ডিজিটাল চিত্রকর্মের শিল্পী হতে চাইলে...

  • ডিজিটাল চিত্রকর্ম থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফটোকার্ড ডিজাইন—ডিজিটাল শিল্পীদের কাজের শেষ নেই। ডিজিটাল শিল্পকর্মে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং কিভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়, তার বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
ডিজিটাল চিত্রকর্মের শিল্পী হতে চাইলে...
গ্রাফিকস ট্যাবলেটে ছবি আঁকছেন শিল্পী। ছবি : সংগৃহীত

কাজের সুবিধার্থে শিল্পীদের পছন্দ ডিজিটাল ক্যানভাস। প্রায় ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে কম্পিউটার গ্রাফিকস, এখন শৌখিন শিল্পীরাও আঁকাআঁকির জন্য স্কেচবই ফেলে বেছে নিচ্ছেন ট্যাবলেট। ডিজিটাল শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ারও গড়ছেন অনেকে। 

ডিজিটাল শিল্পকর্মের আছে বেশ কয়েকটি রকম ফের।

মোটাদাগে একে দুই ধরনে ভাগ করা যায়, টুডি ও থ্রিডি। টুডি আর্টের তুলনায় থ্রিডি কাজ শেখা বেশ কঠিন, শক্তিশালী হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তাও বেশি। মূলত তিন ধরনের আর্ট কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় ডিজিটাল কোলাজ, এনিমেশন, কম্পিউটার জেনারেটেড গ্রাফিকস থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভার্চুয়াল শিল্পকর্ম। এর মধ্যে আছে

 

ভেক্টর ইলাস্ট্রেশন : সরল জ্যামিতিক আকৃতি ব্যবহার করে চিত্রকর্ম বা পটভূমি তৈরি করাকেই বলা হয় ভেক্টর ইলাস্ট্রেশন বা আর্ট।

বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক ডিজাইন তৈরিতে এর ব্যবহার বেশি, শিল্পকর্ম সৃষ্টিতেও ভেক্টর আর্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন তৈরিতে ভেক্টর আর্ট বহুল ব্যবহৃত। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ফটোকার্ড তৈরি এবং ওয়েবসাইট ডিজাইনেও দৃষ্টিনন্দন ভেক্টর আর্ট ব্যবহৃত হয়। ভেক্টর আর্টের একটি বড় সুবিধা, ছবির মান নষ্ট না করেই ইচ্ছামতো ছোট বা বড় করা যায়।
ফলে ব্যানার বা পোস্টার তৈরিতে ভেক্টর আর্ট অপরিহার্য। সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইটের ইন্টারফেস ও আইকন তৈরিতেও ভেক্টর আর্ট সমাদৃত।    

ডিজিটাল পেইন্টিং : রংতুলি আর ক্যানভাসের ডিজিটাল সংস্করণ ব্যবহার করে চিত্রকর্ম তৈরি করেন অনেক শিল্পী। জলরং, তেল বা রেখাচিত্রসব কিছুই করা যায় ডিজিটালি। ডিজিটাল ক্যানভাসে আঁকার বড় সুবিধা হলো ভুল ঠিক করা সহজ, পাশাপাশি রং বা ক্যানভাস কেনার প্রয়োজনীয়তা নেই।

শিল্পকর্মগুলো সংরক্ষণেও বাড়তি জায়গার দরকার হয় না। ফলে শিল্পীদের মধ্যে ডিজিটাল পেইন্টিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ওয়েবসাইট বা অন্যান্য ভার্চুয়াল স্পেস সাজানোর পাশাপাশি অনেক শিল্পী ডিজিটাল পেইন্টিং বা স্কেচের প্রিন্টও বিক্রি করেন। বাস্তব ক্যানভাসে আঁকার দক্ষতা বাড়ানোর জন্যও প্র্যাকটিস করতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন কেউ কেউ।

