<p style="text-align:justify">হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছি। ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এই মাসের মধ্যেই হয়তো বসতে পারেন।’</p> <p style="text-align:justify">আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা আজ রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চলে এসেছে। আমরা সামারি পড়ে দিয়েছি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রেমিট্যান্সে সুবাতাস, দিনে আসছে ৯৮৭ কোটি টাকা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728913655-bf957a07239a9db272e3b4014e4ee70d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রেমিট্যান্সে সুবাতাস, দিনে আসছে ৯৮৭ কোটি টাকা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/14/1435102" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিল, আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন : আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি। অপরাধের সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আমরা রোম স্ট্যাটিউট মোতাবেক করার চেষ্টা করেছি। এসব সংশোধনী নিয়ে আমরা অংশীজনদের মতামতও নিয়েছি। এসব সংশোধনী হয়তো এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু সংশোধনীর জন্য বিচার আটকে থাকবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিলেন বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছের, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে।’<br />  </p>