<p style="text-align: center;"><strong>দ্বিতীয় অধ্যায় : কোষ বিভাজন</strong></p> <p style="text-align: center;"><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p> </p> <p><strong>চিত্র দেখে উত্তর দাও :</strong></p> <p><strong><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/August/18-08-2017/Kalerkantho_2017-08-18-33.jpg" style="height:329px; width:250px" /></strong></p> <p>প্রয়োগমূলক প্রশ্ন : জীবের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী বিভাজনের ধাপগুলোর চিত্রসহ বর্ণনা করো।</p> <p><strong>উত্তর :  </strong></p> <p>জীবের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী কোষ বিভাজনটি হলো মাইটোসিস কোষ বিভাজন। নিচে মাইটোসিসের ধাপগুলো চিত্রসহ বর্ণনা করা হলো—</p> <p><strong>(ক) প্রোফেজ</strong></p> <p>১। কোষের নিউক্লিয়াস বড় হয়।</p> <p>২। পানি বিয়োজনের ফলে ক্রমোজমগুলো সংকুচিত হতে থাকে। ফলে ক্রমাগত ক্রমোজমগুলো খাটো ও মোটা হয়।</p> <p>৩। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের বিলুপ্তি ঘটে।</p> <p><strong>(খ) প্রো-মেটাফেজ</strong></p> <p>১। প্রোফেজের একেবারে শেষ দিকে উদ্ভিদকোষে কতগুলো প্রোটিন নির্মিত ও দুই মেরুযুক্ত স্পিন্ডল যন্ত্রের সৃষ্টি হয়।</p> <p>২। স্পিন্ডল যন্ত্রের দুই মেরুর মধ্যবর্তী স্থানকে বিষুবীয় অঞ্চল বলে।</p> <p>৩।  স্পিন্ডল যন্ত্রের তন্তুগুলো এক মেরু থেকে অন্য মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এদের স্পিন্ডল তন্তু বলে।</p> <p>৪। ক্রমোজমের সেন্ট্রোমিয়ার সংযুক্তকারী তন্তুকে আকর্ষণতন্তু বলে।</p> <p>৫। ক্রমোজমগুলো এ সময় বিষুবীর অঞ্চলে বিন্যস্ত হতে থাকে।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/August/18-08-2017/Kalerkantho_2017-08-18-34.jpg" style="height:300px; width:294px" /></p> <p><strong>(গ) মেটাফেজ</strong></p> <p>১। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাসের পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটে।</p> <p>২। সব ক্রমোজম স্পিন্ডল যন্ত্রের  বিষুবীয়  অঞ্চলে অবস্থান করে।</p> <p>৩। ক্রমাটিডগুলো সবচেয়ে খাটো ও মোটা এবং স্পষ্ট দেখায়।</p> <p>৪। এ পর্যায়ের শেষ ভাগে প্রতিটি সেন্ট্রোমিয়ার সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য সেন্ট্রোমিয়ার সৃষ্টি হয়।</p> <p><strong>(ঘ) অ্যানাফেজ</strong></p> <p>১। এ পর্যায়ে অপত্য ক্রমোজমগুলো বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরুমুখী চলতে শুরু করে।</p> <p>২। অপত্য ক্রমোজমের মেরু অভিমুখী চলনে সেন্ট্রোমিয়ারই অগ্রগামী থাকে এবং বাহুদ্বয় অনুগামী হয়। ফলে সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রমোজমগুলো V (মেটাসেন্ট্রিক), I (সাবমেটাসেন্ট্রিক), J (অ্যাক্রোসেন্ট্রিক) বা I (টেলোসেন্ট্রিক) অক্ষরের মতো দেখায়।</p> <p>৩। অপত্য ক্রমোজমগুলো মেরুর কাছাকাছি পৌঁছালেই অ্যানাফেজের সমাপ্তি ঘটে।</p> <p><strong>(ঙ) টেলোফেজ</strong></p> <p>১। অপত্য ক্রমোজমগুলো দুই বিপরীত মেরুতে এসে পৌঁছে।</p> <p>২। ক্রমোজমগুলোতে আবার পানি যোজন ঘটে। ফলে ক্রমোজমগুলো সরু ও লম্বা হতে থাকে।</p> <p>৩। নিউক্লিওলাসের পুনঃ আবির্ভাব ঘটে।</p> <p>৪। স্পিন্ডলতন্তুগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।</p> <p>উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন : স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদের গ্যামেট সৃষ্টিকারী বিভাজনের গুরুত্ব আলোচনা করো।</p> <p><strong>উত্তর :</strong></p> <p>স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদের গ্যামেট সৃষ্টিকারী কোষ বিভাজন হলো মিয়োসিস। নিচে মিয়োসিসের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো—</p> <p>১। জননকোষ সৃষ্টি : মায়োসিসের ফলে জননকোষ উত্পন্ন হয়। তাই মায়োসিস ছাড়া বংশবৃদ্ধি হবে না।</p> <p>২। ক্রমোজম সংখ্যা ধ্রুব রাখা : প্রজাতিতে বংশানুক্রমে ক্রমোজম সংখ্যা ধ্রুব রাখা এবং এ প্রক্রিয়ার জন্য সম্ভব হচ্ছে।</p> <p>৩। প্রজাতির স্বকীয়তা ঠিক রাখা : ক্রমোজম সংখ্যা সঠিক রাখার মাধ্যমে বংশানুক্রমে প্রতিটি প্রজাতির স্বকীয়তা রক্ষিত হচ্ছে।</p> <p>৪। গ্যামেট সৃষ্টি ও বংশবৃদ্ধি : ডিপ্লয়েড জীবে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় গ্যামেট। আর গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমেই  বংশবৃদ্ধি ঘটে।</p> <p>৫। জনুক্রম : যেসব জীবের  জীবনচক্রে  জনুক্রম আছে সেখানে মায়োসিস প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।</p> <p>৬। মেন্ডেলের সূত্র : মেন্ডেলের সূত্রের ব্যাখ্যা দেওয়া মায়োসিস ছাড়া সম্ভব নয়।</p>