থ্রিডি মডেলিং : থ্রিডি আর্টের প্রথম ধাপ মডেল তৈরি। মডেলের সঙ্গে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট জুড়ে তৈরি হয় সব ধরনের থ্রিডি গ্রাফিকস, সেটা হতে পারে খুব সাধারণ প্রডাক্ট শোকেস থেকে শুরু করে বিলিয়ন ডলার বাজেটের ভিডিও গেম। ভাস্কর্য তৈরি আর থ্রিডি মডেলিংয়ের কার্যপ্রণালী অনেকটা একইরকম। প্রতিটি মডেল শুরু হয় একটি কিউব বা স্ফিয়ার থেকে। এর সঙ্গে নতুন অংশ জোড়া দিয়ে অথবা সেটা টেনে নতুন আকার দিয়ে ধীরে ধীরে তৈরি করা হয় পূর্ণাঙ্গ মডেল। একে বলা হয় মেশ বা কার্ভ মডেলিং। ভেক্টর আর্টের মতো থ্রিডি মডেলও প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট-বড় করা যায়। বেশির ভাগ থ্রিডি মডেল তৈরিতে রেফারেন্স ছবি ব্যবহার করেন শিল্পী, তবে এখন থ্রিডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক একটি মডেল তৈরি করে এরপর সেটি পরিমার্জন করার মাধ্যমে মডেলিং করাই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

সফটওয়্যার

ওয়েবসেবা ক্যানভা টুডি গ্রাফিকস শিল্পীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষত সফটওয়্যার ইন্টারফেস, ওয়েবসাইট ডিজাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ফটোকার্ড তৈরি এবং নানা বিজ্ঞাপন তৈরিতে এটি বহুল ব্যবহৃত। ভেক্টর গ্রাফিকস তৈরির জন্য ইলাস্ট্রেটর ও ইংকস্কেপ, থ্রিডি মডেলিংয়ের জন্য ব্লেন্ডার ও অটোডেস্ক মায়া এবং ডিজিটাল পেইন্টিং করার জন্য আডবি ফটোশপ, ক্রিতা ও প্রোক্রিয়েটের মতো সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাফিনিটির তৈরি ডিজাইনার, ফটো ও পাবলিশার সফটওয়্যারগুলো ধীরে ধীরে আডবির সফটওয়্যারের বিকল্প হয়ে উঠছে।

 

হার্ডওয়্যার

ডিজিটাল আর্ট নিয়ে কাজ করার জন্য কিছুটা শক্তিশালী হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। টুডি আর্ট করতে চাইলে প্রয়োজন গ্রাফিকস ট্যাবলেট। ডিজিটাল ক্যানভাসে আঁকার জন্য এই হার্ডওয়্যারে আছে টাচপ্যাড ও ডিজিটাল কলম। ডিজিটাল পেইন্টিংয়ের জন্য গ্রাফিকস ট্যাবলেট অপরিহার্য, ভেক্টর ইলাস্ট্রেশন করার জন্যও এটি খুবই কাজের। গ্রাফিকস ট্যাবলেট বাজারে সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড ওয়াকম, তবে এ প্রতিষ্ঠানের হার্ডওয়্যারের মূল্য প্রায় সাত হাজার টাকা থেকে শুরু। কম বাজেটে কাজ শুরু করতে চাইলে হুইয়নের গ্রাফিকস ট্যাবলেটগুলোও খুবই কাজের, দামও কম, আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু।

প্রতিটি ডিজিটাল আর্ট সফটওয়্যার চালনার জন্য অনেক র‌্যাম এবং শক্তিশালী প্রসেসর প্রয়োজন। তাই অন্তত ৬ কোরের আধুনিক প্রসেসর এবং ১৬ জিবি র‌্যাম পিসিতে থাকতে হবে। যারা থ্রিডি মডেলিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তাদের পিসিতে আলাদা গ্রাফিকস কার্ডও প্রয়োজন।

আঁকাআঁকির জন্য আইপ্যাড খুবই জনপ্রিয়। উজ্জ্বল ও কালার অ্যাকুরেট ডিসপ্লে, নিখুঁত ডিজিটাল পেন এবং শক্তিশালী হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি আডবি ও অ্যাফিনিটি দুই প্রতিষ্ঠানের পুরো সফটওয়্যার স্যুট এবং প্রোক্রিয়েটের মতো চমৎকার সফটওয়্যারের কারণেই জনপ্রিয় আইপ্যাড ও অ্যাপল পেনসিল।

 

