<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামী চার বছর পর হবে ৪.৯ শতাংশ। এ অঞ্চলের মধ্যে মালয়েশিয়া পৌঁছে যেতে পারে উচ্চ আয়ের দেশের কাতারে। প্রত্যাশার চেয়ে দেশটির বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের আগের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ৪.৩ শতাংশ। পূর্বাভাস সংশোধনের পর দেশটির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে আর্থিক সংস্থাটি। একইসঙ্গে দেশটির মুদ্রার মান আরো শক্তিশালী হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করতে পারে মালয়েশিয়া। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের নিযুক্ত প্রধান অর্থনীতিবিদ অপূর্ব সাংঘি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="তিন বছরে উচ্চ আয়ের দেশ হতে পারে মালয়েশিয়া" height="203" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/10.October/13-10-2024/5566.jpg" style="float:left" width="346" />তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রবৃদ্ধি হওয়ায় দেশটিতে জনগণের জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে। এতে শক্তিশালী হচ্ছে রিংগিত। ফলে উচ্চ আয়ের মর্যাদা তাদের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। কভিড মহামারির পূর্বাবস্থার চেয়ে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ১২ শতাংশ বড় হয়েছে। এতে সিঙ্গাপুর বাদে অন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে তারা এগিয়ে আছে। তবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিতে মালয়েশিয়ার সরকারকে সংস্কারে মন দিতে হবে। নানা খাতে উন্নতির জন্য দেশিকে জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দেশটির ২০ লাখ মানুষ আংশিক বেকার। অর্থাৎ যোগ্যতা অনুসারে তারা চাকরি পায়নি। সারমর্ম হলো, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। তবে এর চেয়েও ভালো অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের। আংশিক বেকারত্বের মতো সমস্যার সমাধান করলে সেটা সম্ভব। এই সমস্যার কারণে মালয়েশিয়ান তরুণদের মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক অবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ব ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে, যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ১৪ হাজার পাঁচ ডলার বা এর বেশি, সে দেশগুলোই উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। গত বছর মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩.৭ শতাংশ। ২০২২ সালে তাদের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয় ৮.৭ শতাংশ। দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে পাম ওয়েল রপ্তানি, রাসায়নিক, গাড়ি ও ইলেকট্রনিকস উৎপাদন, পর্যটন, আইসিটি খাত, তেল ও গ্যাসের প্রাকৃতিক উৎস। বিশ্বে পাম ওয়েল উৎপাদনে মালয়েশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। উৎপাদিত পাম ওয়েল ও পাম ওয়েলভিত্তিক পণ্যের ৯০ শতাংশই রপ্তানি করে তারা। ২০২২ সালে তারা দেড় কোটি মেট্রিক টন পাম ওয়েল ও পাম ওয়েলভিত্তিক পণ্য রপ্তানি করে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>