<p>কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের ২২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসাইন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। এই মামলায় ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।</p> <p>ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদের নাম প্রথমদিকে উল্লেখ করা হয়েছে। </p> <p>এর আগে ২১ অক্টোবর শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করে ৩৯১ জন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেন আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।</p> <p>রবিবার মামলা পরবর্তী শাহবাগ থানার সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এ সময় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, রিফাত রশীদ, হামজা মাহবুব, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, ২১ অক্টোবর একটি মামলা করেছিলাম। সেখানে যারা বাদ পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্দোলনের মূল উসকানিদাতা তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে ২২০ জনের নামে আমরা আরেকটি একটি মামলা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসেন মামলাটি করেছেন। আইনগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সবাই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা দিন।</p> <p>আরমান হোসেন বলেন, প্রত্যেক হলে হলে যারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৯৮-২২০ নম্বরে উল্লিখিতদের বাধাদানকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।</p> <p>শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই বাছাই চলছে, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।</p>