আর্ট তুলে ধরার উপায়

ডিজিটাল শিল্পকর্ম তুলে ধরার জন্য পোর্টফোলিও তৈরি করা জরুরি। ওয়েবসাইট ডিজাইন বা বিজ্ঞাপনের জন্য ভেক্টর ইলাস্ট্রেশনের পোর্টফোলিও তৈরিতে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বিহান্স। নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করেও কাজের শোকেস তৈরি করা যেতে পারে। ডিজিটাল পেইন্টিংয়ের জন্য বিহান্সের পাশাপাশি আর্টস্টেশনও জনপ্রিয়। যারা শুধু নির্দিষ্ট কাজের জন্য নয়, বরং নিজের শৈল্পিকতা তুলে ধরতে চায় তাদের জন্য আর্টস্টেশন আদর্শ। থ্রিডি মডেলিংয়ের জন্য পোর্টফোলিও তৈরি একটু জটিল। মডেলের রেন্ডার করা ছবি বিহান্স বা আর্টস্টেশনে আপলোড করার পাশাপাশি মডেল তৈরি এবং তার শোকেসের ওপর তৈরি ছোট ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা উচিত। অনেক থ্রিডি আর্টিস্ট কার্বনমেড ওয়েবসাইটটিতে মডেল আপলোড করেন। পোর্টফোলিও তৈরির পর অবশ্যই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা উচিত। পিন্টারেস্ট বা রেডিটের মতো ফোরামেও আপলোড করে অনেকে।

 

কাজের ধরন

বিজ্ঞাপন সংস্থা, পণ্য প্রস্তুতকারী ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, প্রকাশনী থেকে শুরু করে গণমাধ্যমপ্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই আছে ডিজিটাল আর্টিস্টের প্রয়োজনীয়তা। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজের প্ল্যাটফর্মেও ডিজিটাল আর্টিস্টদের জন্য কাজের অভাব নেই। সব ক্ষেত্রেই পোর্টফোলিও তৈরি সবচেয়ে জরুরি। ভেক্টর ইলাস্ট্রেশনের কাজ অপেক্ষাকৃত সহজ, ব্যবহারের ক্ষেত্রও অনেক।

ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনারদের কদর প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ওয়েবসাইটের জন্য থিম তৈরিতেও ভেক্টর ইলাস্ট্রেশন প্রয়োজন। থ্রিডি মডেল ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস এবং ভিডিও গেম তৈরিত হয়। তবে এ ধরনের কাজের সুযোগ কিছুটা কম। বেশির ভাগ সময় থ্রিডি মডেল তৈরির জন্য খণ্ডকালীন নিয়োগ দেওয়া হয়, অর্থাৎ ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মেই কাজ পাওয়া যাবে বেশি। ডিজিটাল পেইন্টিংয়ের বিক্রি অথবা পেইন্টিংয়ের জন্য কমিশন খুঁজে পাওয়ার সেরা মাধ্যমও অনলাইন ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম। ডিজিটাল আর্ট বিক্রির জন্য বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে। সেখানে পোর্টফোলিওর সব ডিজাইন আপলোড করলে ক্রেতারা যেকোনো সময় কিনতে পারবে। তবে বেশির ভাগ শিল্পী একে উপরি রোজগারের পথ হিসেবে ব্যবহার করেন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গেম

লেক ডিস্ট্রিক্ট রহস্য

শাহরিয়ার মোস্তফা
শাহরিয়ার মোস্তফা
শেয়ার
লেক ডিস্ট্রিক্ট রহস্য

বাস্তবেই ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের উইন্ডস্কেলে অবস্থিত পারমাণবিক চুল্লিতে ঘটেছিল এক প্রলয়ংকরী দুর্ঘটনা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল তেজস্ক্রিয় পদার্থ। দুর্ঘটনাটির ওপর ভিত্তি করেই অ্যাটমফলের কাহিনি সাজানো হয়েছে,যদিও এর সঙ্গে বাস্তবতার মিল সামান্যই।

অ্যাটমফলের পটভূমি ১৯৬০-এর দশকের উত্তর ইংল্যান্ডের লেক ডিস্ট্রিক্ট অঞ্চল।

তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে পুরো এলাকার গাছপালা ও প্রাণীর মধ্যে দেখা দিয়েছে অদ্ভুত সব মিউটেশন, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ জায়গা। সরকারি সিদ্ধান্তে একে কোয়ারেন্টিন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। লেক ডিস্ট্রিক্ট এখন শক্তিশালী মিউট্যান্ট প্রাণী, উন্মাদ কাল্টের সদস্য, পরীক্ষামূলক রোবট ও অদ্ভুত সব প্রযুক্তির আস্তানা। পাশাপাশি অঞ্চলটির নিরাপত্তায় থাকা সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও আছে।
মূল্যবান প্রযুক্তির সন্ধানে আসা ভাগ্য অন্বেষণকারীরও অভাব নেই।

