১৯৭১ এর পর পাকিস্তানে প্রথম বিমান হামলা ভারতের

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
১৯৭১ এর পর পাকিস্তানে প্রথম বিমান হামলা ভারতের

গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় কেশব গোখেল বলেছেন, ‘বেসামরিক এবং সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের একটি প্রধান ঘাঁটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।

আর ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের আকাশে ঢুকে এটাই ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম অভিযান বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ী পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ঢুকে আকাশপথে হামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ওই সময় ভারত নিজেদের আকাশসীমায় থেকে যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০ ব্যবহার করে হামলা করেছিল কার্গিল পাহাড়ে।

বিজয় কেশব গোখলে আরো বলেন, আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য ছিল যে, জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা ভারতে ফের হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে জন্যই জইশ-ই-মোহাম্মদের বৃহত্তম এই ঘাঁটিতে অভিযান চালানো জরুরি হয়ে পড়েছিল।

ভারতের এই পররাষ্ট্রসন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ভোরের এই অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদের অনেক জঙ্গি, প্রশিক্ষক এবং সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছে।

এই জঙ্গি ঘাঁটিটি চালাতো জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক মাওলানা ইউসুফ আজাদ।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের অভিযানে নিয়ন্ত্রণরেখার আশপাশে বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেছেন, ভারতীয় সামরিক বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর পাকিস্তানি জঙ্গি বিমানের ‘তাড়া খেয়ে পালানোর’ আগে বালাকোটের কাছে ‘বোমা ফেলে’ গেছে।

এএনআই বলছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রনের হানায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বড় জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

১২টি মিরাজ বিমান এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল। অভিযানে জঙ্গি ঘাঁটির উপর ফেলা হয়েছে এক হাজার কেজি ওজনের বোমা।

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় টুইট করে কাশ্মীরে অভিযানের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিয়ার কুরস্কে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়ার কুরস্কে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দাবি ইউক্রেনের
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্ডার সিরস্কি খারকিভ অঞ্চলে সেনা কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে চলমান লড়াইয়ে নিয়োজিত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্ডার সিরস্কি। এক বিবৃতিতে সোমবার তিনি এ কথা জানান।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সিরস্কি লিখেছেন, ‘আমি আমাদের বাহিনীকে প্রয়োজনীয় শক্তি ও সরঞ্জাম দিয়ে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা ও ড্রোন সিস্টেমও অন্তর্ভুক্ত।’

গত আগস্টে কুরস্ক অঞ্চলে সাহসী অভিযান চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী, যা তাদের পশ্চিমা মিত্রদের বিস্মিত করে এবং ক্রেমলিনের জন্যও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে।

তবে সম্প্রতি ইউক্রেন সেখানে ভূমি হারাচ্ছে। গত মাসে তারা স্বীকার করে নেয়, একসময় দখলে থাকা অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, তারা একের পর এক গ্রাম পুনর্দখল করছে এবং সাম্প্রতিক কয়েক দিনে এ অগ্রগতি দ্রুততর হয়েছে। এ ছাড়া রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের নভেনকে গ্রাম দখলেরও দাবি করেছে, যা কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহ রুট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 

তবে সিরস্কি বলেছেন, কুরস্ক ও সুমি অঞ্চলে চলমান লড়াইয়ের গতি ‘ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’। এ ছাড়া তার বাহিনী রুশ বাহিনীর জালে আটকা পড়তে পারে—ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বর্তমানে কুরস্ক অঞ্চলে আমাদের ইউনিটগুলো ঘিরে ফেলার কোনো আশঙ্কা নেই।’ 

তবে সিরস্কি স্বীকার করেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে এবং প্রতিরক্ষার জন্য অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সুবিধাজনক প্রতিরক্ষা লাইন ধরে রাখার জন্য ইউনিটগুলো যথাসময়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কিয়েভ আশা করছে, কুরস্ক অঞ্চলের যে অংশ তারা এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে, তা ভবিষ্যতে মস্কোর সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের জন্য কৌশলগত সুবিধা এনে দেবে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সিরিয়ায় ‘আসাদপন্থীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা

    নিহত এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক ‘নতুন সিরীয় বাহিনীর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই’
এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সিরিয়ায় ‘আসাদপন্থীদের’ বিরুদ্ধে অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুগত নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য ১০ মার্চ লাতাকিয়ায় একটি চেকপয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। ছবি : এএফপি

