিং করে নাসিরের ব্যাটে পেয়েছে উড়ন্ত সূচনা।

ডিপিএলে সন্দেহজনক আউট, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ইমরুল কায়েসের
ক্রীড়া ডেস্ক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আলোচনার খোরাক হয়েছে শাইনপুকুরের বিপক্ষে গুলশানের গতকালের ম্যাচটি। প্রশ্ন উঠেছে ম্যাচের দুটি আউট নিয়ে। এই ম্যাচে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে আউট হন শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির। সন্দেহের তীর তাদের আউটকে ঘিরেই।
আরেকটি দলকে সুপার সিক্সে উঠতে না দিতে শাইনপুকুর ইচ্ছে করে ম্যাচ ছেড়ে দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাবেক ইমরুল কায়েস। তার প্রশ্ন কাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের পতাকা? ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ লিখেছেন, ‘সত্যি লজ্জা!’
ব্যাটার রহিম বাঁহাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামানের বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেছিলেন।
তবে বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থাকায় কোনো শট খেলেননি তিনি।
এই ঘটনায় ফেসবুকে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরুল।
‘এই যদি হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা, তাহলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে কারা খেলবে? কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি দেশের পতাকা? যারা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের ফয়সালা করে নেয়, তাদের দিয়ে কী দেশের প্রতিনিধিত্ব হয়? লজ্জা! যাদের ব্যবহার করে এসব নোংরা খেলা খেলানো হচ্ছে, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, কারণ ওরা আজ নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।’
‘আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি—আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।’
মিনহাজুলের আউটের ভিডিও শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ লিখেছেন, ‘সত্যি লজ্জা!’ একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার রাজিন সালেহ।

অলিম্পিকে প্রথমবার নারী-পুরুষ দলগত ইভেন্ট
ক্রীড়া ডেস্ক

লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে যুক্ত হচ্ছে একাধিক নতুন মিশ্র-লিঙ্গ দলগত ইভেন্ট। গলফ, জিমন্যাস্টিকসসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রীড়ায় প্রথমবারের মতো একই দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদরা।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বুধবার ২০২৮ সালের অলিম্পিকের সম্পূর্ণ ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকাশ করে এই ঘোষণা দেয়।
অলিম্পিকে এত দিন শুধু পুরুষ ও নারীদের একক প্রতিযোগিতাই হতো গলফে।
আইওসির ক্রীড়া পরিচালক কিট ম্যাককোনেল বলেন, ‘মিশ্র ইভেন্টগুলো লিঙ্গ সমতার প্রকৃত উদাহরণ।
গলফ ও জিমন্যাস্টিকসে মিশ্র ইভেন্ট খুব সাধারণ না হলেও, একেবারে নতুন নয়।
২০২৩ সাল থেকে হওয়া এই টুর্নামেন্টে পিজিএ ট্যুরের পুরুষ এবং এলপিজিএ ট্যুরের নারী খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত ১৬টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রতিটি দলে একজন পুরুষ ও একজন নারী খেলোয়াড় থাকেন, যারা একসঙ্গে টিম হিসেবে খেলেন।
জিমন্যাস্টিকসের ক্ষেত্রে জার্মানির ডিটিবি পোকাল মিক্সড কাপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিযোগিতায় নারী ও পুরুষ জিমন্যাস্টরা একই দলে অংশগ্রহণ করেন।
ম্যাককনেল জানান, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনকে ২০২৮ সালের অলিম্পিকের মিশ্র দলগত ইভেন্টের চূড়ান্ত ফরম্যাট মে মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে।
এ ছাড়া অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে যুক্ত হচ্ছে নতুন পাঁচটি খেলা। সেগুলো হলো— বেসবল/সফটবল, ক্রিকেট, ফ্ল্যাগ ফুটবল, ল্যাক্রোস ও স্কোয়াশ।
২০২৮ অলিম্পিকে মোট অ্যাথলেটের সংখ্যা হবে প্যারিস ২০২৪-এর মতোই ১০,৫০০ জন। তবে নতুন পাঁচটি খেলায় অতিরিক্ত ৬৯৮ জন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে।
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো — এই অলিম্পিকে নারী অ্যাথলেটদের সংখ্যা হবে ৫০.৫ শতাংশ। প্রত্যেক দলগত খেলায় পুরুষদের মতোই সমসংখ্যক অথবা বেশি নারী দল থাকবে— যা অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথম।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ
মেসি-জাদুতে ঐতিহাসিক জয়, সেমিতে মায়ামি
ক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসির জাদু এখনো শেষ হয়নি। তার কিংবদন্তি ক্যারিয়ারের এই পর্যায়েও তিনি মাঠে জাদুকরী ও মহাকাব্যিক মুহূর্ত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার রাতে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইন্টার মিয়ামিকে ৩-২ গোলে জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার। প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা মায়ামি এবার ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে।
প্রথম লেগে ১ গোলে পিছিয়ে থাকা মায়ামির জন্য ঘরের মাঠে জয় ছিল অপরিহার্য। কিন্তু দ্বিতীয় লেগের ৯ মিনিটে আরেকটি গোল খেয়ে বসলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মেসিরা। পিছিয়ে পড়া মায়ামির হয়ে ৩৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন মেসি। ৬১ মিনিটেনোয়াহ অ্যালেনের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি।
৮২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মায়ামি। মেসি ঠান্ডা মাথায় গোলটি করে দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দেয়।
ম্যাচ জয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, ‘মেসি শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি এই দলের প্রাণ। ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এই খেলোয়াড় এখনও প্রতিটি ম্যাচে নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছেন। আজ তিনি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা।’
এই জয়ে মেসি ও তার দল এখন আরেকটি ট্রফির থেকে মাত্র তিন ম্যাচ দূরে।