ফার্স পারসন সারভাইভাল অ্যাকশন ঘরানার গেম অ্যাটমফল। এর মূল চরিত্রের কোনো নাম-পরিচয় নেই। অতীতের সব স্মৃতি কোনো এক অজানা কারণে হারিয়ে ফেলেছে সে।

জ্ঞান ফেরার পর সে নিজেকে লেক ডিস্ট্রিক্টে আবিষ্কার করে। এখানে কী ঘটেছিল, তার সঙ্গে সম্পর্কই বা কী, এ রহস্যের জট ছাড়ানোর মাধ্যমেই কাহিনি এগিয়ে যাবে।

পটভূমি ও ঘরানায় গেমটির সঙ্গে মিল হওয়ার কথা স্টকার বা মেট্রো সিরিজের। অথচ গেমপ্লের দিক থেকে এর সঙ্গে বরং ফার ক্রাই সিরিজেরই মিল বেশি। গেমারের মূল শত্রু এক ডুমস ডে কাল্ট, তাদের বিভিন্ন আউটপোস্ট দখল করা গেমের বড় অংশ।

এ ছাড়া গেমটিতে অস্ত্রপাতি ও রসদ সংগ্রহের ওপর খুব জোর দিয়েও খেলতে হবে না। শত্রুদের পরাস্ত করাও খুব কঠিন নয়। অন্যান্য সারভাইভাল গেমের মতো লুকিয়ে থেকে শত্রুদের চোখ ফাঁকি দেওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই।

অ্যাটমফলের গেমপ্লে পুরোপুরি গেমারের স্বাধীনতার দিকে লক্ষ রেখে সাজানো হয়েছে। নিজের ইচ্ছামতো যেমন পুরো এলাকা ঘুরে বেড়ানো যাবে, কোন মিশন গেমার খেলবে বা সেটা শেষ করবে কিভাবে, তার কোনো কিছুতেই বাধ্যবাধকতা নেই। গেমারকে মিশন দেওয়ার সময়েও চরিত্রগুলো সরাসরি কোনো নির্দেশনা দেবে না, প্রতিটি মিশনই যেন ধাঁধার সমাধান করা।

বিভিন্ন রসদ জোগাড় করা এবং নতুন সব অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি তৈরি করা গেমপ্লের অন্যতম অংশ। পাশাপাশি নিজেকে আরো শক্তিশালী করতে মূল চরিত্রের স্কিল বাড়াতে হবে। গেমটিতে স্ট্যামিনা সিস্টেম দেওয়া হয়নি, এর বদলে আছে হার্টবিট সিস্টেম। দৌড়ালে বা দেয়াল বেয়ে ওঠার পর হৃত্স্পন্দন বেড়ে যাবে গেমারের। সে সময় লক্ষ্যভেদ করা হবে যেমন কঠিন, তেমনই দীর্ঘ সময় হার্টবিট বেশি থাকলে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে।

গেমটির গ্রাফিক মনোমুগ্ধকর। সবুজ বনভূমি দেখে বিশ্বাস করা কঠিন, এর মধ্যেই ভয়ংকর বিপদ লুকিয়ে আছে। তবে যারা ফলআউট  বা স্টকারের মতো গেমপ্লে খুঁজছেন তাঁদের অ্যাটমফল ভালো না-ও লাগতে পারে।

 

বয়স : শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই গেম।
খেলতে লাগবে : ইন্টেল কোরআই ৫ ৯৪০০এফ অথবা এএমডি রাইজেন ৫ ২৬০০ প্রসেসর, ১৬জিবি র‌্যাম, এনভিডিয়া আরটিএক্স ২০৬০ অথবা রেডিওন আরএক্স ৫৮০ জিপিইউ এবং ৬০ জিবি জায়গা।
মন্তব্য

সার্ভারের জন্য আলিবাবার নতুন প্রসেসর

    আলিবাবার গবেষকদল তৈরি করেছে নতুন একটি প্রসেসর। আরআইএসসি-ভি বা রিস্ক-ফাইভ আর্কিটেকচারে তৈরি প্রসেসরগুলো সার্ভারে ব্যবহার উপযোগী। শুয়ানটাই সি৯৩০ প্রসেসরের বিস্তারিত জানাচ্ছেন টি এইচ মাহির
শেয়ার
সার্ভারের জন্য আলিবাবার নতুন প্রসেসর
গবেষকের হাতে শুয়ানটাই সি ৯৩০ প্রসেসর। ছবি : সংগৃহীত

