<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দুই বাংলায়ই সমান জনপ্রিয়। তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম আলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। ত্রিপুরা রাজ্য থেকে শুরু হয়ে সময়ের হাত ধরেই এই বৃহদায়তন মহাকাব্যিক উপন্যাসের কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা তথা সমগ্র ভারতে। ১৮৮৩ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় জাতীয়তাবাদ ও রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষই এর মূল উপজীব্য। শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, সিস্টার নিবেদিতা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ, কাদম্বরী দেবী, সরলার ঘোষাল, ইন্দিরা দেবী, বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো যেমন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। উপন্যাসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লেখকের কল্পনাপ্রসূত চরিত্র যেমন, ভরত ও ভূমিসূতার কাহিনিও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। এই দুটি চরিত্রের নানা উত্থান-পতনের সঙ্গে উপন্যাসের গতি এগিয়ে গেছে ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/15-11-2024/2/kalerkantho-sl-3a.jpg" height="326" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/15-11-2024/2/kalerkantho-sl-3a.jpg" style="float:left" width="200" />সেই সময়ের সমাজচিত্র অতি সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলতেই একদিকে ধর্ম আন্দোলন, অন্যদিকে বিজ্ঞানচর্চার গুরুত্ব; অর্থাৎ একদিকে ভক্তি, অন্যদিকে যুক্তিকে লেখক সাজিয়েছেন অপূর্ব ছন্দে। এ ছাড়া তৎকালীন সমাজে বাংলা থিয়েটারের ভূমিকা এবং সে ক্ষেত্রে গিরিশ ঘোষ, বিনোদিনী, অর্ধেন্দুশেখরের পাশাপাশি অমর দত্তের মতো প্রতিভাবানদের অবদানকে তুলে ধরেছেন নিপুণভাবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কবি রবীন্দ্রনাথের জীবনের টানাপড়েনের সঙ্গে মিশিয়েছেন নানা রাজনৈতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপট। ত্রিপুরার রাজা বিরচন্দ্রমাণিক্য ও পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে রাধাকিশোরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সখ্য ও তাঁদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টিও ফুটে উঠেছে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব, তাঁর গাম্ভীর্যপূর্ণ চারিত্রিক দৃঢ়তা, তাঁর কথাতেই কাদম্বরীর আত্মহত্যার ঘটনা চাপা দেওয়া এবং ব্রাহ্ম সমাজের তিন ভাগ হওয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ রকম ঘটনাগুলোও ওই সময়ের ইতিহাস বুঝতে সাহায্য করে, পাঠকের মনকে নাড়া দেয়। রবীন্দ্রনাথের কবি থেকে শান্তিনিকেতনের গুরুদেব হয়ে ওঠার যাত্রা এবং তাঁর বিভিন্ন লেখার প্রেক্ষাপট জানতে পেরে মনের গভীরে অদ্ভুত ভালো লাগা তৈরি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্রন্থনা : পিন্টু রঞ্জন অর্ক</span></span></span></span></p>
