<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাধারণত রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় এবিও এবং রিসাস অ্যান্টিজেন সিস্টেম, যা এ, বি এবং ও পজিটিভ এবং নেগেটিভ গ্রুপে সীমাবদ্ধ। তবে এর বাইরে আরো ৪৪টি রক্ত গ্রুপ নির্ণয়ের অ্যান্টিজেন সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এএনডাব্লিউজে অ্যান্টিজেন ভিত্তিক এমএএল সিস্টেম। ১৯৭২ সালে অ্যান্টিজেনটি আবিষ্কার হলেও সেটি ঠিক কোন জিনের মাধ্যমে কাজ করে, সেটা এ বছরই আবিষ্কৃত হয়েছে। বিশ্বে জিনগতভাবে ৯৯.৯ শতাংশ মানুষ এএনডাব্লিউজে পজিটিভ। তবে নানাবিধ রোগে শরীরে এএনডাব্লিউজে অ্যান্টিজেন উধাও হয়ে যেতে পারে। রক্তের প্রতিটি অ্যান্টিজেন মিলে না গেলে রক্ত নেওয়ার পর ট্রান্সফিউশন রিজেকশন হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুধু এবিও এবং রিসাস গ্রুপ ম্যাচ করেই নিরাপদে রক্ত গ্রহণ করা যায়। অন্যান্য অ্যান্টিজেনের জন্য ট্রান্সফিউশন রিজেকশনের ঘটনা বিরল হলেও একেবারে শূন্য নয়। বিশেষজ্ঞরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন নতুন সব অ্যান্টিজেন খুঁজে বের করতে, যাতে রক্ত দেওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে ম্যাচিং আরো নির্ভুলভাবে করা যায়। এমএএল জিন যে এএনডাব্লিউজে অ্যান্টিজেনকে রক্তের সঙ্গে জুড়ে দিতে কাজ করে, সেটা প্রমাণ করতেই গবেষকদলের কেটে গেছে প্রায় ৫০ বছর। বিশ্বের মাত্র ০.১ শতাংশ মানুষ এএনডাব্লিউজে নেগেটিভ হওয়ায় গবেষণার জন্য ভলান্টিয়ার পাওয়াও ছিল দুরূহ। তবে নতুন গবেষণালব্ধ ফলাফল ব্যবহার করে জেনেটিক টেস্টিং সিস্টেম তৈরি করা যাবে। ফলে এএনডাব্লিউজে নেগেটিভ রোগী ও রক্তদাতাদের বের করা যাবে দ্রুত। এএনডাব্লিউজে অ্যান্টিজেন আবিষ্কারের পরপরই সেটি রক্তে বাইন্ডিংয়ের জন্য এমএএল প্রোটিন কাজ করে, সেটা ধারণা করা হয়েছিল। সেটা প্রমাণ করা এবং এমএএল প্রোটিন কোন জিনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, সেটা বের করা নিয়েই কাজ করছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ড ব্রিস্টলের গবেষকদল। অবশেষে তাঁরা এ বছর সফল হয়েছেন। এখন বাকি জেনেটিক টেস্টিং সিস্টেম তৈরি করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্রন্থনা: এস এম তাহমিদ</span></span></span></span></p>