শুয়ানটাই প্রসেসরটি তৈরিতে গবেষণা চালিয়েছে আলিবাবার দামো একাডেমি। ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন এই প্রযুক্তিপণ্য উন্মোচিত হয়েছে বেইজিংয়ের এক প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে। শুয়ানটাই সি৯৩০ নামের এই সিপিইউটির ডিজাইনের পাশাপাশি তৈরিও করছে আলিবাবারইনিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট টি-হেড। অর্থাৎ সি৯৩০-এর মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমানোতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন।

ওয়েব সার্ভার, ডেটা সেন্টার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটিংয়ে ব্যবহারের জন্য বানানো হয়েছে এই প্রসেসর। প্রযুক্তিবিদদের অভিমত, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নানা প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের লড়াইয়ের বড় অংশ হতে যাচ্ছে এটি। এর মধ্যেই আলিবাবার এই প্রসেসর চীনা প্রযুক্তি নির্মাতা ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

রিডিইউসড ইনস্ট্রাকশন সেট কম্পিউটিং বা রিস্ক ঘরানার সিপিইউ আর্কিটেকচারের মধ্যে আছে রিস্ক-ফাইভ।

এটি পুরোপুরি ওপেন সোর্স ইনস্ট্রাকশন সেট আর্কিটেকচার, ফলে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্যাটেন্ট বা লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। বহুল ব্যবহৃত দুই প্রসেসর আর্কিটেকচার, ইন্টেলের এক্স৮৬ ও এআরএমের বিকল্প এটি। কোনো ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা না থাকায় রিস্ক-ফাইভ প্রসেসর তৈরির ওপর কোনো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয়, যা এআরএম বা এক্স৮৬-এর বেলায় দেওয়া সম্ভব। এ কারণেই চীনা নির্মাতারা এটি ব্যবহারে ঝুঁকেছেন।
এ ধরনের প্রসেসরগুলো সাধারণত এমবেডেড সিস্টেম, ক্লাউড কম্পিউটিং, এআই, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসরগুলো ৩২, ৬৪ ও ১২৮ বিট ইনস্ট্রাকশন সেটের হয়ে থাকে। ফলে রিস্ক-ফাইভ প্রসেসরগুলো খুবই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এই আর্কিটেকচারের প্রসেসর তৈরি করছে বেশ কিছু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ডেটা সেন্টার, স্মার্ট গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে এসব প্রসেসর।

বহুদিন ধরেই আলিবাবা কাজ করছে রিস্ক-ফাইভ প্রসেসর তৈরিতে। এর আগে ২০১৯ সালে সি৯১০ এবং ২০২৩ সালে সি৯২০ নামের দুটি প্রসেসর তারা বাজারে এনেছে। নতুন সি৯৩০ প্রসেসরটি এর মধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতার কাছে পাঠিয়েছে আলিবাবা। এসব প্রতিষ্ঠানের অভিমত, উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসরটিকে তারা ইন্টেল জেনন এবং এএমডি এপিক সিপিইউয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এ ছাড়া কোনো পারফরম্যান্স বেঞ্চমার্ক পাওয়া যায়নি। আলিবাবার দাবি, স্পেকিন্ট২০০৬ বেঞ্চমার্কে সি৯৩০ স্কোর প্রতি গিগাহার্জে ১৫ পয়েন্ট স্কোর করেছে। এখন দেখার পালা আরো আধুনিক বেঞ্চমার্কে প্রসেসরটির পারফরম্যান্স দেখার।

চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে এআই ও ক্লাউড অবকাঠামো উন্নয়ন করতে ৩৮০ বিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে চীনা সরকার। এর বড় অংশ আলিবাবা বিনিয়োগ করেছে সার্ভারের জন্য প্রসেসর তৈরির গবেষণায়। হ্যাংজুভিত্তিক স্টার্ট-আপ ডিপসিকের তৈরি উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন এআই মডেলগুলোর জনপ্রিয়তায় চীনে এআই সার্ভারের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত। এই চাহিদা মেটাতে নতুন প্রসেসরগুলো গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে আলিবাবা। কয়েক দশক ধরেই এআইশিল্পে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান। চীনজুড়ে আরো ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে তারা। ডিপসিক যেমন কম খরচে উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন এআই সেবার মাধ্যমে ওপেনএআইয়ের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে দিয়েছে, তেমনি রিস্ক-ফাইভ প্রসেসর এআইশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে, এটাই প্রতিষ্ঠানটির আশা।

