<p>তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে কুর্দি যোদ্ধাদের সাহায্য করবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সেনা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তা করা হবে। তবে বর্তমানে সেখানে কোনো সিরীয় সেনা মোতায়েন করা নেই। এমনটা জানিয়েছেন, কুর্দি বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাদরান জিয়া কুর্দ। এ সম্পর্কিত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এরইমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছেও বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে তুরস্ক সিরিয়ার সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে, যাতে কুর্দিরা উত্তর সিরিয়াতে তুর্কি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে না পারে।</p> <hr /> <p>আরো পড়ুন: <a href="http://www.kalerkantho.com/online/world/2018/02/20/604537" title="">সিরিয়ায় হামলা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪</a></p> <hr /> <p>২০১২ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশটির উত্তরাঞ্চলের কুর্দিস এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়। তারপর থেকে সেখানে কুর্দিরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। গত ২০ জানুয়ারি কুর্দি অধ্যুষিত আফরিনে ওয়াইপিজের অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ নামের সামরিক অভিযান শুরু করে আঙ্কারা। তুরস্কের অভিযোগ সীমান্তে কুর্দি বাহিনীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশেষ বাহিনী গড়ে তুলতে চায় যেটা তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ফলে তারা শক্তিশালী হওয়ার পূর্বেই ধ্বংস করে দিতে চায় দেশটি।</p> <hr /> <p>আরো পড়ুন: <a class="title hidden-xs hidden-sm" href="http://www.kalerkantho.com/online/world/2018/02/20/604505" title="">আবর্জনা স্তূপধসে মোজাম্বিকে নিহত ১৭</a></p> <hr /> <p>এরই ধারাবাহিকতায় আফরিন থেকে রুশ সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহার শুরুর পরপরই সেখানে কুর্দিদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে তুরস্ক। এর পর গত ২১ জানুয়ারি আফরিনে তুর্কি সেনারাও ঢুকে পড়ে। সেদিনই ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ঘোষণা দিয়েছে তাদের প্রায় ২৫ হাজার সেনা তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছে। সেই থেকে তারা কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালিয়ে আসছে।</p> <p> </p>