<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:#d12229">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:#d12229">চলছে, এই চলছে আর কি। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, কে জানে!।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:#d12229">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:#d12229"> সেরকাসও তত দিনে লেখালেখির কথা ভাবছেন। তবে মনের কথা কাউকে বলার মতো সাহস হয়নি। সামনের তরুণ লেখকের নিজের উপন্যাস সম্পর্কে এতটা স্বাভাবিকভাবে কথা বলা দেখে মুগ্ধ</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত অক্টোবরের ১৫ তারিখে </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য প্যারিস রিভিউ</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> পত্রিকায় স্পেনের কথাসাহিত্যিক ও স্প্যানিস সাহিত্যের প্রফেসর হাভিয়ার সেরকাস চিলির কথাসাহিত্যিক, কবি ও প্রবন্ধকার রবার্তো বোলানোর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ও স্পেনের জিরোনাতে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি বলেন, ১৯৮১ কিংবা </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৮২ সালের কথা : স্পেনের ঐতিহাসিক জিরোনা কেন্দ্রে অবস্থিত নামকরা পানশালা বিস্ট্রটের সামনে একটা ঘটনা ঘটে। তার বন্ধু শাভিয়ার কোরোমিনার সঙ্গে ইউনিভার্সিটির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পরিচিত একজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করার জন্য কোরোমিনা থামলেন। সামনের ব্যক্তি তাদের দুজনের চেয়ে বয়সে অল্প একটু বড় মনে হলো। তার চেহারার মধ্যে হিপিদের মতো একটা ভাব দেখতে পেলেন সেরকাস। কথা বলার এক পর্যায়ে কোরোমিনা তার বন্ধুর কাছে জানতে চাইলেন, তার উপন্যাস লেখার কাজ কেমন চলছে। তিনি উত্তর দিলেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলছে, এই চলছে আর কি। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, কে জানে!</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> সেরকাসও তত দিনে লেখালেখির কথা ভাবছেন। তবে মনের কথা কাউকে বলার মতো সাহস হয়নি। সামনের তরুণ লেখকের নিজের উপন্যাস সম্পর্কে এতটা স্বাভাবিকভাবে কথা বলা দেখে মুগ্ধ হন সেরকাস। অবশ্য তিনি ভেবেছিলেন, এই লেখকের অবস্থা তাদের এলাকার অন্যান্য উঠতি লেখকের মতোই হবে, মানে হয়তো ঔপন্যাসিক হিসেবে তার নাম আর না-ও শোনা যেতে পারে। তবে প্রায় সাত-আট বছর পর একটা বিষয় খেয়াল করে সেরকাস বিস্মিত হন : তিনি তখন নিউইয়র্কে। তার দ্বিতীয় উপন্যাস লেখা চলছে। সেখানে এক চরিত্র তার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে, তার ডক্টরাল থিসিসের কাজ কেমন চলছে। উত্তরে বন্ধু বলে, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলছে, এই চলছে আর কি। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে যাবে, কে জানে!।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span>  </span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পনেরো-ষোলো বছর পরের কথা। ১৯৯৭ সালে হাভিয়ার সেরকাস বার্সেলোনায় থাকতেন। ডিসেম্বর মাসে সেরকাস এক বন্ধুর জন্য একটা লেখার কাজে বার্সেলোনা থেকে জিরোনাতে যান। সেখানে এক আর্ট গ্যালারিতে রবার্তো বোলানোর একটা উপন্যাসের প্রদর্শনী চলছিল। এরই মধ্যে বোলানোর আরো দুটো উপন্যাস প্রকাশ করা হয়ে গেছে। সাহিত্যমহলে তার নাম ঘন ঘন উচ্চারিতও হচ্ছে। তবে সেরকাসের তিনটি উপন্যাস প্রকাশ করা হলেও বোলানোর মতো সাড়া ফেলতে পারেননি তিনি। বোলানোর সাহিত্যমহলেও প্রবেশ করতে পারেননি। যা হোক, তাদের দুজনের বন্ধু এনরিক ভিলা মাতাসের কাছ থেকে বোলানো সম্পর্কে শুনেছিলেন। তবে অন্য এক বন্ধুর মাধ্যমে আর্ট গ্যালারিতে তার সরাসরি দেখা হয় বোলানোর সঙ্গে। পরিচয়ের পর কথা প্রসঙ্গে বোলানো জানান, তিনি লেখালেখি করেই সামান্য কিছু উপার্জন করেন। লেখালেখি ছাড়া