২৬ মাইলের কঠিন পথ। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। সব বাধা জয় করে গোল্ড কোস্ট ম্যারাথনে এগিয়ে চলেছিলেন স্কটল্যান্ডের কালাম হকিন্স। এক মাইল দূরে থাকতে এগিয়ে ছিলেন অন্তত দুই মিনিট ব্যবধানে। কমনওয়েলথ গেমসের মর্যাদার ইভেন্টে সোনা নিশ্চিতই ছিল তাঁর। তখনই ঘটল দুর্ঘটনাটা। হঠাৎ লুটিয়ে পড়লেন ২৫ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। ব্রিজের রেলিংয়ে পড়ে আঘাতও পেলেন মাথায়। যেকোনো কিছু ঘটতে পারত তখন। অথচ মেডিক্যাল দলের খবর নেই! ব্রিজের পাশে দাঁড়ানো দর্শকরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে না এসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছবি তোলায়। এমনকি তাঁকে পেরিয়ে সোনা জেতা অস্ট্রেলিয়ান দৌড়বিদ মাইক সেলিও এগিয়ে আসেননি সাহায্যের জন্য। মানবতার বদলে সোনা জেতায় বেশি মনোযোগী হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে তাঁকে ঘিরে। মেয়েদের ম্যারাথনের রেকর্ড গড়া পলা রেডক্লিফ একহাত নিলেন আয়োজকদের, ‘মেডিক্যাল দল কোথায়? চরমতম দুর্ঘটনা ঘটলে দায় নিত কে?’ কয়েক মিনিট পর মেডিক্যাল সদস্যরা এসে কালাম হকিন্সকে নিয়ে যান হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা শঙ্কামুক্ত বলে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁকে। এ নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে এবারের কমনওয়েলথ গেমসের প্রধান নির্বাহী মার্ক পিটার্স জানালেন, ‘আমরা ঘটনাটা তদন্ত করব। তবে প্রতি কিলোমিটার জুড়ে মেডিক্যাল দল রাখতে পারি না আমরা।’ এএফপি
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের