রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির শোক কাটতে না কাটতেই এবার আগুনে পুড়ল গুলশান ১ নম্বরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটের কাঁচাবাজার। গতকাল শনিবার সকালের এ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগেও একবার এই বাজারে আগুন লেগেছিল।
বনানীর পর গুলশানে আগুন
- আবার পুড়ল ডিএনসিসির কাঁচাবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে বাজারের ১৮৮টি দোকানের সব পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আগুনে ডিএনসিসি কাঁচাবাজারের সামনের পাঁচতলা গুলশান শপিং সেন্টারের তিনটি দোকানের আংশিক পুড়ে গেছে।
একই দিন বিকেলে গুলশান ২ নম্বরে ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স ভবনের পাঁচতলায় আগুন লাগে। তবে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় অন্তত ৭০ জন। আর গত বৃহস্পতিবার বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে এখন পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে।
গুলশানে ডিএনসিসির কাঁচাবাজারে আগুন : গতকাল ভোরের দিকে এ কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ডিএনসিসির এই মার্কেটে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেন, তখনো অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল না। এখনো অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী মতিউর রহমান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মার্কেটে আগুন দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ অফিস ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। তাঁর ধারণা, পানের দোকান বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত।
পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও এগিয়ে আসেন। সকাল ৯টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম পুড়লেও কেউ মারা যায়নি।
তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও কিছু অংশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন ব্যবসায়ীরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুুরোপুরি নিভিয়ে ফেলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আহজারি করছিলেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ কেউ। তাঁরা বলছিলেন, আগেরবারের আগুনে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ধারদেনা করেছিলেন। অনেক কষ্টে আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছেন; কিন্তু দুই বছরের মধ্যে আবার আগুন লেগে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন। আগুনে কারো কারো এক থেকে দেড় কোটি টাকার মাল পুড়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।
এ সময় তাঁদের কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাঁরা বিশদ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
ডিএনসিসি মার্কেটের দোতলা ভবনের পূর্ব পাশ ঘেঁষে লোহার কাঠামোর ওপর টিন আর রড দিয়ে তৈরি কাঁচাবাজারটি।
ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম তালাল রিজভী বলেন, মাছ, মাংসের দোকান ছাড়াও আমদানি করা খাদ্যপণ্য, প্রসাধনী, হার্ডওয়্যার, বিভিন্ন ধরনের খাবার ও প্লাস্টিকের খেলনার অনেক দোকান ছিল। সব মিলিয়ে ১৮৮টির মতো দোকান ছিল। সবই পুড়ে গেছে। তবে পাশের দোতলা মার্কেটটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
তালাল বলেন, পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। দুই বছর আগে অগ্নিকাণ্ডের পর তেমন সহায়তা পাননি তাঁরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা যা বললেন : ফাহিম জেনারেল স্টোর নামের দোকানের মালিক শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এই মার্কেটে তাঁর চারটি দোকানে দেড় কোটি টাকার মাল ছিল। সবই পুড়ে গেছে। আগেরবারের আগুনে তাঁর দুই কোটি টাকার মাল পুড়ে গিয়েছিল।
রাহাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ভোরে খবর পেয়ে দোকানে এসে দেখেন আগুন জলছে। তখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। ঘড়ি, বেল্ট, ব্যাটারিসহ তাঁর দোকানের প্রায় ১২ লাখ টাকার মাল পুড়ে গেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আমিনুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী দাবি করেন, আগুনে তাঁর দোকানের ১০ লাখ টাকার মাল পুড়েছে। রিপন নামের একজন বলেন, তিনি পাইকারি মসলার ব্যবসা করতেন। দোকানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মসলা ছিল। সৈয়দা রাবেয়া সুলতানা নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, তাঁর পাঁচটি দোকান ছিল। ১২ লাখ টাকা ঋণ করেছিলেন। আগুনে তাঁর সবই পুড়ে গেছে।
আগুনে বাজারের ২২টি মাছের দোকান পুড়ে গেছে। এই দোকানগুলোতে ডিপ ফ্রিজ ছিল ১৬টি। এসব ফ্রিজে সংরক্ষিত ছিল সামুদ্রিক মাছ।
মাছ ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ আগুনে পুড়েছে। মতিউর রহমান নামের আরেক ব্যবসায়ী দাবি করেন, আগুনে তাঁর আট লাখ টাকার মাছ পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রতিমন্ত্রী : ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। আর শ্রমিকদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মানবিক দিক বিবেচনা করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ঘটনাস্থলে মেয়র : অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই মার্কেটে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের ঘটনার পর অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে তিন থেকে চারবার মার্কেট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ গুলশান কাঁচাবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মার্কেটটি ভেঙে আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল করার কথা ছিল। যেকোনো কারণে এটা হয়নি। কিন্তু এখন জনগণের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে এটাকে ভেঙে মার্কেট তৈরি করতে হবে।’ এর আগে তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সান্ত্বনা দেন।
তদন্ত কমিটি : সাফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শামীম হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স ভবনে আগুন : বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ভবন ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স ভবনে আগুন লাগে। টিউবলাইট থেকে আগুন লেগেছিল বলে ভবন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। আগুনে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ধানমণ্ডিতে ভবনে আগুন, ছড়ায় ভুয়া খবরও
গতকাল রাতে ধানমণ্ডির ১১/এ নম্বর সড়কের ৬৩ নম্বর বাড়িতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন লাগার কিছু সময় পরই তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের টেলিফোন অপারেটর ফায়ারম্যান মো. রোমান জানান, পাঁচতলা ভবনটির তৃতীয় তলার আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। ফায়ারম্যানরা যাওয়ার আগেই বাড়ির লোকজন সেটি নিভিয়ে ফেলে।
ধানমণ্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলে, ‘সিগারেট খাওয়ার পর তা ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হলে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে যাই। তবে অগ্নিনির্বাপক (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) দিয়ে বাড়ির বাসিন্দারাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস-কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা জানান, রাতে প্রায় একই সময় ধানমণ্ডির ৫ নম্বর রোডের ২২ নম্বর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ভুয়া খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, একজন ডাক্তার মহিলা, পান্থপথে উনার অফিস থেকে আমাদের ফোন করে জানান, তার বাড়িতে আগুন লেগেছে। উনার গাড়ির ড্রাইভার ফোন করে নাকি উনাকে এটা জানিয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে যাই। কিন্তু ওই বাসার লোকজন আগুন লাগার বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি।
সম্পর্কিত খবর

