<p>বিএনপির একটি সভায় হামলা চালিয়ে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে প্রায় ৬ বছর পর সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ওসিসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৫ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন ওই হামলার শিকার আইনজীবী মো. একরামুল হক মজুমদার।</p> <p>মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। একরামুল নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোট এলাকার খিদর আলীর ছেলে।</p> <p>বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মো. একরামুল হক মজুমদার বলেন, মামলাটি থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আদালতের বিচারক।<br />  <br /> মামলায় অভিযুক্তরা হলেন কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, লালমাই ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুল হামিদ, যুবলীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল, আওয়ামী লীগের উপজেলার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান বাবলু, মো. মোস্তাক মিয়া, নাঙ্গলকোট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আবু ইসহাক, হান্নান, ফরাদ, ইমরান, মো. নোমান, মো. সাইফুল, তুহিনসহ এজাহারনামীয় ৩৫ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০ জন।</p> <p>মামলার বাদী একরামুল হক মজুমদার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের আশারকোটা এলাকায় এক সভার আয়োজন করেন বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী। ওই সময় সাবেক মন্ত্রী মুস্তফা কামালের নির্দেশে অভিযুক্তরা রামদা, ছেনি, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে হামলা চালায়। </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও ওসি নজরুল ইসলাম মামলা নেননি। উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে থানার ওসির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর আদালতে এলেও সেখানে আমি একজন আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও আমাকে হেনস্তা করা হয় এবং মামলা নেওয়া হয়নি।’</p> <p>বৃহস্পতিবার বিকেলে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘এখনো আদালতের আদেশের কপি হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’</p>