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগতদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সমাপ্তি ঘটেছে বলে দেশটির নতুন কর্তৃপক্ষ সোমবার ঘোষণা করেছে। এতে এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে, যা গত ৮ ডিসেম্বর আসাদের পতনের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা।  

ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় অন্তত এক হাজার ৬৮ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই আসাদপন্থী আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্য, যাদের নিরাপত্তা বাহিনী বা তাদের মিত্র গোষ্ঠীগুলো হত্যা করেছে।

এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর ২৩১ জন সদস্য ও ২৫০ জন আসাদপন্থী যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ হতাহতের নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি। আলাউইতদের গণহত্যার পাশাপাশি এই হামলার শিকার হয়েছে সিরিয়ার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরাও।

এদিকে উপকূলীয় আলাউইত অধ্যুষিত অঞ্চলে সংঘর্ষ সিরিয়ার অনিশ্চিত পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে, যেখানে আসাদ পরিবারের দীর্ঘ শাসনের অবসানের পর নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।

 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাসান আবদুল ঘানি সোমবার জানান, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় লাতাকিয়া ও তার্তুস প্রদেশে ‘নিরাপত্তা হুমকি ও শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ’ মোকাবেলায় পরিচালিত সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এই ঘোষণার আগে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, সিরিয়া আরেকবার গৃহযুদ্ধে জড়াবে না। তিনি সানায় প্রকাশিত এক ভাষণে বলেন, ‘সিরিয়া...কোনো বিদেশি শক্তি বা দেশীয় কোনো পক্ষকে অরাজকতা বা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার সুযোগ দেবে না।

কেউ বেসামরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অতিক্রম করলে, তাকে কঠোরভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’

আরো পড়ুন
৩ দিনে নিহত অন্তত ১৩০০, নতুন করে কী হচ্ছে সিরিয়ায়

৩ দিনে নিহত অন্তত ১৩০০, নতুন করে কী হচ্ছে সিরিয়ায়

 

‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই’
এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এই সহিংসতা ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন শাসকদের শাসন ও পুনর্গঠনে তাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।  

ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরিয়া বিশেষজ্ঞ জোশুয়া ল্যান্ডিস বলেন, ‘আলাউইতদের উপকূলীয় শহরগুলোতে যে মিলিশিয়া বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে, তা প্রমাণ করে, নতুন সিরীয় বাহিনী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই সহিংসতা আহমেদ আল-শারার শাসন সুসংহত করার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’

অন্যদিকে আসাদের অন্যতম প্রধান মিত্র ইরান সোমবার জানায় তারা সাম্প্রতিক সহিংসতায় কোনোভাবে জড়িত নয়।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকাই সৌদি মালিকানাধীন আল-অ্যারাবিয়া টিভিসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এসব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’

জাতিসংঘ, আরব লীগ, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারও এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। সিরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ঘোষণা করেছে, ‘একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করবে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে।’

মন্তব্য

ইংল্যান্ডে সংঘর্ষের পর ২ বাণিজ্যিক জাহাজে আগুন

    ৩২ জনকে উদ্ধার
আলজাজিরা
আলজাজিরা
শেয়ার
ইংল্যান্ডে সংঘর্ষের পর ২ বাণিজ্যিক জাহাজে আগুন
সংঘর্ষস্থলের নৌপথটি ব্রিটেনের উত্তর-পূর্ব উপকূলের বন্দর থেকে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। ছবি : আলজাজিরা

ইংল্যান্ডের পূর্ব উপকূলে একটি তেলবাহী ট্যাংকার ও একটি কার্গো জাহাজের সংঘর্ষে উভয় জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরপর বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩২ জন আহতকে তীরে আনা হয়।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ও কোস্ট গার্ড এজেন্সির একজন মুখপাত্র সোমবার জানান, দুর্ঘটনাটি ইস্ট ইয়র্কশায়ারের উপকূলে ঘটেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগুন ও ঘন কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে গ্রিমসবি ইস্ট বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বোয়ার্স জানান, অন্তত ৩২ জনকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে, তবে তাদের অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলটি আমাদের থেকে প্রায় ১০ মাইল দূরে, তাই সরাসরি দেখতে পারিনি। তবে উদ্ধারকারী নৌযানগুলোকে আহতদের নিয়ে আসতে দেখেছি।’

