<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেস্টোস্টেরন হলো একটি যৌন হরমোন, যা উর্বরতা, যৌন ক্রিয়া, হাড়ের স্বাস্থ্য ও পেশি শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালন করে। একজন ব্যক্তির টেস্টোস্টেরন স্তর স্বাভাবিকভাবেই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়, তবে কিছু চিকিৎসা, সুস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কৌশল এবং অন্যান্য কারণ শরীরে এই হরমোনের পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে বা বৃদ্ধি করতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান, যেটি বংশ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরে জিংকের অভাব থাকলে হাইপোগোনাডিজম নামের সমস্যা তৈরি করে, যা ধীরে ধীরে শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। তাই এই হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় লাল মাংস (গরু, খাসি), মুরগির মাংস, ডাল ও বাদাম রাখতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। দানা শস্য, ডাল ও বাদামজাতীয় খাদ্য থেকে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হার্ট ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো রাখতে সাহায্য করে, ঠিক একইভাবে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন বাদাম ও বীচিজাতীয় খাবারের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের চমৎকার উৎস। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেঁয়াজ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরা, পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার। পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ থেকে তৈরি করা খাবার বিভিন্ন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে, পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণ থাকার কারণে দুইয়ে মিলে এটি টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, আদা শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আদা শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডালিম হলো উর্বরতা এবং যৌন ক্রিয়াকলাপের একটি প্রাচীন প্রতীক এবং এটির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদরোগ ও রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া ২০১২ সালের একটি গবেষণার ফলাফলগুলো নির্দেশ করে যে ডালিম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের লালারসে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা গড়ে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এই হরমোন কমে যেতে পারে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করার ফলে শরীরে এই হরমোন কমে যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা নিয়মিত ট্রান্সফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে তাদের এই হরমোন কমে যেতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতিরিক্ত ওজনজনিত সমস্যা এবং যাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ন্ত্রিত রোগ রয়েছে তাদের শরীরে এই হরমোন উৎপাদন কমে যেতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">♦ </span><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা নিয়মিত মদ্যপান ও ধূমপান করে তাদের এই হরমোন ধীরে ধীরে কমা শুরু করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : পুষ্টিবিদ, ফরাজী হসপিটাল, বারিধারা</span></span></span></span></p>