চীনা প্রসেসরগুলো ইন্টেলের আধিপত্যকে চোখ-রাঙানি দিচ্ছে। এরই মধ্যে চীন সরকার প্রতিটি কম্পিউটারে রিস্ক-ফাইভ প্রসেসর ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে। বিশ্বব্যাপী এই প্রসেসরগুলোর চালান ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে ধারণা করে হচ্ছে, ২০২৩ সালে যা ছিল মাত্র ১.৩ বিলিয়ন ডলার। আগামী দিনে আর্ম ও এক্স৮৬-এর পাশাপাশি বাজারে রিস্ক-ফাইভভিত্তিক কম্পিউটারও জনপ্রিয় হবে বলেই ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।

 

 

মন্তব্য

রেকর্ড গড়েছে ইলেভেন১১ বটনেট

    সাইবার হামলায় ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ‘বটনেট’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটনেটভিত্তিক হামলার ঘটনা ঘটে গত মাসের শেষ সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আশিক উল বারাত
শেয়ার
রেকর্ড গড়েছে ইলেভেন১১ বটনেট
বটনেটের প্রতীকি ছবি। ছবি : সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার ওয়েবক্যাম ও ভিডিও রেকর্ডার লক্ষ্য করে বিশাল এক সাইবার হামলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। মোট ৮৬ হাজার ইন্টারনেট অব থিংস ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইলেভেন১১’‌ নামের একটি ম্যালওয়্যার। হ্যাকড ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ডেটা ট্রাফিক তৈরি করে বেশ কিছু ওয়েবসেবাদানকারী সার্ভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এই হামলার হোতারা। মূলত যোগাযোগ ও গেম হোস্টিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভার লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়।

এর ফলে সেসব ওয়েবসাইট ও অনলাইন সার্ভিসগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ব্যবহারকারীদের অ্যাকসেস বন্ধ হয়ে যায়।

নোকিয়ার ডিপফিল্ড ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এই হামলার তদন্ত করেছে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ইলেভেন১১বট নামের নতুন এক বটনেট ম্যালওয়্যার। এই ম্যালওয়্যার  ইন্টারনেটে সংযুক্ত বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ডিভাইস, যেমনস্মার্ট লাইট, স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট বা স্মার্ট ফ্রিজের মতো ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তৈরি করে নিজস্ব নেটওয়ার্ক, যার নাম বটনেট।

এই নেটওয়ার্কের কাজ ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (ডিডিওএস) ঘরানার সাইবার হামলা চালানো। নোকিয়া গবেষক জেরোম মেয়ার জানান, এই বটনেটে থাকা বেশির ভাগ ডিভাইসের ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ঠিকানা আগে কখনো ডিডিওএস আক্রমণে যুক্ত ছিল না। অর্থাৎ এই বটনেট একেবারে নতুন।

ওয়েবসেবা ব্যবহার ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি এই সাইবার হামলার কারণে লক্ষাধিক ব্যবহারকারী ইন্টারনেট সংযোগেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।

অকার্যকর হয়ে যাওয়া ওয়েবসাইট ও সেবাগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যার মূল্য অন্তত কয়েক মিলিয়ন ডলার। নোকিয়ার গবেষকদলের দাবি, এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডিডিওএস হামলা। হামলার শিকার সার্ভারগুলোর প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ছয় টেরাবিট তথ্য সামলাতে হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারির এক হামলায় সর্বোচ্চ ৫.৬ টেরাবিট পার সেকেন্ড গতিতে তথ্য সঞ্চালনের রেকর্ড ছিল।

রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও চীনের হ্যাকাররা এ ধরনের হামলা বেশি চালায়। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা বলছেন, এই বটনেটটির সর্বাধিক আইপি ঠিকানা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে (২৪.৪%)। পাশাপাশি আছে তাইওয়ান (১৭.৭%) এবং যুক্তরাজ্যে (৬.৫%)। সাধারণত হামলার শিকার বেশি হয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