প্রথমে একটি উইন্ডক্যাট ৩৩ নৌযানে ১৩ জন ও পরে আরো ১৯ জনকে হারবার পাইলট বোটে করে আনা হয় জানিয়ে মার্টিন আরো বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, সেখানে বিশাল একটি আগুনের গোলা দেখা গেছে।

গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে সংকেত পাওয়ার পর ব্রিটিশ কোস্ট গার্ড একটি হেলিকপ্টার, ফিক্সড-উইং বিমান, উদ্ধারকারী নৌযান ও অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠায়। এ ছাড়া তিনটি উদ্ধারকারী নৌযান কোস্ট গার্ডের সঙ্গে মিলে ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।  

উদ্ধার অভিযানে কাজ করা রয়াল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন (আরএনএলআই) জানিয়েছে, ‘অনেকেই জাহাজ দুটি ত্যাগ করেছে’ এবং সংঘর্ষের ফলে উভয় জাহাজে আগুন ধরে যায়।  

সুইডিশ ট্যাংকার কম্পানি স্টেনা বাল্ক নিশ্চিত করেছে, দুর্ঘটনার শিকার তেলবাহী ট্যাংকারটি তাদের মালিকানাধীন এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেরিটাইম কম্পানি ক্রাউলি পরিচালনা করছিল।

পাশাপাশি ট্যাংকারে থাকা ২০ জন ক্রু সদস্যের সবাইকে খুঁজে পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে তারা।

অন্যদিকে দুর্ঘটনার শিকার কার্গো জাহাজটির নাম ‘সোলং’ বা ‘সো লং’ বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যা জার্মান কম্পানি রেডেরেই কোপিংয়ের মালিকানাধীন।  

সংঘর্ষস্থলের নৌপথটি ব্রিটেনের উত্তর-পূর্ব উপকূলের বন্দর থেকে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। জাতিসংঘের শিপিং সংস্থা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সুইডিশ মন্ত্রীর ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইরানের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুইডিশ মন্ত্রীর ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া ইরানের
সুইডেন ও ইরানের পতাকা। ফাইল ছবি : এএফপি

সুইডেনের শিক্ষামন্ত্রীর ‘অযাচিত অভিযোগের’ প্রতিবাদে তেহরান সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সুইডিশ শিক্ষামন্ত্রীর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অযৌক্তিক বক্তব্য এবং ভিত্তিহীন ও অযাচিত অভিযোগের’ তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ম্যাথিয়াস ওটারস্টেডকে জানানো হয়েছে, তার দেশের মন্ত্রীর বক্তব্য ‘আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী’।

এই কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সুইডেনের শিক্ষামন্ত্রী ইয়োহান পেরসনের একটি মন্তব্যের জেরে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সুইডিশ দৈনিক এক্সপ্রেসেনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইরানকে একটি ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘ইরান একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র, যেখান থেকে বহু সুইডিশ নাগরিক পালিয়ে এসেছে। সেখানে নারীবিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং তারা সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকায়ি সোমবার সুইডিশ মন্ত্রীর এ মন্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য, বাস্তবতা ও সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন’ বলে অভিহিত করেন।  

এদিকে এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ এমন এক সময় নেওয়া হলো, যখন সুইডেনের সরকার শুক্রবার আহমদরেজা জালালির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। ইরানি-সুইডিশ বংশোদ্ভূত এই শিক্ষাবিদ ২০১৭ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন। সুইডেন জালালির ‘পরিবারের সঙ্গে ফের মিলিত হওয়ার জন্য মানবিক বিবেচনায় তার অবিলম্বে মুক্তি’ দাবি করে জানিয়েছে, তিনি ‘অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা’ পাওয়ার যোগ্য।

এটি নিশ্চিত করা উচিত।

কারাগারে থাকাকালীন সুইডিশ নাগরিকত্ব পাওয়া জালালি জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অভিযোগ করেন, তার মুক্তির জন্য সুইডেন যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর আগে গত বছরের ১৫ জুন তেহরান দুই সুইডিশ নাগরিক—ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক জোহান ফ্লোডেরুস (২০২২ সালের এপ্রিলে আটক) এবং সাঈদ আজিজিকে (২০২৩ সালের নভেম্বরে গ্রেপ্তার) মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে সুইডেন মুক্তি দেয় হামিদ নুরি নামের এক ইরানি কর্মকর্তাকে, যিনি সুইডেনে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন।  

ইরানের বিচার বিভাগ দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেয় না, তাই তেহরান এই ঘটনাকে বন্দিবিনিময় হিসেবে উল্লেখ করেনি।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