ছুটির ঘোষণা

আজ ১৪ এপ্রিল সোমবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কালের কণ্ঠের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে। তাই কাল মঙ্গলবার পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। তবে আমাদের অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া চালু থাকবে। —সম্পাদক
।
আধাপাকা ধান কাটার উৎসব


মডেল মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
- গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না : আইন উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী-২০২০ মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অন্যদিকে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা বলেছেন, মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, কেন তাঁকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কেন তাঁকে গ্রেপ্তার ও আটকের প্রক্রিয়াটি অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না—রুলে হাইকোর্ট এসব বিষয় জানতে চেয়েছেন।
আদালত স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ প্রদান করা হলো। পরে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না : আইন উপদেষ্টা
এদিকে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মডেল মেঘনা আলমকে রাতে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সঠিক ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি, গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি।

জয়নুল আবদিন ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াত নিয়ে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের বক্তব্যকে অসত্য উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক গত ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ‘জামায়াতে ইসলামী মসজিদে মসজিদে মহিলাগুলোকে একত্র করে বেহেশতের টিকিট দেওয়া শুরু করেছে’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাঁর এই বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তাঁর এ বক্তব্য হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জয়নুল আবদিন ফারুকের মতো একজন ব্যক্তির মুখে এ ধরনের বক্তব্য মানায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সমালোচনা করার মতো কোনো কিছু না পেয়ে জয়নুল আবেদিন ফারুক ইসলামের দাওয়াত সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে নিজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। এভাবে বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অত্যন্ত হাস্যকর।’
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিজের অবস্থান ও মর্যাদার কথা চিন্তা করেই জামায়াত সম্পর্কে বানোয়াট ও হাস্যকর মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।