<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোনা উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হলেও মজুদে চীনের অবস্থান বিশ্বে ষষ্ঠ। বিশেষত সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ খাতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে চীন। তবে চীনের জন্য বড় সম্ভাবনা হয়ে ধরা দিয়েছে দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি আবিষ্কার। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিপুল প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সোনার মজুদে চীন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে চলে আসতে পারে। এই বাজারে দেশটির আধিপত্য বাড়বে, মন্থর থাকা চীনের অর্থনীতি বেগবান হবে, এমনকি ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও চীন এগিয়ে গেল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="সোনার বাজারে আধিপত্য বাড়বে চীনের" height="444" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12.December/kk--13s-01--12-2024.jpg" style="float:right" width="400" />বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় সুরক্ষার বড় ঢাল বিবেচনা করা হয় সোনাকে। তাই তো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সোনার মজুদ বাড়ানোর ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রিজার্ভে ডলার কমিয়ে কয়েক বছর যাবৎ সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে এমন দেশগুলোর অন্যতম চীন। তাই এই আবিষ্কার চীনের জন্য সোনায় সোহাগা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি চীনের হুনান প্রদেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গবেষকদের ধারণা, খনিটিতে এক হাজার টন সোনা মজুদ রয়েছে। বলা হচ্ছে, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি এটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হুনানের জিওলজিক্যাল ব্যুরো জানিয়েছে, সেখানে যে পরিমাণ সোনা মজুদ আছে তার দাম আনুমানিক ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৮৩ বিলিয়ন ডলার। মজুদের দিক থেকে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি হতে পারে। এর আগে আবিষ্কৃত খনিগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ খনিতে সর্বোচ্চ ৯৩০ টন সোনা পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খননের কাজে যুক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, খনির দুই হাজার মিটার গভীরে ৪০টি গোল্ড ভেইনস বা সোনার আকরিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে প্রায় ৩০ টন সোনা মজুদ রয়েছে। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দেখা গেছে, আরো গভীরে তিন হাজার মিটারে বিপুল পরিমাণ সোনা আছে। এই আবিষ্কার চীনের সোনার খাতে যেমন বড় প্রভাব ফেলবে, তেমনি এতে দেশটির খনিশিল্প ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরো বাড়বে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চীনের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বিশেষজ্ঞ চেন রুলিন দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, খননের সময় অনেক জায়গায় সোনা দেখতে পেয়েছেন তারা। ব্যুরোর উপপ্রধান লিউ ইয়ংজুন বলেন, ওয়াংগু নামের এই সোনার খনিতে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মতো অত্যাধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১০ সোনার খনি : গবেষকদের</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ধারণা যদি সঠিক হয় তাহলে চীনের হুনান প্রদেশে আবিষ্কৃত এই খনিটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার খনি। এই খনির সন্ধান পাওয়ার আগে পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ গোল্ড মাইন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি হিসেবে পরিচিত ছিল। শীর্ষ দশে থাকা অন্য সোনার খনিগুলো যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার গ্রাসবার্গ গোল্ড মাইন, রাশিয়ার অলিম্পিয়াদা গোল্ড মাইন, পাপুয়া নিউগিনির লিহির গোল্ড মাইন, চিলির নর্তে আবিয়ের্তো গোল্ড মাইন, যুক্তরাষ্ট্রের কার্লিন ট্রেন্ড গোল্ড মাইন, অস্ট্রেলিয়ার বোডিংটন গোল্ড মাইন, দক্ষিণ আফ্রিকার এমপোনেং গোল্ড মাইন, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পুয়েবলো ভিয়েজো গোল্ড মাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তেজ গোল্ড মাইন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সোনা উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলো : বিশ্বজুড়ে</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হচ্ছে সোনা। তবে সোনার অর্ধেকই ব্যবহার হয় অলংকার হিসেবে। বাকি ৪০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিনিয়োগ হিসেবে এবং ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় শিল্প খাতে। সোনা উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, পেরু ও ইন্দোনেশিয়া। শীর্ষ ভোক্তা দেশগুলো মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সৌদি আরব, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : ট্রেডিং</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ইকোনমিকস, লাইভসায়েন্স ডটকম</span></span></span></span></span></p>