<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চীনের অন্যতম ধনী কলিন হুয়াং (৪৪) ব্যবসাকে বিদায় জানিয়েছেন চার বছর হলো। এখন তিনি গবেষণার কাজে ব্যস্ত। তবে সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফরম পিনদাওদাওয়ের প্রতিষ্ঠার ৯ বছরের মধ্যেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিনদাওদাওয়ের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ২০২০ সালে এবং চেয়ারম্যানের পদ থেকে ২০২১ সালে ইস্তফা দেন হুয়াং। বর্তমানে খাবার ও জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তবে এখনো কম্পানিটির ৪৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক হুয়াং। শেয়ারের ডিভিডেন্ট থেকে পাওয়া অর্থের জোরেই আয় করেছেন সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার। পেছনে ফেলেছেন কোমল পানীয় কম্পানি নংফু স্প্রিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ঝং শানশানকে। </span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুরুর গল্প</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৫ সালে পিনদাওদাও প্রতিষ্ঠা করেন হুয়াং। কম দামে টাটকা কৃষিপণ্য সরবরাহ করে বাজারে হৈচৈ ফেলে দেন। চীনের ম্যাগাজিন কেইশিংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের পণ্য সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের প্যারিসে থাকার অনুভূতি দিতে পারবে না। বরং যাঁরা আনহুইয়ের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকেন তাঁরাই আমাদের প্রধান গ্রাহক। তাঁরা যাতে কিচেন টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন কিংবা টাটকা ফল খেতে পারেন সে চেষ্টাই করি আমরা। সস্তায় পণ্য দেওয়া লক্ষ্য নয়। কেনাকাটা করে পয়সা উসুল হয়েছে এই অনুভূতিটাই আমরা ক্রেতাদের দিতে চাই। পিনদাওদাও প্ল্যাটফরমটির স্লোগানই হচ্ছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার করো বিলিয়নেয়ারের মতো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। জোরেশোরে প্রচারণা চালানোতে তাঁদের ক্রেতা বাড়তে থাকে। আবাসন খাত ঘিরে চীনের অর্থনীতিতে চলা মন্দাভাবও তাঁদের ব্যবসায় অবদান রেখেছে। আর্থিক চাপ চীনা ক্রেতাদের কেনাকাটার অভ্যাস বদলে দিয়েছে। বিশেষ করে বিলাসবহুল পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। এতে লাভবান হয়েছে হুয়াংয়ে কম্পানি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কলিং হুয়াংয়ের ছোটবেলা</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলা হয়ে থাকে চীনারা ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ ভালো। তাদের মধ্যে আবার  ঝেজিয়াংয়ের ব্যবসায়ীরা সেরা। চীনের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অন্তত তিনজন ঝেজিয়াংয়ে জন্ম নিয়েছেন। পূর্বাঞ্চলের এই প্রদেশে কলিং হুয়াংয়েরও জন্ম। স্কুলে পড়ার সময় তিনি ছিলেন গণিত বিস্ময়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে স্নাতক করেন। উচ্চশিক্ষা নিতে যান যুক্তরাষ্ট্র। স্নাতকোত্তর শেষ করেন উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৪ সালে দেশে ফিরে এসে গুগলে চাকরি নেন। চীন সরকার গুগলকে বিতাড়িত করলে তাঁর চাকরি চলে যায়। বেকার হওয়ার পর ২০০৭ সালে নিজেই একটি কম্পানি দাঁড় করান। কম্পানিটি বিক্রি করেন ২০১০ সালে। কানের ইনফেকশনের কারণে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় এক বছর বিরতি নিতে হয় তাঁকে। এ সময়ই তাঁর মাথায় পিনদাওদাও প্রতিষ্ঠার ভাবনা আসে। এই কম্পানির কল্যাণে ২০২১ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় সাত হাজার ১৫০ কোটি। তবে রাতারাতি ধনী হওয়ায় কভিড বিলিয়নেয়ারের তকমাই জোটে তাঁর কপালে। এর সঙ্গে যোগ হয়, বেসরকারি খাতে চীনা সরকারের কড়া নজরদারি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পিডিডি</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র ব্যবসা বড় হচ্ছে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের বাইরে ব্যবসা সম্প্রসারণে শাখা কম্পানি তেমু চালু করে পিডিডি হোল্ডিংস। সেখান থেকেই অর্থ যোগ হচ্ছে তাঁর সম্পদে। গত মে মাসে ই-কমার্স জায়েন্ট আলিবাবার মার্কেট ভ্যালুকে অতিক্রম করে তেমু। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে হাঁসফাঁস করা মার্কিন নাগরিকদের কাছে কম্পানিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। কম দামি অপরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্য চীন থেকে সরাসরি রপ্তানি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছর তেমুর মূল কম্পানি পিডিডি জানায়, তাদের আয় হয়েছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার। ২০২২ সালের চেয়ে যা ৯০ শতাংশ বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : ফোর্বস, ফরচুন, নিউজইউক</span></span></span></span></p>