বাংলাদেশেও বেশ কয়েকবার ডিডিওএস হামলা চালিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাইবার আক্রমণ। এ ছাড়া স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি নামের সরকারি অ্যাপের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন সাইবার আক্রমণ চালানো হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে সাইবার হামলার সংখ্যা বেড়ে ৩৩৭-এ পৌঁছেছে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ১৬৪। এই বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ সাইবার ঝুঁকির শীর্ষ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

 

মন্তব্য
এমডব্লিউসি ২০২৫

এলো নতুন যেসব প্রযুক্তি

    প্রতিবছরের মতো এবারও স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস [এমডব্লিউসি]। ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত চলা এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি সর্বশেষ প্রযুক্তিপণ্য তুলে ধরেছে। এমডব্লিউসি ২০২৫ মাতানো সব প্রযুক্তির বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
এলো নতুন যেসব প্রযুক্তি
এইচএমডি ফিউশন এক্স১, নাথিং ফোন ৩এ ও ৩এ প্রো। ছবি : সংগৃহীত

নাথিং ফোন ৩এ ও ৩এ প্রো

নতুন দুটি মাঝারি মূল্যের ফোন উন্মোচন করেছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা নাথিং। মডেল দুটির নাম নাথিং ফোন ৩এ ও ৩এ প্রো। ক্যামেরা এবং পেছনের ডিজাইন ছাড়া ফোন দুটির মধ্যে আর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। দুটি ফোনেই থাকছে ৬.৭৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, আইফোন বা গ্যালাক্সি সিরিজের মতো ফ্ল্যাট ডিজাইনের বডি এবং নাথিংয়ের মার্কামারা গ্লিফ লাইটিংযুক্ত স্বচ্ছ গ্লাসে ব্যাক প্যানেল।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭এস জেন ৩ প্রসেসরের সঙ্গে থাকছে ৮ থেকে ১২ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম এবং ১২৮ বা ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। দুটি ফোনের মূল পার্থক্য ক্যামেরায়। মূল ও আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা এক হলেও ৩এ প্রো মডেলটি টেলিফটো আর সেলফি ক্যামেরার মানে এগিয়ে আছে। নাথিং ফোন ৩এ-এর মূল্য ২২ হাজার ৯৯৯ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ হাজার টাকা) থেকে শুরু।
আর ৩এ প্রোর মূল্য ২৯ হাজার ৯৯৯ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ হাজার টাকা) থেকে শুরু। ফোন দুটি মূলত এশিয়ার বাজারের জন্য তৈরি, বিভিন্ন ট্যারিফের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে এর দাম আরো বেশি হবে।

 

শাওমির নতুন ক্যামেরা প্রযুক্তি

ছবির মানে এখনো ডিএসএলআর বা মিররলেস ক্যামেরার তুলনায় পিছিয়ে আছে স্মার্টফোন। এর মূলে রয়েছে বড় সেন্সর ও লেন্সের অভাব, শক্তিশালী প্রসেসর বা এআই কাজে লাগিয়েও এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়।

এই সমস্যার সমাধানে শাওমি তৈরি করেছে ম্যাগনেটিক অপটিক্যাল সিস্টেম। এতে থাকছে মিররলেস ক্যামেরার সমান এম৪/৩ সেন্সর এবং ডাবল গস লেন্স অর্থাৎ ডিভাইসটি নিজেই একটি মিররলেস ক্যামেরা। তবে এর মধ্যে নেই কোনো ইমেজ প্রসেসিং সিস্টেম। ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েই সেটি কাজ করে। এর জন্য নেই কোনো পেয়ারিং বা আলাদা অ্যাপের প্রয়োজনীয়তা।
ক্যামেরাটি ম্যাগনেটের মাধ্যমে সহজেই ম্যাগনেটিক মাউন্ট সমর্থিত স্মার্টফোনের পেছনে যুক্ত করা যায়। এরপর ক্যামেরা অ্যাপ চালু করলেই এর মাধ্যমে তোলা যাবে ছবি। বর্তমান মডেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৫ মিমি ফোকাল লেংথ ও এফ ১.৪ অ্যাপার্চারের লেন্স এবং ১০০ মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনের সেন্সর। ভবিষ্যতে ভিন্ন লেন্স ও সেন্সরের ক্যামেরা তৈরির পরিকল্পনা করছে শাওমি। এ ধরনের ডিভাইস নতুন নয়, এক দশকেরও বেশি সময় আগে ঠিক একই ধরনের ক্যামেরা মডিউল বাজারে এনেছিল সনি। কবে এই ডিভাইসটি বাজারে আসবে বা এর মূল্য কত হবে জানা যায়নি।

