<p>গরু রক্ষার নামে ভারতে একের পর এক মুসলমানদের নির্যাতন ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দেশটিতে বিক্ষোভ করেছে নাগরিক সমাজ। রাজধানী নয়াদিল্লিসহ সারা ভারতেই সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিয়ে 'নট ইন মাই নেম' নাম দিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। খবর বিবিসির।</p> <p>একটি বেসরকারী হিসাব মতে, গত দুই বছরের অন্তত ১৩টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মুসলমান কোনো ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে মারধর করা হয়েছে। আর গত তিন মাসে এধরণের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জন মুসলমানের।  </p> <p>দক্ষিণ কলকাতার একটি খোলামেলা বিপনি বিতান চত্বরে কয়েকশ' মানুষ জড়ো হয়েছিলেন শুধুমাত্র একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ফেসবুক পোস্ট দেখে। 'নট ইন মাই নেম' হ্যাশ ট্যাগও চালু হয়েছে মুসলমানদের চিহ্নিত করে গণপিটুনির ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে।</p> <p>প্রতিটি সমাবেশে প্রগতিশীল লেখক-বুদ্ধিজীবী, কবি, গায়ক, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই হাজির হয়েছিলেন মুসলমান যুবকরা।  </p> <p>সাবা দেওয়ান নামক এক সংগঠক জানান, দিল্লিতে প্রায় ২,০০০ লোক বিক্ষোভ উপলক্ষ্যে জমায়েত হয়। এ ছাড়া আরো ১৫টি শহরে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডনেও প্রতিবাদ প্রদর্শন হয়।</p> <p>মূলত গো-রক্ষার নামের ভারতে একের পর এক মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটছে। তবে আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠে মঙ্গলবারের ঘটনার পর। ওই দিন বিকালে ঝাড়খন্ড রাজ্যে এক মুসলমান দুগ্ধ খামারের ঘরের সামনে মৃত গরু পাওয়া গেলে তার উপর নির্যাতন এবং তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার খবরে পরদিনের এ বিক্ষোভ আরও প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে।</p> <p>বিবিসি বলছে, ২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গো রক্ষা গোষ্ঠীগুলো সহিংস হয়ে উঠে। গরুর মাংস প্রধান খাদ্য হওয়ায় তাদের টার্গেটে পরিণত হয় দেশটির মুসলমান ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। </p>