তিনি আর কোনো কাজ করেন না। এক পর্যায়ে সেরকাস বোলানোকে জিজ্ঞেস করেন, আশির দশকে তিনি জিরোনাতে ছিলেন কি না। উত্তরে বোলানো জানান, তিনি ওই সময় জিরোনাতে ছিলেন। তিনি শাভিয়ার কোরোমিনাকে চিনতেন কি না জিজ্ঞেস করার পরও হ্যাঁবোধক উত্তর দেন। এরপর তাদের ক্ষণিকের দেখা হওয়ার কথাও বোলানোকে মনে করিয়ে দেন সেরকাস। তার উপন্যাসের চরিত্রদের মুখে বোলানোর সেই প্রথম দিনে বলা কথাগুলো বেখেয়ালে চলে আসার বিষয়ও জানান সেরকাস। দুজনই একসঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে হেসে ওঠেন। এভাবেই শুরু রবার্তো বোলানো এবং হাভিয়ার সেরকাসের বন্ধুত্ব। পরিচয়ের সেই প্রথম আড্ডায় দুজনের ভেতর স্রোতের মতো কথা বের হতে থাকে। তাদের গল্প শেষ হতে হতে ভোর ৫টা বেজে যায়। আড্ডা শেষে সেরকাস বলে ওঠেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভিভা বোলানো! লং লিভ বোলানো!</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তার কথায় বোঝা যায়, আশির দশকের শুরুতে যাকে নিয়ে তার সন্দেহ ছিল, তিনি হারিয়ে যাননি, সফল লেখক হিসেবে উঠে এসেছেন। কয়েক দিন পর সেরকাসের বাড়ির ঠিকানায় বোলানোর </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিস্ট্যান্ট স্টার</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> উপন্যাসের একটা কপি চলে আসে। উপন্যাসের শুরুর দিকের একটা সাদা পৃষ্ঠায় বোলানো সেরকাসের দ্বিতীয় উপন্যাস সম্পর্কে প্রশংসাসূচক কিছু কথা লিখেছেন। লেখাটা শেষ করেছেন </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভিভা সেরকাস</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাদের বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ছিল সাড়ে তিন বছরের মতো। খুব দীর্ঘ না হলেও বেশ তীব্র ছিল তাদের বন্ধুত্ব। বিভিন্ন জায়গায় দেখা হতো : কখনো বার্সেলোনাতে, কখনো জিরোনায়, আবার কখনো ব্লানেসে। কখনো জনসম্মুখে, কখনো কোনো বন্ধুর বাড়িতে, কখনো তাদের পরিবারের লোকেরাও থেকেছেন তাদের সঙ্গে; কখনো তাদের বন্ধু এজি পোর্তা কিংবা ভিলা-মাতাস থাকতেন তাদের সঙ্গে। আবার কোনো কোনো সময় বন্ধুদের স্ত্রীরাও যোগ দিতেন এই লেখক বন্ধুদের আড্ডায়। অবশ্য বোলানো এবং সেরকাস সবচেয়ে বেশি কথা বলতেন টেলিফোনে। আবার টেলিফোনে কথা বলাও ছিল বিচিত্র রকমের। বার্সেলোনাতে থাকাকালে তাদের টেলিফোনে কথা হতো মাঝেমধ্যে। তবে সেরকাস জিরোনাতে ফিরে যাওয়ার পর তাদের কথা হতো প্রতিদিন। তাদের কথা হতো প্রধানত রাতেরবেলা। কথার বিষয়বস্তু থাকত সাহিত্য এবং সাহিত্যজীবন। এ দুটো ছিল বোলানোর প্রিয় বিষয়। তার নিজের লেখার রসদ হিসেবেও এসব কথাবার্তা তার কাছে প্রাণশক্তির মতো ছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখালেখির শুরুতে বোলানো প্রতিষ্ঠিত লেখকদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন। তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক লেখকের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তবে তখনো তিনি বয়স্ক লেখকদের বলয় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তার সাহিত্যিক বন্ধুদের নিয়ে কথা বলা তার খুব পছন্দের বিষয় ছিল। তার মতে, তার বন্ধুদের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তবে তার শত্রু অনেক ছিল বলেই মনে করতেন। এমনকি সেরকাসেরও অনেক শত্রু আছে বলেই মনে করতেন বোলানো। তার প্রমাণ মেলে ১৯৯৭ সালে </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্য ইয়েলো পোপার্স</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামের কোষগ্রন্থ প্রকাশের মধ্যে: সেখানে তাদের প্রজন্মের প্রায় সবার লেখা ছিল। কিন্তু সেরকাসের লেখা ছিল না। এ প্রসঙ্গে বোলানো বলেছিলেন, সেরকাসের শত্রুদের কারণেই তার লেখা নেওয়া হয়নি। অবশ্য সেরকাসের মনে হয়েছিল অন্য কথা : তার মা এবং বন্ধু বোলানো ছাড়া তার বই অন্য কেউ হয়তো পড়েননি। সুতরাং অন্যদের সঙ্গে তার লেখা স্থান না পাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। বাস্তবতা যা-ই হোক, তাদের দুজনের টেলিফোনে কথা বলার মধ্যে অনেক রকমের লেখকের প্রসঙ্গ আসত। বোলানো এবং সেরকাসের টেলিফোন আড্ডায় বিখ্যাত কবি-লেখকদের মধ্যে আসত আর্জেন্টিনার হুলিও কোর্তসার, অ্যাডলফো কাসারেস, চিলির নিকানোর পাররা, উরুগুয়ের হুয়ান কার্লোস ওনেত্তি, মেক্সিকোর হুয়ান রুলফো, ব্রিটিশ লেখক ও কবি ম্যালকম লোরি, ফরাসি লেখক লুই ফার্দিনান্দ সেলিনের প্রসঙ্গ। তাদের দীর্ঘ টেলিফোন আলাপে বোদলেয়ার এবং এলিয়টের প্রসঙ্গ যেমন আসত, অন্যদিকে উত্তর আমেরিকার কথাসাহিত্যের অ্যালান পো, হেমিংওয়ে, ফিলিপ কে ডিক, কুর্ট ভোনেগাট, জন ইরভিং প্রমুখের প্রসঙ্গও আসত। বোর্হেসের কথা বলতে বলতে দুজনেই জোরে হেসে উঠতেন; তাদের প্রিয় লেখক ছিলেন বোর্হেস। অন্য লেখকদের প্রসঙ্গসহ নিজেদের কথাও আসত তাদের আড্ডায়। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বোলানোর লেখার গতিতে ছিল চমৎকার ছন্দ। তবে সেরকাস তখন একটু কঠিন সময় পার করছিলেন। লেখার চেষ্টা চলছিল। এক পর্যায়ে তার ধারণা জন্মে ভালো লেখক হওয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে বোলানো তার মনে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সব চেষ্টাই করেন। এমনকি তার এক কলামে বোলানো সেরকাসের প্রসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন: সেরকাসের মধ্যে ভালো লেখার সম্ভাবনা আছে। তার সেরা লেখা অচিরেই প্রকাশ পাবে। তার পর থেকে সেরকাসের সার্বক্ষণিক উৎসাহের উৎস হয়ে ওঠেন বোলানো।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেরকাসের বর্ণনা অনুসারে, প্রায় দু বছর কথাবার্তা বন্ধ ছিল তাদের মধ্যে। ২০০৩ সালের জুনের শেষে কিংবা জুলাইয়ের শুরুতে এক রবিবার দুপুরে সেরকাসের স্ত্রী বোলানোর প্রসঙ্গ তুললেন। দুদিন পর সেরকাসের মেক্সিকো যাওয়ার কথা। হঠাৎ তার মনে হলো, বোলানোকে ফোন করা দরকার। দুজনের দেখা হওয়া দরকার। তিনি ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে বোলানোও বললেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এখনই চলে এসো।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> দুজনের দেখা হলো ব্লানেসের সমুদ্রের ধারে। অনেক কথা হলো। সেরকাস খেয়াল করলেন, বোলানোকে খানিকটা বিষণ্ন এবং ক্লান্ত দেখাচ্ছে। এক পর্যায়ে বোলানো জানালেন, তিনি আর লিখছেন না। সেরকাসের জন্য এমন কথা বিশ্বাস করা কঠিন। কথাবার্তা এবং একটা চায়নিজ রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া, এদিক-ওদিক একটু হেঁটে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে রাত শেষ হওয়ার পথে। তখন বোলানো সেরকাসকে তার ওখানে থেকে যেতে বললেন।  সেরকাস অবশ্য রাজি হলেন না। সেরকাস তার গাড়িতে করে বোলানোকে বাড়িতে নামিয়ে গেলেন। বোলানো গাড়ি থেকে নামার আগেই সেরকাস বলেছিলেন, মেক্সিকো থেকে ফিরেই তাকে ফোন করবেন। বোলানো মাথা ঝাঁকালেন এবং বললেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হাভিয়ার, নিজের খেয়াল রেখো।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মেক্সিকো থেকে ফেরার পর আর দেখা করা কিংবা ফোন দেওয়া হয়নি সেরকাসের। দুদিন পরে ২০০৩ সালের ১৫ জুলাই বোলানো মারা যান। কয়েক সপ্তাহ পর বোলানোর স্ত্রী ক্যারোলিনা সেরকাসকে জানান, শেষের কয়েক মাস বোলানো কিছু লেখেননি। লেখার মতো শক্তি ছিল না তার। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, আর বেশিদিন বাঁচবেন না। ক্যারোলিনা আরো জানিয়েছিলেন, সেই ভোরে বোলানো বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। সেরকাস মনে করেন, বোলানোর অনুরোধ না রেখে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে সেই ভোরে তিনি ঠিক কাজই করেছিলেন। বন্ধুর কথামতো স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গেই জীবনের শেষ সময়টা কাটিয়েছিলেন রবার্তো বোলানো। </span></span></span></span></p>