ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমারের দলবদল নিয়ে বছর ধরেই জল্পনা চলছে। তাকে পেতে মুখিয়ে আছে স্প্যানিল লিগের দুই শীর্ষ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। অন্যদিকে ফরাসি সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপেকেও ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর মাঝেই পিএসজি সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি জানিয়ে দিলেন, ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) শর্ত পূরণ করতে কখনই নেইমার কিংবা এমবাপেকে অন্য ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হবে না।
'নেইমার-এমবাপে থাকবেন, ২ হাজার পার্সেন্ট গ্যারান্টি'
কালের কণ্ঠ অনলাইন

গত বছর পিএসজির বিপক্ষে ডার স্পিগেল ও মিডিয়াপার্ট অভিযোগ তুলেছিল, তারা এফএফপির ব্যয় সংক্রান্ত আইন কৌশলে ফাঁকি দিয়েছে। সংস্থাগুলোর দাবি ছিল, স্পোর্টস প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের আইনের বিপক্ষে পিএসজি শুধুমাত্র বিরোধীতাই করেছে। কেউ কেউ আবার বলেছেন পিএসজি আইন মানতে গিয়ে তাদের খেলোয়াড় বিক্রি বাবদ অর্থের সাথে আপোষ করবে।
কিন্তু খেলাইফি সব ধরনের অভিযোগের বিরোধীতা করে বলেছেন, 'নেইমার ও এমবাপের মধ্যে যেকোনো একজনকে ছেড়ে দেওয়ার যে সম্ভাবনার কথা এখানে উঠানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পার্ক ডি প্রিন্সেসে এই দুই তারকার থাকা নিয়ে পিএসজি সভাপতি বলেছেন, 'এটা শতভাগ নয়, ২০০০ ভাগ নিশ্চিত। তারা প্যারিসেই থাকছেন। অনেক গণমাধ্যম বিশেষ করে ফ্রান্সে এই বিষয়টি বেশ জোরেসোরেই শোনা যাচ্ছে পিএসজি নেইমার কিংবা এমবাপের মধ্যে যে কোনো একজনকে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর

স্নানঘাটে ফিরে বন্ধুদের কাছে শৈশবের গল্প শুনছেন হামজা
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে এসে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন হামজা চৌধুরী। তাকে বরণ করে নিতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে গ্রামের বাড়িতে মানুষের ঢল নেমেছে। হবিগঞ্জের বাড়িতে এত মানুষের সমাগম দেখে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না তিনি।
মানুষের ভালোবাসা নিয়ে হামজা বলেছেন, ‘আমি কখনো কল্পনা করিনি এত মানুষ এখানে আসবে।
ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত ফুটবলের পাঠ নিলেও হামজার শুরুটা হবিগঞ্জের গ্রাম স্নানঘাটের দেওয়ান বাড়ির উঠানেই হয়েছিল। শৈশবে এখানেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট-ফুটবল খেলে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
শৈশবের সাথিরা এসে পুরনো দিনের গল্প শোনাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হামজা। ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘বাড়ির উঠানে আমি অনেক খেলেছি। যাদের সঙ্গে খেলতাম তারা এসে আমাকে এখন সেসব দিনের কথা বলছে।
আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলবেন হামজা। সেদিন ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চান তিনি। প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজের অভিষেক রাঙাতে চাওয়া হামজা বলেছেন, ‘৮ নম্বর জার্সি আমার পছন্দ। আমরা ভারতের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি না।

বাংলাদেশের হয়ে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চান হামজা
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আজ সকালে দেশে এসেছেন হামজা চৌধুরী। বরণ করে নিতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাফুফের কর্মকর্তারা তো ছিলেনই সঙ্গে তাকে দেখতে হাজারো ভক্ত-সমর্থক ভিড় জমায়।
হামজার দেশে ফেরা কাভার করতে উপস্থিত হন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাসহ প্রচুর ইউটিউবার। বিমানবন্দরে নেমেই হামজা তার অভিষেক ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারতকে হারানোর হুংকার দিয়ে বলেছেন, ‘আমাজিং আমাজিং, দেশে ফিরে ভালো লাগছে।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে হতে যাওয়া ম্যাচে কত নম্বর জার্সি নিয়ে মাঠে নামবেন হামজা তা নিয়ে ইতিমধ্যে কৌতূহল শুরু হয়ে গেছে। আজ তার পছন্দের জার্সি নম্বর জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তরে জানান, ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চান তিনি।
বর্তমানে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন চন্দন রায়। তার আগে বাংলাদেশের হয়ে এই নম্বরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মামুনুল মামুন-এনামুল হক-সাদ উদ্দিনরা।

পাকিস্তান ক্রিকেটের পতন চলতেই থাকবে কেন বলছেন ইনজামাম
ক্রীড়া ডেস্ক

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটারদের। একের পর এক ব্যর্থতার কারণে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের ধুয়ে দিচ্ছেন ওয়াসিম আকরাম-শোয়েব আখতারদের মতো কিংবদন্তিরা। দলের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সকলেই দায়ী করছেন পিসিবিকে।
পিসিবি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে পাকিস্তান ক্রিকেট আগামীতে আরোও পতনের দিকে যাবে বলে মনে করেন ইনজামাম-উল-হক।
ঘন ঘন কোচ-ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা মনে করেন না ইনজাজাম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে কোচ, ম্যানেজমেন্ট এবং খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না।
পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়লেও বাবরের ওপর আস্থা রাখতে বলছেন ইনজামাম।

বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নাহিদ-লিটনদের খেলা উচিত মনে করেন শান্ত
ক্রীড়া ডেস্ক

বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খুব একটা খেলার সুযোগ পান না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কয়েক বছর ধরে আইপিএলে কেউ না কেউ প্রতিনিধিত্ব করলেও এবার বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই সুযোগ পাননি। আবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সুযোগ পেলে বিসিবি থেকে খুব একটা দেওয়া হয় না অনাপত্তিপত্র।
সুযোগ পেলে বিদেশি লিগগুলোতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলতে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পিএসএলে তাদের খেলতে যাওয়ার বিষয়ে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘মনে হয়, এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা উচিত।
অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে আগামীতে আরো অনেক ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়ার পথ উন্মোচন হবে বলে মনে করেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় যদি আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরু করে, তাহলে একটা অভিজ্ঞতা হবে এবং ওই দায়িত্বটা নেওয়া শিখবে। বাইরের যে ক্রিকেটাররা আছে, তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, সব মিলিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে।
অভিষেকের পর থেকেই বিশ্বক্রিকেটে আলোচনায় আছেন নাহিদ। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারায় বাংলাদেশি পেসার প্রশংসা কুড়িয়েছেন কিংবদন্তি পেসারদের। অন্যদের মতো সতীর্থকে সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন শান্তও। বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, ‘সে (নাহিদ রানা) খুব ভালো সম্পদ।
পিএসএলে খেলতে যাওয়ার জন্য অবশ্য এখন পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেননি কোনো ক্রিকেটারই। পাকিস্তানের লিগটি চলাকালীন সময়ই আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ আছে। তিনজনই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটিতে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।