এলো নতুন যেসব প্রযুক্তি

অরজেন জিপ ট্রাই-ফোল্ড প্রজেক্টর।      ছবি : সংগৃহীত

 

এলো নতুন যেসব প্রযুক্তি

লেনোভো সোলার ল্যাপটপ। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরদের স্মার্টফোন

বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, আট থেকে ১২ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫২ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় একবার হলেও অপ্রীতিকর মেসেজের মুখোমুখি হয়েছে। তাদের গোপন মেসেজিং অ্যাপে কথা বলার আমন্ত্রণ দেয় এসব দুষ্কৃতকারী। অন্যদিকে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অভিভাবকরা চাইলেও এখন আর সন্তানদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে পারছেন না। এই সমস্যার সমাধানে এইচএমডি তৈরি করেছে ফিউশন এক্স১ মডেলের স্মার্টফোন। ফোনটির সম্ভাব্য মূল্য হবে ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ থেকে ৩৭ হাজার টাকা) মধ্যে অর্থাৎ খুব শক্তিশালী প্রসেসর বা ক্যামেরা এতে থাকবে না। তবে অভিভাবকরা নিজেদের ফোন থেকে এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং সন্তান কার সঙ্গে কথা বলছে বা কোন অ্যাপে সময় ব্যয় করছে তার ওপর নজর রাখতে পারবেন।

 

অরজেন ফ্লিপ প্রজেক্টর

পকেটে বহনযোগ্য ক্ষুদ্র প্রজেক্টর তৈরি করেছে অরজেন, নাম জিপ ট্রাই-ফোল্ড। স্মার্টফোনের সমান এই প্রজেক্টর এক চার্জে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলতে সক্ষম, ব্যবহারের জন্য বাড়তি অ্যাপের প্রয়োজনও নেই। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক না থাকলেও সমস্যা নেই। এটি ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট প্রযুক্তিতে ফোনের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম। দেয়াল বা পর্দায় ৪০ থেকে ৮০ ইঞ্চি প্রস্থের ভিডিও দেখাতে সক্ষম জিপ। সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে ব্লু-টুথ হেডফোনও। দিনের আলোতেও পরিষ্কার ছবি দেখাতে সক্ষম জিপ, যা পিকো প্রজেক্টরের জন্য সত্যি বিস্ময়কর। তবে প্রজেক্টরটির রেজল্যুশন ৭২০পি। অনেক ব্যবহারকারী এতে হতাশ হতে পারেন। এ ছাড়া এতে সরাসরি নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও দেখা যাবে না। ডিভাইসটির মূল্য ২৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকা)।

 

লেনোভো সোলার ল্যাপটপ

সোলার প্যানেলযুক্ত পরীক্ষামূলক ল্যাপটপ প্রদর্শন করেছে লেনোভো। ইয়োগা সিরিজের এই ল্যাপটপ সূর্যের আলোতে ২০ মিনিট রাখলেই এর ব্যাটারি টানা এক ঘণ্টা কাজ করার সমান শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে। এ জন্য ল্যাপটপটির ডিসপ্লের পেছনে বসানো হয়েছে ২০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতার সোলার প্যানেল। এমডব্লিউসি দর্শনার্থীরা বলেছে, এতে ল্যাপটপটি হয়েছে আরো দৃষ্টিনন্দন। সোলার প্যানেল ছাড়া ল্যাপটপটির বাকি হার্ডওয়্যার অন্যান্য ইয়োগা ল্যাপটপের মতোই। লেনোভোর দাবি, যাঁরা লোকালয় থেকে দূরে দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই ল্যাপটপ আদর্শ। ল্যাপটপটির হার্ডওয়্যারে কী থাকবে বা কবে নাগাদ বাজারে পাওয়া যাবেএ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এতে ব্যাটারি সাশ্রয়ী মডেলের এএমডি অথবা ইন্টেল প্রসেসর থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

 

এলো নতুন যেসব প্রযুক্তি

শাওমি ম্যাগনেটিক অপটিক্যাল সিস্টেম

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