<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যে দেশ যত গরিবই হোক না কেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিনা মূল্যের উপহার বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। আফ্রিকান ইউনিয়নের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আরিকানা চিহোম্বরি-কোয়াওয়ের এই মন্তব্য আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য যেন চিরন্তন সত্য।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফ্রিকার দেশগুলো নিজেদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেকাংশেই চীনের ওপর নির্ভরশীল। রেললাইন, মহাসড়ক, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দর নির্মাণে চীনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ। খোলা চোখে মনে হতে পারে চীন ঋণ দিয়ে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোকে উদ্ধার করছে। কিন্তু আদতে বিষয়টি এত সহজ নয়। ঋণের অর্থে দেশগুলোর অর্থনীতি সম্প্রসারিত হলেও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কতটা হচ্ছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। কোনো রকম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন না হয়ে আফ্রিকান দেশগুলো ঋণ পরিশোধে সক্ষম কি না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="চীনা ঋণের ভারে আফ্রিকা" height="614" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12.December/kk--4a-01--12-2024.jpg" style="float:right" width="400" />ঋণ নাকি ফাঁদ? : চীনের</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) থেকে আলাদা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চীনের দেওয়া ঋণের অর্থ ব্যবহৃত হয় জ্বালানি, পরিবহন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আর্থিক খাতে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় দিয়ে থাকে চীন। আবার ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গোপনে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তারা। এতে শর্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে দেশটি। অন্যদিকে স্বচ্ছতা এড়িয়ে গোপনে চুক্তি করে পকেট ভারী করে আফ্রিকার রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা। তবে বিষয়টি নিয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এখন আপত্তি তুলছেন। ঋণের শর্তগুলো প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছেন তারা। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোবাল্ট, লিথিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ পদার্থের খনির দখল নিয়ে নেয় চীন। এ বিষয়েও জোর আপত্তি তুলছেন কেনিয়া ও নাইজেরিয়ার তরুণরা। তাদের ভাষ্য, ঋণের বিপরীতে খনির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। ঋণের ফঁদে পড়ে নামমাত্র মূল্যে খনির মালিকানা হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। ঋণ দিয়ে ব্রিজ, রেললাইন, বাঁধ ও মহাসড়ক তৈরি করে দেওয়ার আড়ালে আফ্রিকা মহাদেশে চীন নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করছে কি না তা নিয়েও শঙ্কিত আফ্রিকানরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরো ৫১ বিলিয়ন দেবে চীন : যুক্তরাষ্ট্রের</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল চায়না ইনিশিয়েটিভ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আফ্রিকায় ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় ঋণ বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে চীন। ২০২৩ সালে চীনের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৬০ কোটি ডলার। ২০১৬ সালের পর যা সর্বোচ্চ। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে চীন-আফ্রিকা কো-অপারেশন সামিট অনুষ্ঠিত হয় বেইজিংয়ে। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং, আফ্রিকাকে আরো পাঁচ হাজার ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেন। আগামী তিন বছরে আফ্রিকাজুড়ে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাড়াতে এবং ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ঋণ বিতরণ করবে চীন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ দেশ নিয়েছে ৫১ শতাংশ ঋণ : যুক্তরাষ্ট্রের</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রতিষ্ঠান এইড ডেটার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ ধার করেছে অ্যাঙ্গোলা। তাদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছয় হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ধার করেছে দুই হাজার ১৩০ কোটি ডলার। ইথিওপিয়া নিয়েছে দুই হাজার ৪০ কোটি ডলার, সুদান ও মিসর নিয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার ও এক হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এ ছাড়া ঋণ নেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে নাইজেরিয়া, জাম্বিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, কেনিয়া ও ঘানা। এ পর্যন্ত এক হাজার ৩০৬ দফায় ৪৯টি আফ্রিকান দেশকে ঋণ দেওয়া হয়। তবে আফ্রিকার সব দেশ ঋণগ্রহীতা নয়। চীনের কাছ থেকে মোট ঋণের ৫১ শতাংশই নিয়েছে অ্যাঙ্গোলা, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, মিসর ও জাম্বিয়া। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : আফ্রিকা</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিজনেস ইনসাইডার</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফ্রিকা টুডে, রয়টার্স</span></span></p>